Purbo Medinipur Murder: ওতটা হট্টগোলের মাঝেই পিনপতন স্তব্ধতা! নাপিতের বাড়ির উঠোনে পা রাখতেই হিমস্রোত বয়ে গেল প্রতিবেশীদের শরীরে

Purbo Medinipur Murder: ঘরের দিকে এগোতেই মেঝেতে তাঁরা রক্তের দাগ দেখতে পেয়েছিলেন। যতক্ষণে ঘরে ঢোকেন প্রতিবেশীরা, ততক্ষণে ওই বাড়ির কর্তা-কর্ত্রী ঘরের মেঝেতে পড়ে।

Purbo Medinipur Murder: ওতটা হট্টগোলের মাঝেই পিনপতন স্তব্ধতা! নাপিতের বাড়ির উঠোনে পা রাখতেই হিমস্রোত বয়ে গেল প্রতিবেশীদের শরীরে
কোলাঘাটে দম্পতির রক্তাক্ত দেহ উদ্ধার
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: May 02, 2022 | 5:28 PM

পূর্ব মেদিনীপুর: তুমুল চিৎকার চেঁচামেচির শব্দ শুনতে পাচ্ছিলেন প্রতিবেশীরা। আচমকাই সব স্তব্ধ! রোজকার ঝামেলা ভেবে বিষয়টা আমল দেননি প্রতিবেশীরা। কিন্তু দীর্ঘক্ষণ কোনও শব্দ না পেয়েই তাঁরা বিপদ আঁচ করেছিলেন।

ঘরের দিকে এগোতেই মেঝেতে তাঁরা রক্তের দাগ দেখতে পেয়েছিলেন। যতক্ষণে ঘরে ঢোকেন প্রতিবেশীরা, ততক্ষণে ওই বাড়ির কর্তা-কর্ত্রী ঘরের মেঝেতে পড়ে। এক জনের পেটে বড় ক্ষত, আরেক জনের গলার নলি কেটে গিয়েছে। রক্তে ভেসে যাচ্ছে মেঝে। প্রতিবেশীদের অনুমান, একে অপরের শরীরে ক্ষুর চালিয়েছেন ওই দম্পতি। তাতেই মর্মান্তিক পরিণতি। বিভৎস ঘটনা পূর্ব মেদিনীপুরের কোলাঘাটে। মৃতদের নাম শম্পা মান্না ও শঙ্কর মান্না।

স্থানীয় ও পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, শম্পা ও শঙ্করের মধ্যে ঝামেলা মাঝেমধ্যেই হত। রবিবার সন্ধ্যা থেকেই তাঁদের মধ্যে কথা কাটাকাটি হচ্ছিল। বিষয়টি জানতেন প্রতিবেশীরাও। প্রতিবেশীদের বয়ান অনুযায়ী, তাঁরা যখন শম্পার ঘরে ঢোকেন, তখন তাঁরা প্রথমে শঙ্করকে রক্তাক্ত অবস্থায় মাটিতে পড়ে থাকতে দেখেছিলেন। তাঁর পেটে ক্ষত ছিল। মুখ থেকে গ্যাঁজলা বের হচ্ছিল। কিছুটা দূরে ছিল শম্পার শরীরটা। তাঁর শরীরেও সার ছিল না।

প্রতিবেশীদের বয়ান অনুযায়ী, শম্পার গলার নলি কাটা ছিল। টাটকা রক্ত তখনও বের হচ্ছিল। তাঁদেরকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা দুজনকেই মৃত বলে ঘোষণা করেন। প্রাথমিকভাবে মনে করা হচ্ছে, স্ত্রীর গলায় ক্ষুর চালিয়েছিলেন শঙ্কর। তারপর শম্পাও পাল্টা শঙ্করের পেটে ছুরি ঢুকিয়ে দিয়েছেন। গোটাটাই অনুমান করছেন প্রতিবেশীরা। কারণ ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী কেউ নেই।

শঙ্করের মুখ থেকে গ্যাঁজলা বের হচ্ছিল। তাতে চিকিৎসকরা প্রাথমিকভাবে মনে করছেন, ঝামেলার মাঝে বিষও খেয়েছিলেন শঙ্কর। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে কোলাঘাট থানার পুলিশ। ঘর থেকে ছুরি-সহ বেশ কিছু জিনিষ উদ্ধার করেছে পুলিশ।

ওই দম্পতির এক মেয়ে ও এক ছেলে রয়েছে। ঘটনার বিভৎসতায় তারা রীতিমতো বাকরুদ্ধ। মৃতার ভাই বলেন, “ঝামেলা তো হতই, তবে এমনটা যে হবে, তা কে জানত! জামাইবাবু সেলুন থেকে ফেরে বিকালে। তারপর ভাগ্নির থেকে জানতে পারলাম, ওকে দোকানে পাঠিয়ে দিয়েছিলেন জামাইবাবু। তারপরই বোধহয় এসব হয়েছে।” গোটা বিষয়টি তদন্ত শুরু করেছে কোলাঘাট থানার পুলিশ।

আরও পড়ুন: Nadia Crime: বাড়ির বউকে বারবার ফোন করতেন পাড়ার ছেলে…মাশুল গুনতে হল সেই যুবকের মা আর বৌদিকে

আরও পড়ুন: Minor Physically Harassed: এবার বসিরহাট, নাবালিকাকে যৌন নির্যাতনের অভিযোগে গ্রেফতার নাবালক