
পূর্ব মেদিনীপুর: নন্দীগ্রামে বিজেপি ও তৃণমূল কর্মীকে মারধরের বিরুদ্ধে অভিযোগ ঘিরে সরগরম। নন্দীগ্রাম ১ ব্লকের মহম্মদপুর এলাকায় তৃণমূল ও বিজেপি কর্মীর মধ্যে মারামারি ও দোকান ভাঙচুর, লুঠপাটের অভিযোগ ঘিরে উত্তেজনা ছড়াল । এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে বিকালে বিজেপি ও রাতে তৃণমূল দুই দলই পৃথকভাবে প্রতিবাদ মিছিল করে। জানা গিয়েছে, সোমবার রাতে মহম্মদপুর ও ভেকুটিয়া গ্রাম পঞ্চায়েতের সংযোগস্থলে তৃণমূল ও বিজেপির মধ্যে সঙ্ঘর্ষ বাধে।
তৃণমূলের অভিযোগ, তাদের কর্মী কালু বরণ জানাকে একা পেয়ে বিজেপি কর্মীরা মারধর করে। পাল্টা বিজেপির অভিযোগ, তৃণমূল কর্মীরা বিজেপি কর্মী তপন মাইতির সবজির দোকানে ভাঙচুর ও লুঠপাট চালিয়েছে। এই ঘটনার প্রতিবাদে এদিন বিকেলে নন্দীগ্রাম মণ্ডল-১ বিজেপির তরফ থেকে একটি প্রতিবাদ মিছিল করা হয় । নেতৃত্বে দেন বিজেপি জেলা সাধারণ সম্পাদক মেঘনাথ পাল, ধনঞ্জয় ঘড়া-সহ নেতৃতরা।
তিনি তৃণমূলের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসের অভিযোগ আনেন। নন্দীগ্রাম মণ্ডল সভাপতি ধনঞ্জয় ঘড়ার বক্তব্য, “এই এলাকা তৃণমূলের লোকেরা বহিরাগত দুষ্কৃতীদের এনে তপন মাইতির দোকান থেকে কাটমানি নিতে এসেছিল, লুঠপাট করে, ব্যবসায়ীকে মারধর করেন। ওই বাজারের অনেক ব্যবসায়ীদের ওপরেও চড়াও হয়। ক্ষমতা জাহির করে বলে বাজার দোকানপাট বন্ধ থাকবে। এলাকায় ক্ষমতা জাহিরের চেষ্টা, যে এই এলাকায় এখনও তৃণমূল বেঁচে রয়েছে।”
রাতে পাল্টা তৃণমূলের তরফে ব্লক তৃণমূল সভাপতি বাপ্পাদিত্য গর্গ সহ নেতৃত্বে একটি মিছিল বেরোয়। তিনি বলেন, “রাজনৈতিক মামলায় সাক্ষী হওয়ায় কালু বরণ জানাকে মারধর করেছে বিজেপি।” এই দুই প্রতিবাদ মিছিলের জেরে গোটা দিন সরগরম ছিল মহম্মদপুর বাজার এলাকা।