পূর্ব মেদিনীপুর: স্কুলে পড়াকালীনই প্রেম। কিন্তু বাড়ি থেকে জানতে পেরে যাওয়ায় বিয়ে দিয়ে দেওয়া হয় অন্যত্র। বিয়ের কয়েক বছরের মধ্যে এক পুত্রসন্তানেরও জন্ম দেন বছর চব্বিশের গৃহবধূ। কিন্তু তাতেও ভোলেননি পুরনো প্রেমকে। বাপেরবাড়িতে এসে সেই প্রেমিকের সঙ্গেই বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন তিনি। কিন্তু এটাও জানতেন সেই সম্পর্ক পূর্ণতা পাবে না কোনওদিনই। তাই প্রেমিকের সঙ্গেই চরম সিদ্ধান্ত নিলেন গৃহবধূ। একই শাড়িতে গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মঘাতী যুগল। মর্মান্তিক ঘটনা পূর্ব মেদিনীপুর ভগবানপুর থানার সুবোধপুর এলাকায়। মৃতের নাম শ্রীকান্ত সামন্ত (২৫)। তিনি পশ্চিম ঘোষপুর গ্রামের বাসিন্দা। মৃত গৃহবধূর নাম সোনামনি প্রধান (২৪)। ভগবানপুর থানার পুলিশ দুজনের দেহ উদ্ধার হয়েছে। দেহ দুটি কাঁথি মহকুমা হাসপাতালে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে।
স্কুলে পড়াকালীন ভগবানপুর থানার পশ্চিম ঘোষপুর গ্রামের শ্রীকান্ত সামন্ত সঙ্গে প্রেমের সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন বাবিয়া গ্রামের বাসিন্দা সোনামণি প্রধান। যুবতীর পরিবারের সদস্যরা জানতে পেরে যান। অন্য় জায়গায় সোনামনির বিয়ে দিয়ে দেওয়া হয়। বিয়ের কয়েক বছরের মধ্যে এক পুত্র সন্তানের জন্ম দেন সোনামনি। কিন্তু দু’জনই সেই সম্পর্ক ভুলতে পারেননি। স্বামীর অজান্তে প্রায়ই পুরোনো প্রেমিকের সঙ্গে দেখা করতেন সোনামণি। গ্রামের রাস্তায় তাঁদের এক সঙ্গে দেখাও যেত। গ্রামবাসীরা অন্তত তেমনটাই বলছেন।
গত কয়েকদিন আগে সোনামণি ফের বাপের বাড়িতে আসেন। শনিবার রাতে বাপের বাড়ি থেকেই রহস্যজনকভাবে নিখোঁজ হয়ে যান সোনামনি। তিন বছরে পুত্রসন্তানকে বাপের বাড়িতে রেখেই বের হন সোনামনি। আর ফেরেননি। পরিবারের লোকেরা খোঁজাখুঁজি করেও কোথাও সন্ধান পাননি। রবিবার সকালে সুবোধপুর শ্মশান সংলগ্ন একটি বাবলা গাছে একটি শাড়িতে গলায় ফাঁস দিয়ে দুজনকে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখতে পান বাসিন্দারা। খবর দেওয়া হয় ভগবানপুর থানার পুলিশকে। দ্রুত পুলিশ গিয়ে গাছ থেকে দুটি ঝুলন্ত মৃতদেহ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়। যদিও পরিবারের তরফ থেকে কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।
এলাকার স্থানীয় বাসিন্দা গৌরহরি দাস বলেন ” কী কারণে এমন ঘটনা তা আমার জানা নেই। সকালে সেই বিষয়টি জানতে পারি। ছেলেটি বিবাহিত নয়। মেয়েটি বিবাহিত। তিন বছরের ছেলে রয়েছে। পুলিশকে বিষয়টি জানিয়েছে। পুলিশ এসে মৃতদেহটি উদ্ধার করে নিয়ে যায়। ”