
পূর্ব মেদিনীপুর: প্রতিবাদ করলেই কাজ ছাড়ার জন্য জোর করতেন ধর্ষণকাণ্ডে অভিযুক্ত, না শুনলে কপালে জুটত অ্যাম্বুলেন্স দিয়ে ধাক্কা দিয়ে মেরে ফেলার হুমকি! ঘুষি মেরে ফাটিয়ে দিয়েছিল এক কর্মীর নাক ও বলে অভিযোগ অভিযুক্তের বিরুদ্ধে আরও অভিযোগ প্রকাশ্যে এসেছে। পাঁশকুড়া সুপার স্পেশ্যালিটি হাসপাতালে দুই প্রাইভেট সংস্থার আওতায় ওয়ার্ডবয়রা কাজ করতেন।
সেই সংস্থায় কর্মীরা ১২ হাজার টাকা করে বেতন পেতেন। নতুন বেসরকারি সংস্থা আসার পর ওই সংস্থা মাইনে দিত আট হাজার করে। অভিযোগ, এই ঘটনার প্রতিবাদ করলে কর্মীদের পেছনে লেগে যান অভিযুক্ত। প্রতিবাদ করলে ওয়ার্ডবয়দের দিয়ে বাথরুম পরিস্কার করাত অভিযুক্ত। বর্তমানে যে রুমটি সিল করা হয়েছে সেই ১৫৭ নম্বর ছাড়াও আরও অনেক রুম ছিল অভিযুক্তের, সেই রুম গুলিতে কুকর্মের জন্যে অনেক মেয়েদের ডাকত। পছন্দ না হলে কাজ ছাড়ার জন্যে জোর করত অভিযুক্ত।
এমনকি এক কর্মীকে ঘুষি মেরে মুখ ফাটিয়ে দেওয়ার রেকর্ড ও রয়েছে অভিযুক্তের নামে।অভিযুক্তের নামে আরও অভিযোগ, অভিযুক্তের যে অ্যাম্বুলেন্সেগুলি ছিল তা দিয়ে ধাক্কা মেরে প্রাণে মেরে ফেলার হুমকিও দিত এই অভিযুক্ত। সব মিলিয়ে এই অভিযুক্তের গ্রেফতারির পরেই সামনে আসছে তার সমস্ত কুকীর্তি।
পাঁশকুড়া সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালের প্রাক্তন ওয়ার্ডবয় শেখ আজাজ আহমেদ বলেন, “প্রভাব ভালই ছিল। উনি অত্যাচার করতে প্রত্যেকটা ছেলের ওপর। ২০২১ সালে কাজে লেগেছিলাম। আমাদের নতুন যে কোম্পানি এল, তখন থেকেই আর পিএফ পেতাম না। মাইনেও কমিয়ে দিল। আমরা প্রতিবাদ করতেই নানারকমভাবে অত্যাচার করতেন অভিযুক্ত।”