AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Panskura Super Speciality Hospital: সরকারি হাসপাতালের ভিতরে আবার ধর্ষণের অভিযোগ, নির্যাতিতা ওয়ার্ড-গার্ল বললেন, ‘নিচের রুমে ডেকে খারাপ কাজ করত’

জানা যাচ্ছে, পাঁশকুড়া সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে একটি বেসরকারি সংস্থার অধীনে ওয়ার্ড গার্ল হিসেবে কাজ করতেন তমলুক থানার অন্তর্গত এলাকার এক তরুণী। তাঁর দাবি, ওই কোম্পানির ফেসিলিটি ম্যানেজার (যিনি পাঁশকুড়া হাসপাতালে কর্মরত ছিলেন) হাসপাতালের ভিতরেই একাধিকবার ধর্ষণ করে বলে অভিযোগ। এই ঘটনা বাইরে না আনার জন্য একাধিকবার তাকে হুমকি দেয় বলেও অভিযোগ। এরপর আজ, সোমবার পাঁশকুড়া থানায় ওই তরুণী লিখিত অভিযোগ দায়ের করে।

Panskura Super Speciality Hospital: সরকারি হাসপাতালের ভিতরে আবার ধর্ষণের অভিযোগ, নির্যাতিতা ওয়ার্ড-গার্ল বললেন, 'নিচের রুমে ডেকে খারাপ কাজ করত'
পাঁশকুড়ার নির্যাতিতাImage Credit: Tv9 Bangla
| Edited By: | Updated on: Sep 15, 2025 | 5:45 PM
Share

পাঁশকুড়া: ফের বে-আব্রু রাজ্যের হাসপাতালের সুরক্ষা। আবারও রাজ্যের সরকারি হাসপাতালে ধর্ষণের অভিযোগ। আরজি করের পর এবার ধর্ষণের অভিযোগ পাঁশকুড়া সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে। কাজ পাইয়ে দেওয়ার নাম করে নির্যাতনের অভিযোগ। এমনকি ঘটনা প্রকাশ্যে না আনার জন্যও হুমকি দিয়েছেন অভিযুক্ত বলে খবর।

জানা যাচ্ছে, পাঁশকুড়া সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে একটি বেসরকারি সংস্থার অধীনে ওয়ার্ড গার্ল হিসেবে কাজ করতেন তমলুক থানার অন্তর্গত এলাকার এক তরুণী। তাঁর দাবি, ওই কোম্পানির ফেসিলিটি ম্যানেজার (যিনি পাঁশকুড়া হাসপাতালে কর্মরত ছিলেন) হাসপাতালের ভিতরেই একাধিকবার ধর্ষণ করে বলে অভিযোগ। এই ঘটনা বাইরে না আনার জন্য একাধিকবার তাকে হুমকি দেয় বলেও অভিযোগ। এরপর আজ, সোমবার পাঁশকুড়া থানায় ওই তরুণী লিখিত অভিযোগ দায়ের করে। পাঁশকুড়া পুলিশ সূত্রে খবর, অভিযোগ পাওয়ার পরই কোলাঘাট থেকে ওই অভিযুক্ত ব্যক্তিকে আটক করেছে পাঁশকুড়া থানার পুলিশ।

নির্যাতিতা বলেন, “কাজে আসার পর থেকে আমায় বলত, আমি যদি কোনও সম্পর্কে না আসি তাহলে আমার বাড়ির লোককে মেরে ফেলবে। কাজ থেকে তাড়িয়ে দেবে। নিচের রুমে ডেকে খারাপ কাজ করে। আমায় জোর করছিল। আমায় শারীরিক ভাবে জোর করে।” পাঁশকুড়া সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালের অস্থায়ী কর্মী বলেন, “যে এই নির্যাতন চালাত তার আড্ডা খানা ছিল হাসপাতাল। সকালে আসত রাত ১১টায় চলে যেত। কোনও স্টাফ এতক্ষণ থাকে? দীর্ঘদিন ধরে এই সব করেছে। আমরা তো সাত-আট হাজার টাকার কাজ করি। সেই কাজ চলে যায় কীভাবে পেট চলবে তাই চুপ থাকতাম। কিন্তু ওই লোকটা দিনের পর দিন অত্যাচার করত।” জুনিয়র চিকিৎসক অনিকেত মাহাতো বলেন, “আমরা তো আগেই দাবি জানিয়েছিলাম হাসপাতালে নিরাপত্তা চাই স্বাস্থ্য কর্মীদের। তাই মানসিকতার পরিবর্তন দরকার। রাজ্য সরকারকেও সক্রিয় পদক্ষেপ করতে হবে।”