নন্দীগ্রাম দিবসকে কেন্দ্র করে উত্তাপ বাড়ছে পূর্ব মেদিনীপুরে। শনিবার ৭ জানুয়ারি দিনটি নন্দীগ্রাম দিবস হিসেবে পালন করা হয়। তাই শুক্রবার রাতেই নন্দীগ্রামে পৌঁছে গিয়েছেন তৃণমূল নেতা কুণাল ঘোষ। অন্যদিকে, শহিদ বেদীতে মালা দেওয়ার কর্মসূচি ছিল বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীরও। এদিন চণ্ডীপুর থেকে শুভেন্দু অধিকারী তৃণমূলকে আক্রমণ করেন।
শুভেন্দু বলেন, “তিহারের দরজা একটু ফাঁক হয়েছে। প্রথমে কেষ্ট মণ্ডল, তারপর শ্যালিকা, তারপর রুজিরা, তারপর ভাইপো সবাই চোর। ওদের উৎখাত কর।”
শুভেন্দু বলেন, “জোট বাঁধুন তৈরি হন। ৫০০ টাকার লক্ষ্মীর ভাণ্ডার সমাধান নয়। পশ্চিমবঙ্গে চাকরি নেই। ৫৮ হাজার চাকরি বিক্রি করা হয়েছে। প্রতিদিন শয়ে-শয়ে চাকরি যাচ্ছে। ২৮ টাকার মদের বোতল আর লটারি কি পশ্চিমবঙ্গের ভবিষ্যত? “
শুভেন্দু বলেন, “আমার পরিবারের বিপীন অধিকারী ব্রিটিশদের তাড়াতে কয়েক বছর জেলে ছিল। সিপিএম-কে তাড়িয়েছি আমরা। তৃণমূলকেও তাড়াবো। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে আমরা প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী করব।”
শুভেন্দু বলেন, “তৃণমূলের কিছুই নেই এখানে। আছে শুধু পুলিশবাবা। পুলিশ আর মিথ্যা মামলা ছাড়া আর কিছু নেই। চোর ধরেছি। কাঁথিতে মিথ্যা মামলা করেছিল। যাকে দিয়ে সই করেছিল তাঁর নাম কাকলী পাণ্ডা। তিনি হাইকোর্টে গিয়েছেন। ওইখানে গিয়ে বলছেন হুজুর গোটাটা লিখেছে ওরা। আইসি অমলেন্দু আর এসপি অমরনাথ ভাইপোর কথায়।আমি শুধু সই করেছি। আমায় নিরাপত্তা দিন। এরপর সিবিআই তদন্ত হয়েছে। সিআরপিএফ-এর নিরাপত্তা পেয়েছেন কাকলী। “
শুভেন্দু বলেন, “তৃণমূল বিশ্বাস ভঙ্গ করেছে। তাই ২০২৩ সালেই পঞ্চায়েত নির্বাচন করতে হবে। তা সে যেই মাসে হোক। “
শুভেন্দু বলেন, “এটি জেলা থেকেই পরিবর্তনের আওয়াজ ওঠাতে হবে। শুধু জাতীয়তাবাদী আন্দোলন নয়, বামপন্থীদের খাদ্য আন্দোলন, তেভাগা আন্দোলন, হয়েছিল। পরবর্তীতে নন্দীগ্রাম আন্দোলন ইতিহাস গড়ে দিয়েছে। বামফ্রন্ট পরাস্থ হয়েছে। ২০০৮ সালে পঞ্চায়েত নির্বাচনে বামফ্রন্টকে পরাস্থ করে তৃণমূল জেলা পরিষদ গঠিত করেছিল। “
এদিন শুভেন্দু বলেন, “এই জেলা আন্দোলনের জেলা। এই জেলা সংগ্রামের জেলা। অবিভক্ত ভারতে প্রথম স্বাধীনতা ঘোষণা করে হয়েছিল তিনটি জায়গায়। উত্তরপ্রদেশের বালিয়া, মহারাষ্ট্রের সাতারা আর মেদিনীপুর। ১৯৪২ এর ১৭ ডিসেম্বর স্বাধীনতা পাই। তাই মহামতী গোখলে বলতেন হোয়াটস বেঙ্গল থিঙ্ক টু-ডে, রেস্ট অফ দি ইন্ডিয়া থিঙ্ক টুমোরো। তখন চিত্তরঞ্জন দাসের মতো নেতারা বলতেন হোয়াটস মিদনাপুর থিঙ্ক টু-ডে, রেস্ট অফ দি বেঙ্গল থিঙ্ক টুমোরো।”