পূর্ব মেদিনীপুর: একদিকে জেলায় ঠান্ডার প্রভাব বাড়ছে। অপরদিকে পৌর ভোটের আবহে রাজনৈতিক বাক্য বানের উত্তাপ ও বাড়ছে। ১৫ ডিসেম্বর স্বাধীনতা সংগ্রামী সতীশ সামন্তের জন্মদিনে পূর্ব মেদিনীপুরের মহিষাদলে শ্রদ্ধার্ঘ্য জ্ঞাপন করলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। উপস্থিত ছিলেন পাশের বিধানসভা হলদিয়ার বিজেপি বিধায়ক তাপসী মণ্ডল সহ বিজেপি নেতারা। আর সেখান থেকেই তৃণমূলকে বেনজির আক্রমণ করলেন শুভেন্দু। বললেন, তিনি সাংসদ থাকাকালীন ৭ শতাংশ কমিশন নিয়েছে তৃণমূল! তার পর আঙুল তোলেন তৃণমূল বিধায়কের দিকে। মহিষাদলের বিধায়ক তিলক চক্রবর্তীর উদ্দেশ্যে তাঁর কটাক্ষ, একশো দিনের টাকা মারা চোর। যদিও তাঁকে পাল্টা কটাক্ষ করতে ছা়ড়েনি তৃণমূল।
তৃণমূল বিধায়ক তিলক চক্রবর্তীকে কটাক্ষে বিদ্ধ করে ছাড়েননি। তিনি বলেন, ‘একশো দিনের টাকা মারা চোর, প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনার টাকা মারা এই চোরগুলোর নামের তালিকা পঞ্চায়েত ভোট এর পূর্বেই প্রকাশ করব’। যোগ করেন, গার্লস কলেজ, রাজ কলেজের ৫-৬ হাজার টাকা বেতনের কোটা, ঘরে ঘরে ২-১ টা প্রাইমারি চাকরি, সবেতেই দুর্নীতি হয়েছে। আর তাঁর সভা থেকে সেসব যাতে শুনতে না হয় তার জন্য বিজেপির সভার মাইকের তার কেটে দিয়েছে তৃণমূল বিধায়কের অনুগামীরাা। এমনই অভিযোগ তুললেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। এখানে না থামে তিনি বলেন, “আমার এমপি কোটা থেকেও ৭ শতাংশ করে কমিশন নিয়েছে ওরা”।
প্রসঙ্গত, সভা চলাকালীন মহিষাদল এর রথ তলার দিকে মুখ করে থাকা মাইকের তার কেটে দিয়েছে এমনই অভিযোগ করেন বিরোধী দলনেতা। সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে তিনি বলেন, “বাংলার পুলিশ কাজ করছে না। তোলা তোলা এবং পিসির সেবা করা নিয়ে তারা ব্যস্ত। বাংলার পুলিশ দলদাস পুলিশ। সিঙ্গুর আন্দোলনের চিটফান্ড নেতাদের কথা পাঠ পুস্তকে পাবেন। শুধু পাবেন না স্বাধীনতা জন্য লড়াই করা বীর ও বীরাঙ্গনাদের নাম।”এছাড়াও ঠিকাদার, রেশন ডিলারদের নিয়ে তৃণমূল নেতারা ঘুরে বেড়াচ্ছেন বলেও কটাক্ষ করেন শুভেন্দু। বলেন, “উত্তর প্রদেশ ভোটের পর আমাদের পেছনে আবার ঘুরতে হবে এদের”।
এদিকে গত বছর ১৯ ডিসেম্বর মেদিনীপুর কলেজের মাঠে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের হাত ধরে তৃণমূল ছেড়ে বিজেপি-তে যোগ দিয়েছিলেন প্রাক্তন মন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারী। এ বছর তাঁর দলত্যাগের বর্ষপূর্তি উদযাপন করতে চলেছে তৃণমূল যুব কংগ্রেস। যে শুভেন্দু এক সময় তৃণমূল যুব কংগ্রেসের সভাপতি ছিলেন অধুনা সেই বিজেপি নেতার দলত্যাগের দিনটিকে ‘উচ্ছ্বাস দিবস’ হিসাবে পালন করতে চলেছে ঘাসফুল শিবির। তবে আনুষ্ঠানিক ভাবে তা বলা হবে কি না, তা এখনও ঠিক হয়নি। যদিও জানা যাচ্ছে, ওই দিন ‘পালন’হবে। আর তাতে তৃণমূলের যুবকর্মীরা ডিজে বাজিয়ে নাচবেন!