‘বাংলার জাগরণে গীতা, কাঁসর, ঘণ্টা দরকার’, হরিনাম গাওয়ারও নিদান দিলেন শুভেন্দু

Suvendu Adhikari:নিজ বিধানসভা কেন্দ্র নন্দীগ্রামে হিন্দু পুরোহিতদের একটি সেবাপ্রদানের অনুষ্ঠানে অংশ নিলেন শুভেন্দু। সেখানেই হিন্দু পুরোহিতদের উদ্দেশে বার্তাও দিলেন অধিকারী পুত্র। 

'বাংলার জাগরণে গীতা, কাঁসর, ঘণ্টা দরকার', হরিনাম গাওয়ারও নিদান দিলেন শুভেন্দু
নিজস্ব চিত্র
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Aug 15, 2021 | 4:13 PM

পূর্ব মেদিনীপুর:  একুশের বিধানসভা নির্বাচনে তিনি তাঁর কেন্দ্রে ফোটোফিনিশে জয়ী। তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) একদা ‘সেনাপতি’ অধুনা প্রতিপক্ষ। তিনি শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। বঙ্গে বিরোধী শিবিরের প্রতিনিধি হলেও বরাবরও স্বজনমত ও ভিত্তি প্রতিষ্ঠা করতে সক্ষম হয়েছেন অধিকারী পুত্র। এ বার নিজ বিধানসভা কেন্দ্র নন্দীগ্রামে হিন্দু পুরোহিতদের একটি সেবাপ্রদানের অনুষ্ঠানে অংশ নিলেন শুভেন্দু। সেখানেই হিন্দু পুরোহিতদের উদ্দেশে বার্তাও দিলেন অধিকারী পুত্র।

শুভেন্দু এদিন বলেন, “বাংলা জাগরণের লক্ষ্যে গীতা,কাঁসর, ঘণ্টার দরকার রয়েছে। হরিনাম গাওয়ার প্রয়োজন রয়েছে। আমি আজ সেবা করার সুযোগ পেয়ে কৃতার্থ। কথা দিচ্ছি, আমি যেখানেই যাব সেখানে গীতা-কাঁসর-ঘণ্টা বিলি করব। হরি সকলের মঙ্গল করুন।” এরপর নিজেই মঙ্গলকীর্তন গেয়ে হরিনাম করেন নন্দীগ্রামের বিধায়ক। শনিবার, জানকীনাথ মন্দিরে পুজো দিয়ে ব্রাহ্মণ কর্মসূচিতে শতাধিক পুরোহিতের হাতে গীতা, শঙ্খ, কাঁসর ইত্যাদি সামগ্রী তুলে দেন শুভেন্দু।

প্রসঙ্গত, এই প্রথম নয়, শুভেন্দুর ‘ব্রাহ্মণপ্রীতি’ লক্ষ্য করা গিয়েছে পূর্বেও। বিধানসভা নির্বাচন আবহে একাধিকবার তৃণমূল সুপ্রিমোকে ‘বেগম’ বলে সম্বোধন করেছিলেন তিনি। একের পর এক নির্বাচনী প্রচারে ব্রাহ্মণভাতা নিয়ে প্রশ্নও তুলেছেন নন্দীগ্রামের বিধায়ক। বিভিন্ন জনসভায় নিজেও ‘হরিনাম’ সঙ্কীর্তন গেয়েছেন। রাজনৈতিক মহলে, পদ্ম শিবিরের ‘হিন্দুত্ববাদ’ ও ‘হিন্দুপ্রীতি’ অবিদিত নয়। ফলে, বঙ্গে আসন্ন উপনির্বাচনে নিজ গড় রক্ষার্থে আদপে অধিকারী পুত্রের এই পদক্ষেপ বিশেষ ইঙ্গিতপূ্র্ণ বলেই মনে করছে সংশ্লিষ্ট মহল।

ঘটনায়, তমলুক সাংগঠনিক জেলার সহ সভাপতি প্রলয় পাল বলেন, “ভারতবর্ষ সনাতনী ধর্মতে বিশ্বাসী। আমরা ঠাকুর-দেবতার পুজো করি। যেখানে যাব সেখানে আমার ধর্ম পালন করব। সেরকম শুভেন্দুবাবুও করেছেন। তিনি তাঁর ধর্ম পালন করছেন।” পাল্টা, রাজ্যের মন্ত্রী তথা তৃণমূল নেতা অখিল গিরি বলেন, “বিধানসভা নির্বাচনের সময় থেকেই ধর্মের নামে মানুষকে ভাগ করার চেষ্টা করেছে। হেরে যাওয়ার পরেও ফের কাঁসর ঘণ্টা নিয়ে আসরে নেমেছে। আর কোনও কর্মসূচি নেই তাই। এতে লাভ কিছুই হবে না। বাংলার মানুষকে প্রভাবিত করা যাবে না।” আরও পড়ুন: ফিরহাদের ছবি দিয়ে ‘তোলাবাজি’! জাতীয় সড়কে ‘বালি মাফিয়াদের’ ভুয়ো পুলিশ ক্যাম্প