নন্দীগ্রাম: পুরভোট শেষ হয়েছে এবার আসছে পঞ্চায়েত ভোট। আঁটঘাট বেঁধে ফের মাঠে নামছে তৃণমূল। সোমবার নন্দীগ্রামের সভা থেকে অন্তত সেই ইঙ্গিত মিলেছে। পূর্ব মেদিনীপুরের নন্দীগ্রাম, কাঁথি বরাবরই নজরে থাকে প্রত্যেকের। সাধারণ কোনও রাজনৈতিক সভা হোক কিংবা দলের প্রচার অনুষ্ঠান রাজনৈতিক মাত্রা পৌঁছায় অন্যত্র। কারণ এই জেলা তথা নন্দীগ্রামের মাটি দেখেছে রাজনৈতিক যুদ্ধ। সাক্ষী থেকেছে শাসক থেকে বিরোধী প্রতিটি নেতার বাদানুবাদের। এদিনের ঘটনা আরও একবার তার প্রমাণ দিল। নন্দীগ্রামের মাটিতে দাঁড়িয়ে ফের শুভেন্দুকে কড়া বার্তা দিলেন তৃণমূল রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ (Kunal Ghosh)।
প্রথম থেকেই আক্রমণাত্মক ভঙ্গিতে ছিলেন কুণাল। বিজেপিকে লাগাতার আক্রমণ করতে গিয়ে তিনি বলেন, “বাংলার মাটিতে বিজেপি যেখানে যতটুকু আছে উৎখাত করব। বিজেপি থাকবে না।” এরপর শুভেন্দু অধিকারীকে বিলুপ্ত পশু ডায়নোসরের সঙ্গে তুলনা করে বলেন, “এরপর শুভেন্দু অধিকারীকে শুধুই ছবিতে পাওয়া যাবে”
আজ তৃণমূলের কৃষক দিবস। ২০০৭ নন্দীগ্রামে জমি অধিগ্রহণের প্রতিবাদে কৃষকদের ওপর পুলিশ এবং সিপিআই(এম) সমর্থকদের গুলিতে ১৪ জন কৃষক নিহত হয়েছিলেন। অন্তত এমনটাই অভিযোগ। নিহত সেই কৃষক পরিবারের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে রাজ্য সরকার এই দিনটিকে কৃষকদের উৎসর্গ করে ‘কৃষক দিবস’ হিসাবে ঘোষণা করা হয়। সোমবার ভাঙাবেড়াতে কৃষক দিবস উদযাপন করে ভূমি উচ্ছেদ প্রতিরোধ কমিটি। সেই সভায় উপস্থিত ছিলেন কুণাল ঘোষ, দোলা রায়রা।
এদিনও বেইমান, গদ্দার, মীরজাফর, রাজনৈতিক বেজন্মা প্রভৃতি বিশেষণে শুভেন্দুকে অভিহিত করেন কুণাল। বলেন, ‘নারদা, সারদা মামলায় নাম রয়েছে শুভেন্দুর। তাই সিবিআই-ইডির হাত থেকে বাঁচতে বিজেপির জুতো পালিশ করছে। খোল-করতাল বাজিয়ে হঠাৎ হিন্দু সেজেছে। মুসলিমদের প্রতি বিষোদগার করেছে। জেহাদি, পাকিস্তানি , লুঙ্গিবাহিনী তকমা দিয়েছে। ওই হঠাৎ হিন্দুর কোনও অধিকার নেই পবিত্র শহিদ বেদী স্পর্শ করার। নন্দীগ্রামে হিন্দুদের পাশাপাশি বহু মুসলিমও প্রাণ দিয়েছেন। তাই ওই গদ্দারের মালা দিতে এলে প্রতিরোধ করুন।’
আরও পড়ুন: Viswa Bharati University: ঝুলল তালা, বন্ধ প্রতিটি বিভাগ, পড়ুয়াদের ডাকা বনধে স্তব্ধ বিশ্বভারতী!