Viswa Bharati University: ঝুলল তালা, বন্ধ প্রতিটি বিভাগ, পড়ুয়াদের ডাকা বনধে স্তব্ধ বিশ্বভারতী!
Student Stike: বিশ্বভারতীর ছাত্র বিক্ষোভ নিয়ে বিগত কয়েকদিন ধরে একাধিকবার উত্তপ্ত হয়েছে ক্যাম্পাস। পড়ুয়াদের সাফ দাবি খুলতে হবে হোস্টেল,পরীক্ষা নিতে হবে অনলাইনে পাশাপাশি মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিকের সময়সীমা পরিবর্তন করতে হবে।
বীরভূম: একটানা প্রায় ষোলো দিন। বিশ্বভারতীতে চলছে লাগাতার আন্দোলন। এখনও কাটেনি বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের অচলাবস্থা। এরমধ্যেই পড়ুয়াদের ডাকে সোমবার বিশ্বভারতীজুড়ে ধর্মঘটের ডাক দিয়েছেন পড়ুয়ারা। ফলত বন্ধ পড়াশোনা। বন্ধ রয়েছে সমস্ত ভবন।
বিশ্বভারতীর ছাত্র বিক্ষোভ নিয়ে বিগত কয়েকদিন ধরে একাধিকবার উত্তপ্ত হয়েছে ক্যাম্পাস। পড়ুয়াদের সাফ দাবি খুলতে হবে হোস্টেল,পরীক্ষা নিতে হবে অনলাইনে পাশাপাশি মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিকের সময়সীমা পরিবর্তন করতে হবে। পড়ুয়াদের এই সকল দাবিতে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাস। জল গড়ায় কলকাতা হাইকোর্ট পর্যন্ত। মঙ্গলবারই হাইকোর্ট বিশ্বভারতীকে নির্দেশ দেয়, অবিলম্বে বিশ্বভারতী হোস্টেল খুলতে হবে। কিন্তু কোথায় কী! আদালতের নির্দেশ সত্ত্বেও কর্তৃপক্ষর তরফ থেকে সেই রকম কোনও উদ্যোগ চোখে পড়েনি।
এদিকে, হোস্টেল খোলা নির্দেশ দিলেও পড়ুয়াদের বাকি দুটি দাবি এখনও পূরণ হয়নি। ইতিমধ্যেই পরীক্ষা বয়কটের ডাক দিয়েছেন ছাত্র-ছাত্রীরা। তারমধ্যেই আজ আবার ধর্মঘট। সেই মতই বন্ধ বিশ্বভারতীর সমস্ত ভবন। শেষ পাওয়া খবর অনযায়ী, প্রতিটি ভবনে গিয়ে বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন আন্দোলনকারী ছাত্র-ছাত্রীরা।
আন্দোলনরত এক ছাত্র বলেন, “আমাদের পড়ুয়াদের ছাত্র ধর্মঘট। এখনও পর্যন্ত বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ দুজন ছাত্রকে নিয়ে হোস্টেলের তালা ভাঙেনি। কোর্টকে অবমাননা করেই কর্তৃপক্ষ এই কাজ করছে। পাশাপাশি আমাদের যে তিন দফা দাবি ছিল তার মধ্যে একটা ছিল অনলাইন পড়িয়ে অফলাইনে পরীক্ষা নেওয়া যাবে না। সেই অফলাইন পরীক্ষা নিয়েও বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ আমাদের সঙ্গে কোনও বোঝা-পড়া করেনি। সেই কারণে বিশ্বভারতীর সাধারণ পড়ুয়ারা এই ধর্মঘট ডেকেছে। ঘুরে-ঘুরে প্রতিটি বিভাগ বন্ধ করছে। আমাদের একটাই বার্তা কর্তৃপক্ষ যেন আমাদের বিষয়গলো বোঝার চেষ্টা করে। আর আমাদের এই ধর্মঘট ততদিন অবধি চলবে যতদিন না কর্তৃপক্ষ আমাদের এই দাবি মেনে নিচ্ছে।”
বস্তুত, গত মঙ্গলবারই হাইকোর্ট বিশ্বভারতীকে নির্দেশ দেয়, অবিলম্বে বিশ্বভারতী হোস্টেল খুলতে হবে। আগামী ১১ মার্চ বিশ্বভারতীতে সেমিস্টার। তার আগে পড়ুয়ারা যাতে হস্টেলে ফিরতে পারেন, সে বিষয়ে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। হাইকোর্টের বিচারপতি রাজাশেখর মান্থা কড়া ভাবে জানিয়ে দেন, দ্রুত বিশ্বভারতী খুলতে হবে। মঙ্গলবারের শুনানিতে ভার্চুয়ালি এজলাসে উপস্থিত ছিলেন বীরভূমের পুলিশ সুপার নগেন্দ্র নাথ ত্রিপাঠি। ওইদিনই বিচারপতি রাজা শেখর মান্থা স্পষ্ট করে বলে দেন, পরীক্ষা যেন সঠিকভাবে ও সুষ্ঠভাবে সম্পন্ন হয়। সেই বিষয়টির দায়িত্ব নিতে হবে প্রশাসনকে। দু’টি গেটে পুলিশ থাকবে, যাঁরা দেখবেন বহিরাগতরা যেন ভিতরে না ঢুকতে পারে। বিচারপতি আরও জানিয়ে দিয়েছেন, পরীক্ষার নির্ঘণ্ট ও সূচি অনুযায়ী ঘর বরাদ্দ করতে হবে।
আরও পড়ুন: Anis Khan Death: ‘এটাই নিজেদের প্রমাণ করার সময়’, আনিস-মৃত্যু তদন্তে রাজ্য পুলিশে ভরসা হাইকোর্টের