পূর্ব মেদিনীপুর: সদ্যই শেষ হয়েছে রাজ্যের পুর নির্বাচন। অধিকারী গড়ে ফুটেছে একছত্র ভাবে ঘাসফুল। হাতছাড়া হয়েছে কাঁথি পুরসভা। তবুও, যেন একটুও দমেনি বিজেপি শিবির। কারণ এরপর আসছে পঞ্চায়েত ভোট। তাই ফের ঘর গোছাতে শুরু করেছে তারা। শনিবার হোলির একটি সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে এসে অন্তত এমনটাই বোঝালেন সাংসদ তথা বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। স্বাস্থ্য সাথী কার্ড নিয়ে আবারও রাজ্যকে দূষলেন তিনি।
পূর্ব মেদিনীপুর জেলার কোলাঘাটে একটি ক্লাবের বসন্ত উৎসব উপলক্ষে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। সেই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন শুভেন্দু অধিকারী। এদিন, শুভেন্দু বলেন, “রাজ্যের ১৩০ কোটি টাকা বকেয়া রয়েছে। তাই তো রোগী নিয়ে গেলে আগেই নার্সিংহোম জানতে চায় ক্যাশ না কার্ড। কার্ড হলে বেড নেই, সাফ জানিয়ে দেয় কর্তৃপক্ষ।”
শুধু স্বাস্থ্য সাথী নয়, আরও একাধিক প্রসঙ্গে এদিন বক্তব্য রাখেন বিরোধী দলনেতা। বলেন, “এই কর্মসূচি থেকে আমি আমার ভারতমাতার সন্তানদের বলব দেশ সবার আগে। দেশ যেন শক্তিশালী থাকে এই প্রার্থনা করবেন। বাড়ি করলেন, গাড়ি করলেন আর দেশটা পাকিস্তান হয়ে গেল, আফগানিস্থান হয়ে গেল। তখন সব ছেড়ে-ছুড়ে পালান ছাড়া আর কোনও উপায় থাকবে না।”
বস্তুত, স্বাস্থ্য সাথী কার্ড থাকার পরও হেনস্থার শিকার হতে হয়েছে এই উদাহরণ ভুরি-ভুরি রয়েছে। রাজ্য সরকারের স্বাস্থ্য সাথী প্রকল্পের সাথী হতে নিমরাজি রাজ্যের বেসরকারি স্বাস্থ্য প্রতিষ্ঠানগুলি। এই সংক্রান্ত প্রতিবেদন TV9 বাংলা শুক্রবার প্রকাশ করেছিল। রীতিমতো স্বাস্থ্য কর্তাদের চিঠি দিয়ে আপত্তির কথা জানানো হয়েছিল। এরপর রাজ্যের স্বাস্থ্য সাথী প্রকল্পের বাস্তর চিত্র কেমন তাঁর খোঁজখবর শুরু করে TV9 বাংলা। আর তারপরই একাধিক জেলা থেকে উঠে আসে দুর্ভোগের ছবি।
জানা গিয়েছে, কলকাতা সংলগ্ন উত্তর ২৪ পরগনা জেলায় ভোগান্তির শিকার হতে হচ্ছে সাধারণ মানুষকে। স্বাস্থ্য সাথীর কার্ড নিয়ে সাধারণ মানুষজন বিভিন্ন নার্সিং হোমে যাচ্ছেন, তাঁদের মধ্যে অনেককেই ফিরিয়ে দেওয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ। শুরুতেই বলে দেওয়া হচ্ছে বেড নেই। পরবর্তী সময়ে স্বাস্থ্য সাথীর কার্ড নিয়ে তাঁরা বিভিন্ন নেতা-নেত্রীদের কাছে যাচ্ছেন পরিষেবা পাওয়ার জন্য। এরপর এদিন পূর্ব মেদিনীপুরে স্বাস্থ্য সাথী কার্ড নিয়ে ফের আর একবার জল্পনা উস্কে দিলেন শুভেন্দু।
আরও পড়ুন: Wild Fire : প্রতি বসন্তের রুটিনে পড়ল না ছেদ, ফের আগুন জ্বলছে শুশুনিয়া পাহাড়ে