Wild Fire : প্রতি বসন্তের রুটিনে পড়ল না ছেদ, ফের আগুন জ্বলছে শুশুনিয়া পাহাড়ে
Wild Fire : আবারও শুশুনিয়া পাহাড়ে আগুল লাগল। দাউ দাউ করে জ্বলছে গোটা পাহাড়।
শুশুনিয়া : আবারও শুশুনিয়া পাহাড়ে আগুল লাগল। দাউ দাউ করে জ্বলছে গোটা পাহাড়। আজ সন্ধে হতেই আগুনের লেলিহান শিখা চোখে পড়ে স্থানীয়দের। স্থানীয় বাসিন্দারা জানিয়ছেন, প্রথম আগুনের শিখা দেখা যায় পাহাড়ের মাঝের চূড়ায়। পাহাড়ের চূড়া থেকে দ্রুত আগুন ছড়িয়ে পড়তে থাকে পাহাড়ের অন্যত্রও। শুকনো ঝড়া পাতায় লেগেই আগুন ধরেছে বলেছে অনেকের অনুমান। শীত শেষে বসন্ত আসছে। ঝড়া পাতায় ভর্তি বন। সেই ঝড়া পাতাকে আশ্রয় করেই দ্রুত ছড়িয়ে পড়ছে আগুন। এখনও জ্বলছে গোটা বন। এখনও নিয়ন্ত্রণে আসেনি আগুন।
এই আগুন লাগার খবর দেওয়া হয় বন দফতর এবং ছাতনা থানায়। খবর পেয়েই ঘটনাস্থলে আসেন বন দফতরের কর্মী, দমকল এবং স্থানীয় ছাতনা থানার পুলিশ। দমকল ও বনকর্মীদের চেষ্টায়ও আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা যায়নি। অন্ধকার হয়ে যাওয়ার কারণে আগুন নেভানোর কাজে বাধা পাচ্ছেন দমকল কর্মীরা। এর ফলে বিপুল সংখ্যক পাখি,সরীসৃপ ও কীটপতঙ্গের মৃত্যু হতে পারে বলে অনুমান করা হচ্ছে।
প্রসঙ্গত, গত কয়েক বছর ধরে বছরের ঠিক এই সময়ই শুশুনিয়া পাহাড়ে আগুন লাগছে। এই বছরও তার অন্যথা হল না। তবে প্রতি বছরের একই ঘটনা চিন্তা বাড়াচ্ছে বন দফতরের। কারণ প্রতি বছর নিয়ম করে আগুন লাগার ফলে বিপুল পরিমাণে ক্ষতি পাহাড়ের কোলে থাকা বনভূমির। মারা যাচ্ছে বহু বন্য প্রাণী, কীট পতঙ্গও। তাই স্বাভাবিকভাবেই প্রতি বসন্তে এই আগুন লাগার ঘটনা নিয়ে উঠছে প্রশ্ন। দোলের সময় অনেক পর্যটকই শুশুনিয়া পাহাড়ে ঘুরতে আসেন। সেই সময় তাঁরাই ধূমপান করার দরুন আগুন লেগে যাচ্ছে কিনা খতিয়ে দেখছে বন দফতর। এছাড়াও কেউ ইচ্ছে করে বছরের একই সময় প্রতিবার আগুন লাগিয়ে দিচ্ছে কিনা বা এর পিছনে কারোর কোনও ব্যক্তিগত স্বার্থ রয়েছে কিনা তা খতিয়ে দেখছে বন দফতর।
আরও পড়ুন : Sonamukhi Clash: নির্দল কাউন্সিলরের লোকজনের ভয়ে ‘কুঁকড়ে’ তৃণমূল! চাঞ্চল্যকর দাবি সোনামুখীতে