AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Suvendu Adhikari: ‘অধিকারীদের বিরুদ্ধে রাজীব গান্ধী-জ্যোতি বসু পারেননি, আপনি কোনছার’, মমতাকে নিশানা শুভেন্দুর

Suvendu Adhikari: "অধিকারী পরিবারের উপর কম হামলা হয়েছে? ভেবেছিল ভয় দেখিয়ে বসিয়ে দেবে। পুলিশের সঙ্গে প্রতিদিন বৈঠক করছে। সিভিক ভলান্টিয়ারদের চাপ দেওয়া হচ্ছে। আপনি ইতিহাস জানেন না। আপনার বয়স কম...''

Suvendu Adhikari: 'অধিকারীদের বিরুদ্ধে রাজীব গান্ধী-জ্যোতি বসু পারেননি, আপনি কোনছার', মমতাকে নিশানা শুভেন্দুর
শুভেন্দু অধিকারী। ফাইল চিত্র।
| Edited By: | Updated on: Dec 01, 2021 | 5:18 PM
Share

পূর্ব মেদিনীপুর: ‘রাজীব গান্ধী, জ্যোতি বসুরা পারেননি। আপনি তো কোনছাড়। হুমকি দিয়ে লাভ হবে না’। ঠিক এভাবেই তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে উদ্দেশ্য করে হুঁশিয়ারি দিলেন শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। অভিযোগ তুললেন তাঁদের পরিবারকেও হুমকি দেওয়া হচ্ছে।

শুভেন্দুর কথায়, “অধিকারী পরিবারের উপর কম হামলা হয়েছে? ভেবেছিল ভয় দেখিয়ে বসিয়ে দেবে। পুলিশের সঙ্গে প্রতিদিন বৈঠক করছে। সিভিক ভলান্টিয়ারদের চাপ দেওয়া হচ্ছে। আপনি ইতিহাস জানেন না। আপনার বয়স কম…”

তাদের দলীয় নেতাকর্মীদের উপর হামলার প্রতিবাদে এদিন মেচাদা বাইপাস থেকে মিছিল শুরু করে বিজেপি। এই মিছিলের নেতৃত্বে ছিলেন শুভেন্দু অধিকারী। মিছিলের পর সভা মঞ্চ থেকে তৃণমূলকে উদ্দেশ্য করে একের পর এক হুঁশিয়ারি দেন তিনি। তিনি এও বলেন, অধিকারীদের ধমকে চমকে লাভ নেই।

তিনি বলেন, “১৯৮৬ সালে দেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় প্রধানমন্ত্রী ছিলেন রাজীব গান্ধী। ৪০৩টা এমপি ছিল। ইন্দিরা গান্ধী মারা যাওয়ার পরও ছিল। এখানকার সাংসদ ডক্টর ফুলরেণু গুহ-ও তৃণমূলে ছিলেন। রাজীব গান্ধী তিনটে হেলিকপ্টার নিয়ে আমাদের এই মাঠে এসেছিলেন।…আমাদের শৌলা যাওয়ার যে মাঠ। এখন সেখানে অনেক বাড়ি হয়ে গিয়েছে। সেখানে অধিকারীদের বিরুদ্ধে রাজীব গান্ধীকে বলানো হয়েছিল।”

শুভেন্দু আরও যোগ করেন, “আর সেই প্রথম এখান থেকে বামফ্রন্টের এমএলএ সুখেন্দু মাইতি জিতেছিলেন। কংগ্রেস জিততে পারেনি। রাজীব গান্ধীর কথাও কাঁথির লোক গ্রহণ করেনি। প্রবাদপ্রতিম কমিউনিস্ট নেতা, সাড়ে ২৩ বছরের মুখ্যমন্ত্রী জ্যোতিবাবুকে ১৯৯৫ সালে বামফ্রন্ট এনেছিল… সেদিনও পুরসভা অবিভিক্ত কংগ্রেসের শিশির অধিকারী জিতে ছিল। আমিও কাউন্সিলর হয়েছিলাম। আপনারা (পড়ুন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়) এঁদের থেকে শক্তিশালী নন। এসব ধমক-চমক দিয়ে লাভ নেই। যাকে যা বলছেন সব আমার কাছে রেকর্ড হচ্ছে”।

“কাঁথির লোক মোদীজির কথায়, বিজেপিকে উপহার দিয়েছে। আর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এসেছিলেন ২৫ তারিখ ফাঁকা মাঠে। ১২০০ লোক নিয়ে… অনেক বড় লেকচার মেরেছিলেন, ভোটে আপনারা হেরেছিলেন। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে নন্দীগ্রামের লোক প্রত্যাখ্যান করেছে। গণতান্ত্রিক ভাবে চলুন, ভদ্র ভাবে চলুন। গণতন্ত্রে কোনও দল বেশি দিন থাকে না। খুব দম্ভ না! আমার হাতে জন্ম দেওয়া লোকগুলোকে নিয়ে বড় নাচানাচি করছেন। বড় নেতা…” কটাক্ষের সুরে মন্তব্য শুভেন্দুর।

শুভেন্দু এখানেই থামেননি। বলেন, “স্বাধীনতার পর লোকে জানত শত শত বছর কংগ্রেস থাকবে। কংগ্রেস ছাড়া আর কেউ থাকবে না। এখন পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভায় কংগ্রেসের একজন নেই। ৩৪ বছর বাম জমানায় মানুষ ভাবত সিপিএম যতদিন চাইবে এখানে থাকবে। এবার বিধানসভায় সিপিএমের একজন সদস্য নেই। এত দম্ভ কেন? পৃথিবীটা গোল। সব যোগ বিয়োগের হিসাব এই জন্মে হয়ে যাবে”।

আরও পড়ুন: Mamata In Mumbai: ‘কম কথা, বেশি কাজে বিশ্বাস করি’, বাণিজ্যনগরীতে গিয়ে বার্তা মমতার