TMC: ‘আইপ্যাককে গাছে বেঁধে পেটান’, ভোটের মুখে TMC নেতার পোস্ট ঘিরে তরজা

Tamluk TMC Leader: সম্প্রতি তমলুক পুরসভার তৃণমূলের চেয়ারম্যান দীপেন্দ্র নারায়ণ রায় দলীয় নির্দেশে পদত্যাগ করেছেন। দলীয় নির্দেশে তমলুক পুরসভার অস্থায়ী দায়িত্বভার গ্রহণ করেছেন চঞ্চল খাড়া। নাম ঘোষণা হওয়ার পরেই চঞ্চল খাড়ার বিরুদ্ধে সরাসরি তোপ দেগেছেন দলেরই একাংশ।

TMC: আইপ্যাককে গাছে বেঁধে পেটান, ভোটের মুখে TMC নেতার পোস্ট ঘিরে তরজা
তৃণমূল কাউন্সিলরImage Credit source: TV9 Bangla

| Edited By: তন্নিষ্ঠা ভাণ্ডারী

Nov 20, 2025 | 8:45 PM

তমলুক: দলের রেজাল্ট খারাপ হলে ‘আইপ্যাককে’ গাছে বেঁধে পেটানোর নিদান দিলেন তৃণমূল কাউন্সিলর। তাঁর মতে, খারাপ ফল হলে সেই দায় তৃণমূলকেই নিতে হবে। তমলুকের তৃণমূল কাউন্সিলরের সেই সোশ্যাল মিডিয়া পোস্ট ঘিরে রাজনৈতিক তরজা তুঙ্গে। পুরসভার অস্থায়ী চেয়ারম্যানের নাম ঘোষণা হওয়ার পরই ক্ষুব্ধ কাউন্সিলরদের একাংশ। তারপরই এমন নিদান দিয়েছেন কাউন্সিলর পার্থসারথী মাইতি।

সম্প্রতি তমলুক পুরসভার তৃণমূলের চেয়ারম্যান দীপেন্দ্র নারায়ণ রায় দলীয় নির্দেশে পদত্যাগ করেছেন। দলীয় নির্দেশে তমলুক পুরসভার অস্থায়ী দায়িত্বভার গ্রহণ করেছেন চঞ্চল খাড়া। নাম ঘোষণা হওয়ার পরেই চঞ্চল খাড়ার বিরুদ্ধে সরাসরি তোপ দেগেছেন দলেরই একাংশ। তাঁদের অভিযোগ, চঞ্চল খাড়া দুর্নীতিগ্রস্ত লোক। টাকা দিয়ে পদ কিনেছেন বলেও দাবি করেছেন নেতারা। দুর্নীতিতেই এবার সিলমোহর পড়ল বলে দাবি করে সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করেছেন পুরসভার কাউন্সিলর পার্থসারথী মাইতির।

তিনি লিখেছেন, “আইপ্যাক টাকা কামিয়ে চলে যাবে। কর্মীদের বলব রেজাল্ট খারাপ হলে আইপ্যাককে গাছে বেঁধে পিটুন।” এর আগেও একাধিকবার তাঁকে দলের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক কথা বলতে দেখা গিয়েছে। এবার তৃণমূলের ভোটকুশলী সংস্থা ‘আইপ্যাকে’র বিরুদ্ধেই বিস্ফোরক এই তৃণমূল নেতা। পুরসভার মধ্যে গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব রয়েছে বলে দাবি করে পার্থসারথী বলেছেন, “তৃণমূলের যে আইপ্যাক রয়েছে, তারা কলকাতায় ভুলভাল রিপোর্ট দিচ্ছে। দলের রেজাল্ট খারাপ হলে তার দায়িত্ব কে নেবে?” দলের রেজাল্ট খারাপ হলে আইপ্যাককে গাছে বেঁধে পেটানোর নিদান দিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করেছেন তিনি। এমনকী জেলা সভাপতিকেও তোলাবাজ আখ্যা দেন পার্থসারথী।

এই সেই পোস্ট:

পুরো বিষয়টাকে কটাক্ষ করেছে বিজেপি। বিজেপির জেলা সম্পাদক সুকান্ত চৌধুরী ওই পোস্ট সম্পর্কে বলেন, “তমলুক পুরসভার যোগ্য চেয়ারম্যান তৃণমূল খুঁজে পাচ্ছে না। এখানে টাকা দিলেই পদ পাওয়া যায়।”