AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Birbhum: শতাব্দীর সামনেই তৃণমূল কর্মীদের মারপিট! চলল কিল-চড়-ঘুষি

Satabdi Roy: স্থানীয় অঞ্চল সভাপতি বলরাম বাগদী ওপর হামলার অভিযোগ ওঠে তাঁরই দলের কর্মীদের বিরুদ্ধে। পরিস্থিতি বেগতিক বুঝে বলরামকে গাড়িতে চাপিয়ে  সাংসদ এলাকা ছেড়ে বেড়িয়ে যান। আক্রান্ত হন বলরামের ভাইও। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় পুলিশ। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।

Birbhum: শতাব্দীর সামনেই তৃণমূল কর্মীদের মারপিট! চলল কিল-চড়-ঘুষি
বীরভূমে তৃণমূলের গোষ্ঠীকোন্দলImage Credit: TV9 Bangla
| Edited By: | Updated on: Nov 20, 2025 | 4:09 PM
Share

বীরভূম: সাংসদ শতাব্দী রায়ের সামনেই তৃণমূল কর্মীদের মধ্যে মারপিট! উত্তপ্ত সিউড়ি। তৃণমূলের অঞ্চল সভাপতিকে দলেরই কর্মীদের মারধরের অভিযোগ। সাংসদের SIR ক্যাম্প পরিদর্শন ঘিরে তুমুল উত্তেজনা। সাংসদের সামনেই তৃণমূল কর্মীদের দু’পক্ষ একে অপরের ওপর চড়াও হন। চলতে থাকে কিল-চড়-ঘুষি। চরম ধস্তাধস্তি। ঘটনাটি ঘটেছে সিউড়ি ২ নম্বর ব্লকে।

এই সিউড়ি ২ নম্বর ব্লকে এর আগেও তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের খবর সামনে এসেছে। কিছুদিন আগেই অনুব্রতপন্থীদের সঙ্গে কাজল অনুগামীদের মধ্যে বিস্তর অশান্তি হয়েছে। এবার আবারও এই দু’পক্ষের মধ্যে অশান্তি চরমে ওঠে। এদিন সাংসদ শতাব্দী রায়ের এসআইআর-এর ক্যাম্প পরিদর্শনের কথা ছিল। তখনই তাঁর সামনেই উত্তপ্ত হয়ে ওঠে পরিস্থিতি।

স্থানীয় অঞ্চল সভাপতি বলরাম বাগদী ওপর হামলার অভিযোগ ওঠে তাঁরই দলের কর্মীদের বিরুদ্ধে। পরিস্থিতি বেগতিক বুঝে বলরামকে গাড়িতে চাপিয়ে  সাংসদ এলাকা ছেড়ে বেড়িয়ে যান। আক্রান্ত হন বলরামের ভাইও। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় পুলিশ। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। তৃণমূলের ওপর গোষ্ঠীর প্রশ্ন, কেন সাংসদ অঞ্চল সভাপতিকে এত গুরুত্ব দেন? উল্লেখ্য, বলরাম বাগদী অনুব্রত মণ্ডলের ঘনিষ্ঠ।

যদিও স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্বের বক্তব্য, দলে গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব বলে কিছু নেই। সামান্য অশান্তি হয়েছে। এলাকার তৃণমূল নেতা বলেন, “একটা বড় পরিবারে অনেক কিছুই হতে পারে। দাদা ভাইয়ের মধ্যে অশান্তি হতেই পারে। কিন্তু ওটা মিটে গিয়েছে। ওটা নিয়ে আর কিছু বলার নেই।” এদিকে, এই মারধরের নেপথ্যে সিপিএম-বিজেপি ঘাড়ে দায় ঠেলেছেন সাংসদ। সাংসদ বলেন, “যে মারধর করেছেন, সে এবার সিপিএমের বিএলএ ২। তাহলে সেভাবে কীভাবে আমাদের কর্মীদের ভিড়ে মিশল? ওই লোকগুলো আধা সিপিএম। তাহলে তো মারামারি হবেই।” তবে তিনি এও বলেন, “গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব তো আছেই, থাকবেই। তবে এই লোকগুলো মিশে থাকলে তো এরকম হবেই।”

যদিও কিছুদিন আগেই এই এলাকাতেই দু’পক্ষের মধ্যে ব্যাপক অশান্তি হয়। এলাকার একাধিক বাড়ি ঘর ভাঙচুর চালানো হয়। পরিস্থিতি সামলাতে এলাকায় নামে বিশাল বাহিনী। সেবারও অনুব্রত বনাম কাজল অনুগামীদের নামই উঠে আসে। বীরভূমে দু’পক্ষের কোন্দল মেটাতে সক্রিয় শীর্ষ নেতৃত্ব। একাধিকবার বার্তাও দেওয়া হয়েছে। তারপরও এই ঘটনা স্বাভাবিকভাবেই অস্বস্তিতে দল।

স্বাভাবিকভাবেই সুর চড়িয়েছে বিজেপি। বিজেপির রাজ্য সম্পাদক জগন্নাথ চট্টোপাধ্যায় বলেন, “শতাব্দী রায় যেখানে ভোটের প্রচারে গিয়েছিলেন, সেখানেও বিক্ষোভের মুখে পড়েছিলেন। এখন তাঁরই অনুগামীরা নিজেদেরল মধ্যে মারপিট করেছে।”