Khejuri Bomb blast: খেজুরিতে বোমা বিস্ফোরণে মৃত্যু ২ তৃণমূল কর্মীর, তদন্তভার হাতে নিল এনআইএ
Purba Medinipur: গত ৩ জানুয়ারী রাতে খেজুরি বিধানসভা পশ্চিম ভাঙ্গনবাড়ি এলাকায় বোমা বিস্ফোরণে কেঁপে ওঠে। ঘটনাস্থলে গুরুতর জখম হয় বেশ কয়েকজন তৃণমূল কর্মী সমর্থক।
খেজুরি: গত কয়েকদিন ধরে রাতভর চলে বোমাবাজি, গুলিবর্ষণ। ঘটনায় তৃণমূল-বিজেপি একে অপরের বিরুদ্ধে সরব হয়। এই বোমাবাজির ঘটনায় দু’জনের মৃত্যু পর্যন্ত হয়। তপ্ত থাকে গোটা এলাকা। এবার সেই ঘটনায় নড়েচড়ে বসল প্রশাসন। খেজুরিতে বোমা বিস্ফোরণে দুজন তৃণমূল কর্মীর মৃত্যুর ঘটনায় তদন্তের ভার নিল জাতীয় ইনভেস্টিগেশন (এনআইএ)।
সূত্রের খবর, মঙ্গলবার খেজুরি থানা থেকে তদন্তভার নেবেন ওই সংস্থা। প্রথমে এই প্রতিনিধি দল খেজুরি থানায় যান। পরে সেই থানা থেকে পুলিশ যে প্রাথমিক তদন্ত করছে তার কাগজ নেওয়ার পর দুই সদস্যের প্রতিনিধি দল ঘটনাস্থলে হাজির হয়। গত কয়েকদিন ধরে বোমা বিস্ফোরণে এলাকা খতিয়ে দেখেন আধিকারিকরা।
জানা গিয়েছে, গত ৩ জানুয়ারি রাতে খেজুরি বিধানসভা পশ্চিম ভাঙ্গনবাড়ি এলাকায় বোমা বিস্ফোরণে কেঁপে ওঠে। ঘটনাস্থলে গুরুতর জখম হয় বেশ কয়েকজন তৃণমূল কর্মী সমর্থক। তাঁদেরকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ও বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে দুজন তৃণমূল কর্মী অনুপ দাস (৩০) ও কঙ্কন করণ (৩৫) মৃত্যু হয় বলেই খবর। বেশ কয়েকজন তৃণমূল কর্মী এখনো চিকিৎসাধীন রয়েছে একাধিক বেসরকারি হাসপাতালে এমনটাই সূত্র মারফত জানা গিয়েছে।
বিজেপি পক্ষ থেকে দাবি করা হয় বোমা বানাতে গিয়ে এই বিস্ফোরণ। তখনই ঘটে যায় দুর্ঘটনা। বিজেপির পক্ষ থেকে কেন্দ্রীয় তদন্ত সংস্থা তদন্তের দাবি জানিয়েছিলেন। রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীও এনআইএ তদন্তের দাবি জানিয়েছিলেন। যদিও, সমগ্র ঘটনা নিয়ে এখনো পর্যন্ত রাজনৈতিক তর্জা থামেনি গেরুয়া ও ঘাসফুল শিবিরে। এবার জাতীয় সংস্থার তদন্ত কোন দিকে এগোয় সেই দিকেই তাকিয়ে সবাই।
এর আগ ২৫ নভেম্বরও উত্তপ্ত হয় খেজুরি। রাতভর চলে বাড়ি ভাঙচুর, বোমাবাজি, গুলিবর্ষণ। ঘটনায় তৃণমূল-বিজেপি একে অপরের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলে সরব হয়। এলাকায় মোতায়েন করা হয় বিশাল পুলিশবাহিনী ও র্যাফ। বুধবার, হার্মাদ দিবস উপলক্ষ্যে তৃণমূল (TMC) ও বিজেপি (BJP) পৃথক পৃথক সভা করেন। পরে সেদিন রাত থেকেই ফের উত্তপ্ত হয়ে ওঠে খেজুরি।
আরও পড়ুন: Ranaghat Murder: ৮ বছরের শিশুকে অপহরণ করে খুন! ২ মহিলা-সহ ৪ জনের যাবজ্জীবন
আরও পড়ুন: Bankura Tourist Spot: আবার শুরু হোটেল বুকিং, বসছে দোকান, করোনার খরা কাটিয়ে খুলছে পর্যটন কেন্দ্র