AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

‘মুসলিম লীগ নেই, তাদের প্রতিনিধি হয়েছে তৃণমূল লীগ,’ কটাক্ষ রাহুলের

Rahul Sinha: "দেশভাগের জন্য যারা জ্যোতি বসুকে চাপ দিচ্ছিল, যারা বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যকে চাপ দিয়েছিল, তারাই মমতাকে চাপ দিচ্ছে। এতেই স্পষ্ট দেশ বিরোধী লাইন এক।''

'মুসলিম লীগ নেই, তাদের প্রতিনিধি হয়েছে তৃণমূল লীগ,' কটাক্ষ রাহুলের
নিজস্ব চিত্র
| Edited By: | Updated on: Aug 14, 2021 | 9:11 PM
Share

পূর্ব মেদিনীপুর: “এখন দেখছি, মুসলিম লীগ তো নেই, তৃণমূল লীগ হয়েছে, তাদের প্রতিনিধিত্ব করার জন্য।” ঠিক এভাবেই পূর্ব মেদিনীপুরের কাঁথি থেকে রাজ্যের শাসক দলকে আক্রমণ করলেন বিজেপি নেতা রাহুল সিনহা (Rahul Sinha)। তাঁর দাবি, মুসলীম লিগের মতো ফের দেশকে খণ্ড করার ‘ষড়যন্ত্রে শামিল হয়েছে ঘরের শত্রুরা’।

শনিবার কাঁথি সাতমাইলের মানিক মার্কেটের দ্বিতলে ‘দেশভাগ ও বর্তমান পশ্চিমবঙ্গ’ – বিষয়ক আলোচনা সভায় অংশ নেন বিজেপি নেতা রাহুল সিনহা। সেই আলোচনায় তিনি রাজ্যের শাসক দলকে তুলোধোনা করে একের পর এক আক্রমণ শানান। বলেন, ১৯৪৭ সালের ১৪ ফেব্রুয়ারি দেশভাগ হয়েছিল। জন্ম হয়েছিল পাকিস্তানের। দেশ ভাগের সেই অতীত স্মরণ করেই নতুন করে দেশ ভাগ হতে না দেওয়ার প্রতিজ্ঞা গ্রহণে এদিনের এই আলোচনা সভার আয়োজন। রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় এমন ৬ টি আলোচনা শিবিরের আয়োজন করেছিল বিজেপি।

সেই আলোচনা সভায় নতুন করে দেশ ভাগের চক্রান্ত চলছে বলে দাবি করেন রাহুল সিনহা। তিনি বলেন, “আমরা লক্ষ্য করছি আবার দেশ ভাগের চক্রান্ত হচ্ছে। দেশকে খণ্ড করার জন্য একদল বহিঃশত্রু ঘরের সঙ্গে হাতে হাত মিলিয়েছে। দেশকে দুর্বল করতে চায় তারা।”

এখানেই থামেননি রাহুল। বাংলার বামফ্রন্ট আমল থেকে তৃণমূল জমানাকে আক্রমণ করে তাঁর মন্তব্য, “দেশভাগের জন্য যারা জ্যোতি বসুকে চাপ দিচ্ছিল, যারা বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যকে চাপ দিয়েছিল, তারাই মমতাকে চাপ দিচ্ছে। এতেই স্পষ্ট দেশ বিরোধী লাইন এক। কিন্তু বিজেপি থাকতে আর দেশ ভাগ হবে না। জীবন থাকতে আমরা আর দেশ ভাগ হতে দেব না। ভারত মাতার পতাকা তুলে দেশকে অখণ্ড রাখার প্রতিজ্ঞা নিয়েছি আমরা।”

এদিনের এই আলোচনা সভাতে রাহুল ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন রাজ্য বিজেপি-র বুদ্ধিজীবী সেলের আহ্বায়ক রন্তিদেব সেনগুপ্ত, কাঁথি সাংগঠনিক জেলা বিজেপি-র সভাপতি অনুপ চক্রবর্তীরা।

এদিকে গত ১৬ আগস্ট রাজ্য জুড়ে ‘খেলা দিবস’ উদযাপন ঘোষণা করেছে রাজ্য সরকার। এদিন তারও সমালোচনা করেন রাহুল সিনহা। কটাক্ষের সুরে বলেন, “কোনও তাৎপর্যই নেই খেলা দিবসের। ১৯৮০ সালে ইস্টবেঙ্গল-মোহনবাগানের খেলায় কতগুলি তাজা প্রাণ চলে গেল। সেই দিন আনন্দ করবে মমতা ব্যানার্জিরা! যেখানে দ্য গ্রেট ক্যালকাটা কিলিংস-এর নামে ১৯৪৬ সালে ১০ হাজার হিন্দু মানুষকে হত্যা করা হল দাঙ্গার মাধ্যমে। সেই দাঙ্গার উৎসব পালন করবে! আমি এখন দেখছি, মুসলিমলীগ তো নেই, এখন তৃণমূল লীগ হয়েছে তাদের প্রতিনিধিত্ব করার জন্য। সেই কারণেই ১৬ আগস্ট খেলা দিবস।”

তিনি যোগ করেন, ‘অন্যদিন করুক না খেলা। ওদের কে বারণ করেছে খেলতে। কিন্তু এই রকম সংবেদনশীল দিনে খেলা হবে নামে খেলা, এটা কোনওভাবেই মেনে নেওয়া যায় না।’

এদিকে বিজেপি নেতার কটাক্ষের জবাব দিয়েছেন পটাশপুরের তৃণমূল বিধায়ক তথা কাঁথি শহর তৃণমূল সভাপতি উত্তম বারিক। তাঁর কথায়, রাহুল বাবু হেরো পার্টির, ওনার সম্বন্ধে বলতে রুচিতে বাধে। রাহুল বাবু অনেক স্বপ্ন এখনও থেকে গিয়েছে। কারণ তৃণমূল থেকে এমন একজন কে উনি নিয়ে গেলেন এখন তিনিই মুখ হয়ে উঠেছেন। মুখ্যমন্ত্রীর ৭৪টি উন্নয়ন প্রকল্প নিয়ে কোনও তোষণ রাজনীতি হচ্ছে না। উন্নয়ন সবার জন্য।” আরও পড়ুন: দিঘায় সমুদ্রস্নানে আতঙ্ক! ঘোলাটে-কালো জল দেখে পড়িমরি ছুট পর্যটকদের