দিঘায় সমুদ্রস্নানে আতঙ্ক! ঘোলাটে-কালো জল দেখে পড়িমরি ছুট পর্যটকদের

Digha: সমুদ্রে স্নানে গিয়েই ধেয়ে এল আতঙ্ক। সমুদ্রের জল কেন এত ঘোলাটে? কাদা আর কালো রংয়ের জল দেখে তীব্র আতঙ্ক ছড়াল পর্যটকদের মধ্যে।

দিঘায় সমুদ্রস্নানে আতঙ্ক! ঘোলাটে-কালো জল দেখে পড়িমরি ছুট পর্যটকদের
নিজস্ব চিত্র
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Aug 14, 2021 | 7:26 PM

দিঘা: দিঘায় (Digha) প্রবল জলোচ্ছ্বাসে পর্যটকদের উল্লাসে বাধ সাধল ঘোলাটে কালো জল। শনিবার ও রবিবার, দু’দিনের অফিস ছুটি। তাই কলকাতা-সহ শহরতলী এলাকা থেকে সকাল থেকেই ভিড় দিঘায়। এদিন সকাল থেকে জেলার দিঘা সমুদ্রও বেশ উত্তাল হয়ে উঠেছে। জলোচ্ছ্বাস দেখতে ভিড় জমে যায় সমুদ্র তীরে। কিন্তু সমুদ্রে স্নানে গিয়েই ধেয়ে এল আতঙ্ক। সমুদ্রের জল কেন এত ঘোলাটে? কাদা আর কালো রংয়ের জল দেখে তীব্র আতঙ্ক ছড়াল পর্যটকদের মধ্যে।

কাদা ও আর ঘোলাজলের ফলে বহু পর্যটকর সমুদ্রস্নানে গিয়ে বেশ অস্বস্তিতে পড়েছেন। অনেকেই আশঙ্ক-আতঙ্কে হোটেলে ফিরে যান। সবারই এক প্রশ্ন, কেন এত কালচে জল দিঘা সমুদ্রে? এদিকে সমুদ্রের জল সম্পূর্ণ ভাবে ঘোলাটে এবং কালো হয়ে যাওয়ায় প্রশাসনের তরফ থেকে পর্যটকদের সমুদ্রে না নামার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। সকাল থেকে বহু পর্যটক ঘোলাটে জলের মধ্যে সমুদ্রে নেমে শারীরিকভাবে অস্বস্তি বোধ করছেন। তাই ইতিমধ্যে সমুদ্র চত্বরে সিভিল ডিফেন্স বিশেষ নজরদারি চালাচ্ছে। এমন পরিস্থিতিতে যাতে পর্যটকরা সমুদ্রে না নামতে পারেন সে ব্যাপারটা খতিয়ে দেখছে দিঘা ও মোহনা থানার পুলিশ।

তবে দিঘা সমুদ্র-সৈকত এই ধরনের ঘটনা খুব কম ঘটলেও এর আগেও বেশ কিছুদিন আগে দেখা গিয়েছিল। এই বিষয়ে পরিবেশ কর্মী সোমনাথ দাস অধিকারীর দাবি, “দিঘার সমুদ্রের জল সব থেকে বেশি ফিল্টার ওয়াটার। নোনা ভাব থাকবে জলে কিন্তু, একদম ঝকঝকে হবে যাতে জলের নিচ পর্যন্ত দেখা যাবে। সে খানে জলঘোলা কখনওই হওয়ার কথা নয়। হবে জুনপুট-সহ অন্যান্য জায়গায় যেখানে ইনক্লাইমেস্যান জিরো যেখানে ঘোলা হয় সমুদ্রের জল। কিন্তু দিঘার এই দৃশ্য দেখা দেওয়ার কথা নয়।” এর মূল কারণ হিসাবে সমুদ্র দূষণকে দায়ী করেছেন সোমনাথবাবু।

অন্যদিকে সমুদ্র বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন জলের নিচে গভীরে থাকা সেরিমেন্ট বা কাদার স্তর রোলিং বা স্রোতের কারণে জলের সঙ্গে মিশে ওপরের দিকে উঠে আসার ফলে জলের রং কাদার মতো কালো হয়ে থাকতে পারে। এ বিষয়ে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন অধ্যাপক সমুদ্র বিজ্ঞানী গৌতম সেন বলেন, “দিঘা উপকূলে সমুদ্রের গভীরে দিঘা থেকে ওড়িশার ধামরা পর্যন্ত একটা মোটা কাদা বা সেরিমেন্টের স্তর রয়েছে। প্রায় ২৪কিমি দৈর্ঘ্য-প্রস্থ হবে এর। যা খুব ধীর গতিতে ধামরা থেকে মন্দারমণির দিকে আবার মন্দারমণির দিক থেকে ধামরার দিকে বাহিত হয়।”

তবে জলের ভেতরের স্রোত ও ওপরের দিকের স্রোত দুটি আলাদা। কোনও কারণে জলের ভেতরের স্রোতের টানে এই পলি জলের সঙ্গে মিশে ওপরের দিকে উঠে আসার ফলে জলে কাদার পরিমাণ বেড়ে গিয়েছে। তবে এটা সমুদ্রের স্বাভাবিক বিষয় বলে জানান তিনি। আশ্বস্ত করেন, এতে আতঙ্কিত হওয়ার কোন কারণই নেই। আরও পড়ুন: হায় স্বাধীনতা! গান্ধীজির সহযোদ্ধা তথা এলাকার প্রথম বিধায়কের পরিবারও ‘কাটমানি’র শিকার!