Tamluk-TMC Leader: ‘নেতারা টাকা নিয়েছে’, ওঠবোস করে ক্ষমা চাইলেন তৃণমূল কাউন্সিলর, ভিডিয়ো ভাইরাল

Recruitment Scam: পার্থসারথি মাইতি শুধুমাত্র কাউন্সিলরই নন, রাজ্যের যুব সহ সভাপতিও বটে। সম্প্রতি অযোগ্যদের তালিকা প্রকাশ হওয়ার পর সেই নেতা এভাবে কান ধরে ওঠবোস করেছেন।

Tamluk-TMC Leader: নেতারা টাকা নিয়েছে, ওঠবোস করে ক্ষমা চাইলেন তৃণমূল কাউন্সিলর, ভিডিয়ো ভাইরাল
কান ধরে ওঠবোস কাউন্সিলরেরImage Credit source: TV9 Bangla

| Edited By: তন্নিষ্ঠা ভাণ্ডারী

Sep 02, 2025 | 4:46 PM

তমলুক: কারা অযোগ্য? সেই প্রশ্নে তুমুল চর্চা চলছিল এতদিন ধরে। এবার দাগি শিক্ষক-শিক্ষিকাদের তালিকা প্রকাশ্যে আসার পর রাজ্য জুড়ে একাধিক তৃণমূল নেতা ও তাঁদের আত্মীয়দের নাম সামনে এসেছে। আর এবার সামনে এলে এক নতুন নাটক। বিষয়টাকে নাটক’ বললেও কম হবে। একজন তৃণমূল কাউন্সিলর ক্যামেরার সামনে ওঠবোস করছেন। তিনি বলছেন, কয়েকজন তৃণমূল নেতা টাকা নিয়েছেন কিন্তু মুখ খুলছেন না।

পূর্ব মেদিনীপুরের তৃণমূল নেতার এমন বিবেক জাগ্রত হওয়ায় বিস্ময় প্রকাশ করছেন বিরোধীরা। তবে তৃণমূল নেতাদের টাকা দেওয়ার কথা বললেন ওই নেতার নিশানায় বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করা ওই ভিডিয়োতে দেখা যাচ্ছে, ওই নেতা বলছেন, আমাদের যে নেতৃত্ব টাকা নেওয়ার পরও মুখ খুলছে না, তাদের জন্য আমি ওঠবোস করে ক্ষমা চাইছি। তাঁদের জন্যই শুভেন্দু অধিকারী বড় বড় কথা বলছেন। এভাবে প্রকাশ্যে তৃণমূল নেতার কান ধরে ওঠবোসের ভিডিয়ো ঘিরে জেলায় শোরগোল শুরু হয়েছে।

পুরো দুর্নীতি নিয়ে মুখ খুলে আগেই বিপাকে পড়েছিলেন তমলুক পুরসভার ১০ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল কাউন্সিলর পার্থসারথি মাইতি। পরে কান ধরে ক্ষমা চেয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করেছিলেন ওই তৃণমূল নেতা। আর এবার শুধু কান ধরে ক্ষমা চাওয়া নয়, রীতিমতো কান ধরে ওঠবোস করতেও দেখা যায় ওই তৃণমূল নেতাকে।

পার্থসারথি মাইতি শুধুমাত্র কাউন্সিলরই নন, রাজ্যের যুব সহ সভাপতিও বটে। সম্প্রতি অযোগ্যদের তালিকা প্রকাশ হওয়ার পর সেই প্রসঙ্গে শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি প্রসঙ্গে নন্দীগ্রামের বিধায়ক শুভেন্দু বলেন, আমার কোনও আত্মীয়কে এই লিস্টে পাবেন না।এই বক্তব্যের পরই পার্থসারথী বলেন, যে শুভেন্দু অধিকারী সবচেয়ে বেশি চুরি করেছে। সেই শুভেন্দু অধিকারী নন্দীগ্রামে বড় বড় কথা বলছেন।

এই ছবি দেখে বিজেপি বলছে, পাগলের প্রলাপ। বিজেপি নেতা রাহুল সিনহা বলেন, ‘এখনও তো কিছু লোক আছে, যাদের অনুশোচনা আছে। আদর্শের জন্য এরা তৃণমূল করেছিল। এখন তারা দেখছে, টাকা ছাড়া তৃণমূল কিছু বোঝে না। এটা একটা অভিনব প্রচার।

তৃণমূল নেতা অরূপ চক্রবর্তী প্রশ্ন তুলেছেন। তিনি বলেন, এখন সবার দায়িত্ব নিয়ে ওঠবোস করছেন। তাহলে উনিই কি অন্যায়টা করেছেন? মনে হলে সিবিআই-এর কাছে গেলেন না কেন? এতদিন তদন্তকারী সংস্থাকে সহযোগিতা করেননি কেন?”