পূর্ব মেদিনীপুর: অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhishek Banerjee) কয়েকদিন আগেই দাবি করেছেন ২৫ বিজেপি বিধায়ক (BJP MLA) তাঁদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছেন। কিন্তু তাঁরা শুধু নিচ্ছেন না। এবার সেই প্রসঙ্গ টেনে দিলীপ ঘোষ (Dilip Ghosh) ও শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari) কে কটাক্ষ করলেন কুণাল ঘোষ (Kunal Ghosh)। তাঁর দাবি, সেই ২৫ বিজেপি বিধায়ক রোজ টিভির পর্দায় আসেন। তাঁদের সঙ্গে রোজ ওঠাবসা দিলীপ-শুভেন্দুদের। অথচ, তাঁরা ঘুণাক্ষরেও জানেন না এঁরা তৃণমূলে যোগ দেবেন।
বুধবার পূর্ব মেদিনীপুরের কাঁথির পিকে কলেজ লাগোয়া মাঠে স্থানীয় একটি ক্লাবের গণেশ পুজোর উদ্বোধন করেন রাজ্যের মন্ত্রী অখিল গিরি। এই অনুষ্ঠানে এসে এদিন অধিকারীদের বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ করেন কুণাল ঘোষ। সেখানে এক জায়গায় তিনি বলেন, “বিজেপি-র লোকেরাই ওদের ঘরের খবর দিচ্ছে। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছেন, বিজেপি-র আরও ২৫ জন বিধায়ক পা বাড়িয়ে রেখেছেন। এতে মজা পাচ্ছি। টিভিতে শুভেন্দু-দিলীপবাবুদের সঙ্গে ওঁদের ওঠাবসা দেখি। ওঁদের বলে রাখা হয়েছে, এখন থাকুন। দলে (বিজেপি-তে) যা যা হচ্ছে খবর দিন।”
উল্লেখ্য, কয়লা কাণ্ডে দিল্লিতে ইডি দফতরে হাজিরা দিয়ে বেরিয়ে এসে অমিত শাহকে আক্রমণ করেন অভিষেক। বলেন, ‘উনি তো শুধু বড় বড় কথা বলতেন। বলতেন তাঁর নাকি অনেক কম বয়স থেকেই রাজনীতির অভিজ্ঞতা রয়েছে। তাঁরা ২০০-র বেশি আসন পাবেন। কিন্তু ২০০ কোথায়, গাড়ি তো ৭০-ই আটকে গেল। আগামী দিনে যে সব রাজ্যে বিজেপির সংগঠন রয়েছে, সেখানে গিয়ে আমরা ওদের সরাসরি টক্কর দেব।’
এখানেই না থেমে অভিষেক চমক দিয়ে বলেন, “আমি বলছি এখনও ২৫ জন বিজেপি বিধায়ক লাইনে রয়েছেন, শুধু আমরা তাঁদের নিচ্ছি না। তবে যদি কেউ মনে করেন যে বিজেপি এলে উপনির্বাচন হবে না, তাঁদের আশ্বাস দিচ্ছি, প্রয়োজনে ওরা ইস্তফা দিয়ে লড়ে জিতে আসবে।” সেই প্রসঙ্গ টেনে এদিন মন্তব্য করলেন তৃণমূলের রাজ্য সম্পাদক।
রাজ্যের বিরোধী নেতাকে নিশানা করে তিনি আরও বলেন, “শুভেন্দুরা সামনের দিকে তাকিয়ে বড় বড় কথা বলছেন। পিছনের দিকে তাকিয়ে দেখতে পাচ্ছেন না। ছায়াটাও ওঁদের সঙ্গে নেই।”
এই অনুষ্ঠানে তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন বিধায়ক তথা অভিনেতা সোহম চক্রবর্তী এবং অভিনেত্রী কৌশানি মুখোপাধ্যায়, প্রাক্তন মন্ত্রী জ্যোতির্ময় কর এবং জেলা যুব সভাপতি সুপ্রকাশ গিরি। পাশাপাশি তাঁর প্রাক্তন দেহরক্ষীর মৃত্যুর তদন্ত মামলায় হাইকোর্টের ‘রক্ষাকবচ’ প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে শুভেন্দুকে ‘কাপুরুষ, মেরুদন্ডহীন, ভীতু, পলাতক রাজনীতিবিদ’ বলে অভিহিত করেন কুণাল। বলেন, “এত ভয় কিসের। ওঁকে শুধু জিজ্ঞাসাবাদের জন্যে ডেকে পাঠানো হয়েছে। শুভেন্দু একজন ভীতু, পলাতক রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব। গ্রেফতারের ভয়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছেন ।ওঁনার দেহরক্ষীর মৃত্যুর ঘটনায় সহযোগিতা করা উচিত।”
আরও পড়ুন: পদ্ম ছেড়ে ঘাসফুলের পথে আরেক ধাপ কৃষ্ণের, এবার বিজেপি সাংসদের ছবি ঢেকে দেওয়া হল বিধায়কের কার্যালয়ে