পূর্ব মেদিনীপুর: রেলে জায়গায় গার্ডওয়াল তৈরি করার অভিযোগ উঠল এক শিক্ষকের বিরুদ্ধে। অভিযোগ, ওই শিক্ষক নিজের প্রভাব খাটিয়ে নয়ানজুলি ভরাট করে এই গার্ডওয়াল তৈরি করান। মহিষাদল ব্লকের এই ঘটনায় শোরগোল পড়ে গিয়েছে এলাকায়। যদিও ওই শিক্ষকের দাবি, তিনি কোনওরকম প্রভাব খাটাননি। বরং এলাকার সকলে মিলে আলোচনা করে এটি তৈরি করেন। তিনি শুধুমাত্র আর্থিক সহযোগিতা করেছেন। মহিষাদল ব্লকের নাটশাল-২ গ্রামপঞ্চায়েতের রঙ্গিবসান গ্রামের এই ঘটনা এখন জোর চর্চায়। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, রঙ্গিবসানের প্রভাস দাস সরকারি স্কুলে শিক্ষকতা করেন। অভিযোগ, তিনি একটি গার্ডওয়াল তৈরি করেছেন, যা রেলের জমির উপর তৈরি করা হয়েছে। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, রেলের ওই জায়গায় কিছুদিন আগে এলাকারই কিছু লোকজন অস্থায়ী নির্মাণ করেন। রেলের তরফে সেগুলি ভেঙে ফেলার কথা বলা হয়। অথচ এই স্কুল শিক্ষক বহু টাকা খরচ করে এই গার্ডওয়াল তৈরি করে ফেললেন রাতারাতি। যেখানে এই নির্মাণ, সেখান থেকে সামান্য দূরে রামবাগ স্টেশন। রেলের কি বিষয়টি চোখে পড়েনি সে প্রশ্নও তুলেছেন স্থানীয়দের একাংশ।
এলাকাবাসীর অভিযোগ, নিজেকে সরকারের প্রতিনিধি বলে জাহির করে থাকেন ওই শিক্ষক। তিনি প্রভাব খাটিয়ে এই বেআইনি নির্মাণ করেছেন। এলাকার বাসিন্দা বিষ্ণুপদ মান্না জানান, “রান্নার ঘর, বাথরুম ভেঙে দিল আমার। অথচ ওদের পয়সা আছে বলে রাতারাতি কাজ হয়ে গেল। আমি বললেও কে আর আমার কথা শুনবে। একটা পাঁচিল তৈরি করছে লক্ষ লক্ষ টাকা দিয়ে। আর আমার ঘরের তিন ইঞ্চি গাঁথা, বলছে ভেঙে দিতে হবে।” অভিযুক্ত শিক্ষক প্রভাস দাসের দাবি, “এই কাজ আমি করিনি। পশ্চিমপাড়ার বাসিন্দারাই এটা তৈরি করার কথা বলেন। আমি আর্থিক সহযোগিতা করেছি।”
যদিও পশ্চিমপাড়া কমিটির সম্পাদক বিমল মাইতি বলেন, “রেলের জায়গায় পাড়ার লোকজন কেনই বা কোনও কিছু করবে। শিক্ষক নিজেই এটা করেছেন।” এই নিয়ে এলাকায় তরজা শুরু। তমলুক আরপিএফের ওসি দ্বিজেন্দ্র কুমার জানান, স্থানীয়দের অভিযোগের ভিত্তিতে দফতরের আধিকারিকরা পরিদর্শনে যাচ্ছেন। অন্যদিকে এলাকার বিডিও যোগেশ বর্মনের বক্তব্য, “আমাদের কেউ এ নিয়ে কিছু জানায়নি। রেলের জায়গায় কেউ পাঁচিল দিলে, রেল তা বুঝে নেবে।”