পূর্ব মেদিনীপুর: বৃদ্ধ মা, বাবা। ছেলেকেই বুড়ো বয়সের একমাত্র সম্বল বলে ভেবে নিয়েছিলেন। অভিযোগ, সেই ছেলে নিয়মিত বাবা, মায়ের উপর জোর খাটান। একটাই দাবি, সমস্ত সম্পত্তি তাঁর নামে লিখে দিতে হবে। এদিকে তাতে কিছুতেই রাজি হচ্ছিলেন না বৃদ্ধ দম্পতি। অভিযোগ, সেই রাগেই মা ও বাবাকে বেধড়ক মারধর করেন ওই যুবক। আক্রান্তদের চিৎকার চেঁচামেচিতে ছুটে আসেন স্থানীয়রা। সমস্ত বিষয়টি থানায় জানানো হয়। শনিবার রাতে গুণধর ছেলেকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। রবিবার তাঁকে কাঁথি মহকুমা আদালতে তোলা হয়। ঘটনাটি ঘটে পূর্ব মেদিনীপুরের (Purba Medinipur) রামনগর থানা এলাকার নরকুলি এলাকায়। পুলিশ জানিয়েছে ধৃত ওই যুবকের নাম প্রদীপ দাস। সম্পত্তি নিয়ে বিবাদের জেরে অসহায় মা, বাবাকে মারধর করার অভিযোগ প্রায়শই ওঠে। মন নিয়ে যারা গবেষণা করেন, তাঁদের মতে, লোভ থেকে কারও কারও মনে প্রতিহিংসাপরায়ণতা মাথা চাড়া দেয়। তার জেরে মা, বাবার গায়ে হাত তুলতেও দু’বার ভাবেন না সন্তান।
রামনগর থানার নরকুলি এলাকা। সেখানেই প্রদীপ দাসের বাড়ি। অভিযোগ, মা, বাবার সঙ্গে সম্পত্তির মালিকানা হস্তান্তর নিয়ে বেশ কিছুদিন ধরেই বিবাদ চলছিল তাঁর। অভিযোগ, প্রদীপ বাবার সম্পত্তি নিজের নামে লিখিয়ে নেওয়ার জন্য বাবাকে চাপ দিচ্ছিলেন। এরপরই গায়ে হাত তোলেন। অভিযুক্তের বাবার অভিযোগের ভিত্তিতেই রামনগর থানার পুলিশ তাঁকে গ্রেফতার করে। রবিবার অভিযুক্তকে কাঁথি মহকুমা আদালতে তোলা হয়। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। এই ঘটনায় ধৃতের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করেছেন স্থানীয়রা।
আদালত সূত্রে খবর, সম্পত্তি নিজের নামে লেখানোর জন্য মা, বাবার উপর প্রায়ই অত্যাচার করেন প্রদীপ দাস। ছেলের আচরণ সুবিধার লাগেনি বাবার। তিনিও তা ছেলের নামে এখনই লিখে দিতে চাননি। তা নিয়েই শুরু হয় ঝামেলা। এরপরই বাবা, মায়ের গায়ে তিনি হাত তোলেন বলে অভিযোগ। প্রতিবেশীরা চিৎকার শুনে ছুটে এসে দেখেন মার খেয়ে কেঁদে চলেছেন দম্পতি। তাঁরাই কোনওরকমে উদ্ধার করে স্থানীয় স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে যান। শনিবার দুপুরেই গুণধর ছেলের বিরুদ্ধে রামনগর থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের হয়। অভিযোগ পেয়ে তদন্তে নামে পুলিশ। রাতেই গ্রেফতার করা হয় ওই যুবককে।
আরও পড়ুন: Barasat News: পাড়ার ভিতর এসব কী? প্রতিবাদ করতেই ঘিরে ধরে মার যুবককে