Purulia: ছাত্রদের দিয়ে ঝাঁট দেওয়ান হেডমাস্টার! অভিযোগ উঠতেই বললেন, ‘আমি তৃণমূল করি…’

Purulia: স্কুলে ছাত্রছাত্রীর সংখ্যা ১০২। স্কুলের আশপাশে যে সমস্ত স্কুল রয়েছে সেখানকার পড়ুয়ারাই মূলত এই স্কুলে পড়ে। কিন্তু, শিক্ষকরা স্কুলে এলেও গত দু’দিন ধরে স্কুলে আসছে না কোনও পড়ুয়াই। তাতেই চাপানউতোর এলাকায়।

Purulia: ছাত্রদের দিয়ে ঝাঁট দেওয়ান হেডমাস্টার! অভিযোগ উঠতেই বললেন, আমি তৃণমূল করি...
চাপানউতোর এলাকায় Image Credit source: TV 9 Bangla

| Edited By: জয়দীপ দাস

Mar 05, 2025 | 4:29 PM

পুরুলিয়া: স্কুলে ঝাঁট দিচ্ছে পড়ুয়ারা। আর তা করতে বলেছেন খোদ হেডমাস্টার। আর এ ছবি একদিনের নয়। তাতেই ক্ষোভে ফুঁসছেন অভিভাবকরা। প্রতিবাদ জানাতে গেলে তাঁদের সঙ্গে দুর্ব্যবহার করা হয় বলেও অভিযোগ। তারপর থেকে আর বাড়ির ছেলেমেয়েদের স্কুলে পাঠাচ্ছেন না অভিভাবকেরা। লাটে উঠেছে পঠনপঠন। অন্যদিকে হেডমাস্টারের দাবি, তিনি তৃণমূল করেন বলেই তাঁর বিরুদ্ধে চক্রান্ত করা হচ্ছে। ঘটনাকে কেন্দ্র করে এলাকার রাজনৈতিক মহলেও শুরু হয়েছে শোরগোল। ঘটনা পুরুলিয়ার বাঘমুন্ডি ব্লকের মাঠা নিম্ন বুনিয়াদী  বিদ্যালয়ে।

এই স্কুলে ছাত্রছাত্রীর সংখ্যা ১০২। স্কুলের আশপাশে যে সমস্ত স্কুল রয়েছে সেখানকার পড়ুয়ারাই মূলত এই স্কুলে পড়ে। কিন্তু, শিক্ষকরা স্কুলে এলেও গত দু’দিন ধরে স্কুলে আসছে না কোনও পড়ুয়াই। তাতেই চাপানউতোর এলাকায়। অভিভাবকদের অভিযোগ, স্কুলের প্রধান শিক্ষক কমলাকান্ত দত্ত স্কুলের ছাত্রীদের দিয়ে ক্লাস রুম ঝাঁট দেওয়ান। তারই প্রতিবাদে সামিল হন গ্রামের বাসিন্দারা। এই বিষয়ে প্রতিবাদ জানাতে গেলে কার্যত হাক ধরে টানতে টানতে তাঁদের স্কুল থেকে বের করে দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। 

ইতিমধ্যেই এ ঘটনায় বাঘমুন্ডি থানা, ব্লক এবং বাঘমুন্ডি ১ চক্রের অবর বিদ্যালয় পরিদর্শকের কাছে লিখিত অভিযোগ জানানো হয়েছে বলে জানা যাচ্ছে। প্রতিবাদী অভিভাবকদের দাবি, যতক্ষণ না ওই হেডমাস্টারকে বদলি করা হচ্ছে ততক্ষণ ছেলেমেয়েদের তাঁরা স্কুলে পাঠাবেন না। যদিও ঘটনার নেপথ্যে চক্রান্তের গন্ধ পাচ্ছেন ‘অভিযুক্ত’ হেডমাস্টার। তাঁর কথায়, স্কুলের ক্লাস রুম পরিষ্কারের জন্য কোনও টাকা দেওয়া হয় না। প্রত্যেক স্কুলেই ছাত্র-ছাত্রীরা ঝাঁট দেয়। আগের প্রধান শিক্ষক একজনকে রেখে ছিলেন। আমি তাঁকে রাখতে পারিনি। এরপরেই তিনি বলেন, আমি তৃণমূল করি। তৃণমূল করাটা কী অপরাধ? তাঁর অভিযোগ মাঠা গ্রাম পঞ্চায়েতের একজন সদস্য মালতি সিং বাবু ষড়যন্ত্র করছেন। যদিও জেলা স্কুল পারিদর্শক কানাইলাল বাঁকুড়া বলছেন, “গ্রামবাসীদের কাছ থেকে একটা অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত করে রিপোর্ট দিতে বলা হয়েছে উপরমহলে।”