Jhalda Councillor Murder: ৭ দিন পার, ঝালদার কাউন্সিলর খুনে আজ ঘটনাস্থলে ফরেনসিক টিম

Jhalda Councillor Murder: ব্যালেস্টিক টিমের সদস্যরা খতিয়ে দেখবেন. যে আগ্নেয়াস্ত্র ও কার্তুজ ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার হয়েছে, সেটা দিয়েই খুন করা হয়েছে কিনা। বায়োলজি এক্সপার্টরা রক্তের নমুনা সংগ্রহ করবেন।

Jhalda Councillor Murder: ৭ দিন পার, ঝালদার কাউন্সিলর খুনে আজ ঘটনাস্থলে ফরেনসিক টিম
তপন কান্দু খুনের তদন্তে সিবিআই

| Edited By: শর্মিষ্ঠা চক্রবর্তী

Mar 20, 2022 | 11:13 AM

পুরুলিয়া: ঝালদায় কাউন্সিলর খুনে রবিবার ঘটনাস্থলে যাচ্ছে ফরেনসিক টিম। এদিন সিট আধিকারিকদের সঙ্গে ফরেনসিক বিশেষজ্ঞরাও সরেজমিনে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করবে। বেলগাছিয়া স্টেট ফরেন্সিক সায়েন্স ল্যাব থেকে ২ টি টিম যাচ্ছে বলে জানা যাচ্ছে। ব্যালিস্টিক ও বায়োলজি এক্সপার্টরা ঘটনাস্থল থেকে নমুনা সংগ্রহ করবে।

ব্যালেস্টিক টিমের সদস্যরা খতিয়ে দেখবেন. যে আগ্নেয়াস্ত্র ও কার্তুজ ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার হয়েছে, সেটা দিয়েই খুন করা হয়েছে কিনা। বায়োলজি এক্সপার্টরা রক্তের নমুনা সংগ্রহ করবেন। যে নমুনা পাওয়া গিয়েছে, তা কি কেবলই মৃতের নাকি অন্য কারোরও রক্ত পাওয়া গিয়েছে সেখানে, তা খতিয়ে দেখা হবে। প্রশ্ন উঠছে, এতদিন পর কেন পুলিশ ফরেনসিক এক্সপার্টদের ডাকছে? এতদিন পর যে নমুনা পাওয়া যাবে, তা কি আদৌ কার্যকরী থাকবে? বিশেষজ্ঞদের একাংশের মতে, এই ধরনের তদন্তে সবচেয়ে বড় হাতিয়ার হল ফরেনসিক বিশেষজ্ঞদের সংগৃহীত নমুনা ও তার রিপোর্ট। আদৌ কি সেখান থেকে বায়োলজি স্যাম্পেল পাওয়া যাবে? নাকি কেবল চাপ বাড়ার কারণেই ডাকা হল ফরেন্সিক টিমকে। তা নিয়ে প্রশ্ন থাকছে।

পুরুলিয়ার কংগ্রেস কাউন্সিলর তপন কান্দুর হত্যা নিয়ে সামনে এসেছে বিস্ফোরক তথ্য। তপন কান্দুর পরিচিত ও বন্ধু বান্ধবদের জিজ্ঞাসাবাদ করে তদন্তকারীরা জানতে পেরেছেন, তাঁর নিজের দাদা নরেন কান্দুর সঙ্গে নির্বাচনের আগে বাজি লড়েছিলেন তপন। পৌরসভা নির্বাচনের পর গণনার ঠিক আগে পাঁচ লক্ষ টাকারে বাজি ধরেন দুজন। এক ব্যবসায়ীর কাছে দুজনেই পাঁচ লক্ষ টাকা করে জমা দেন। বলাই বাহুল্য যে তপন কান্দু জয়ী হয়ে যাওয়ায় পাঁচ লক্ষ টাকা সরাসরি ক্ষতির শিকার হয় তাঁর দাদা নরেন। এ নিয়েই শত্রুতা আরও বাড়ে দু’জনের। উল্লেখ্য, এবারের নির্বাচনে ২ নং ওয়ার্ডে নিহত তপন কান্দুর বিরুদ্ধে সরাসরি তৃণমূলের হয়ে লড়াই করে তার ভাইপো অর্থাৎ নরেন কান্দুর ছেলে দীপক কান্দু। তিনি পরাজিত হন।

পুলিশ দীপক কান্দুকে গ্রেফতার করেছে আগেই। তারপর খুনিরও স্কেচ প্রকাশ্যে আনা হয়। একই সঙ্গে ঘোষণা করা হয়েছে, খুনিকে ধরে দিতে পারলে মোটা টাকার নগদ পুরস্কার দেওয়া হবে। তবে তাঁর নাম পরিচয় লুকিয়ে রাখা হবে বলে জানা দিয়েছে। উঠে আসছে পুলিশের ভূমিকা নিয়েও। দীপক কান্দুর মোবাইল থেকে জানা যাচ্ছে, ঝালদা থানার আইসির সঙ্গে কথা হয়েছিল তাঁর। তপন কান্দুর পরিবারের অভিযোগ, তৃণমূলে যোগ দেওয়ার জন্য তাঁকে চাপ দিচ্ছিলেন ঝালদা থানার আইসি। গোটা বিষয়টি এখন তদন্ত সাপেক্ষ।

আরও পড়ুন: Panihati Murder: ‘বাবাকে খুন করেছে, তাই মেরে দিলাম…’, পুলিশের চোখে চোখ রেখে বলল পানিহাটি খুনের ধৃত যুবক

 


আরও পড়ুন: Baruipur Acid Attack: টাকা ওড়াল, গয়না কিনল আর এখন স্বামীর কথা শুনবে! চরম সিদ্ধান্তের আগে প্রেমিকাকে কেবল ‘ট্রেলার’ দেখালেন প্রেমিক