পুরুলিয়া: ঝালদার কাউন্সিলর তপন কান্দু খুনের অন্যতম প্রত্যক্ষদর্শীর ঝুলন্ত দেহ উদ্ধারের ঘটনায় এবার সিবিআই তদন্তের দাবি উঠল। দাবি তুললেন খোদ নিহত কাউন্সিলরের স্ত্রী পূর্ণিমা কান্দু। এই বিষয়ে তিনি হাইকোর্টেরও দ্বারস্থ হতে পারেন বলে ইঙ্গিত দিয়েছেন। পূর্ণিমার অভিযোগ, পুলিশের ধমকানি, চাপ সহ্য করতে পারেননি নিরঞ্জন। তাই আত্মহত্যা করেছেন তিনি। পূর্ণিমার কথায়, “নিরঞ্জনের মৃত্যু একটা রহস্য। একটা সুইসাইড নোট পাওয়া গিয়েছে। সেখানে পুলিশের চাপের কথা উল্লেখ রয়েছে। পুলিশ শাসকদলের হয়েই তো কাজ করছে। সঠিক তদন্ত এক্ষেত্রেও হওয়া উচিত।”
কাউন্সিলরের স্ত্রীর অনুমান, নিরঞ্জন এই খুনের প্রত্যক্ষদর্শী, এমন কারোর নাম ফাঁস করে দিতে পারতেন। তাই তাঁর ওপর চাপ তৈরি করা হচ্ছিল। সিবিআই বিষয়টি দেখলে আসল তথ্য বেরিয়ে আসবে বলে মনে করেন তিনি। স্বামী তপন কান্দু খুনেও প্রথম থেকে সিবিআই তদন্তের দাবি জানিয়েছেন তিনি। লড়াই করে পৌঁছেছেন আদালতেও। বিচারপতি রাজা কুমার মান্থার সিঙ্গল বেঞ্চ সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে। ইতিমধ্যেই তদন্তভার হাতে নিয়েছে সিবিআই। তবে এর মধ্যেই সিঙ্গল বেঞ্চের রায়কে চ্যালেঞ্জ করে আজ ডিভিশন বেঞ্চের দ্বারস্থ হয়েছে রাজ্য।
ইতিমধ্যেই ঝালদা যাচ্ছে সিবিআই টিম। এক ডিআইজি পদমর্যাদার অফিসারের নেতৃত্বে দলটি এদিন ঘটনাস্থল ঘুরে দেখবেন। সিবিআই-এর এই বিশেষ দলটির নজরদারিতে রয়েছেন জয়েন্ট ডিরেক্টর পদমর্যাদার এক অফিসার। বুধবারই জেলা পুলিশের থেকে কেস ডাইরি ও তদন্তের সব নথি হাতে নেয় সিবিআই। এলাকা ঘুরে দেখার পাশাপাশি পরিবারের সদস্যদের সঙ্গেও কথা বলবেন তাঁরা। মঙ্গলবারই জেলা পুলিশের কাছে এই মামলার এফআইআর কপি চাওয়া হয়। তার ভিত্তিতে মামলা রুজু করে সিবিআই। জেলা পুলিশ এখনও পর্যন্ত যে সব তথ্য প্রমাণ জোগাড় করেছে, তা সিবিআই হাতে নেবে।
নিরঞ্জন বৈষ্ণবের মৃত্যুর বিষয়টিও সিবিআই তদন্তকারীরা খোঁজখবর করতে পারেন বলে মনে করা হচ্ছে।
আরও পড়ুন: ‘সিবিআই যোগাযোগ করলে তদন্তে সাহায্য করব’, অনুব্রত ইস্যুতে এসএসকেএম কর্তৃপক্ষ
আরও পড়ুন: ‘ওঁ আমার ভবিষ্যৎবাণীকে ঠিক করে দিয়েছেন’, অনুব্রত প্রসঙ্গে বললেন সুকান্ত