পুরুলিয়া: ঝালদার কাউন্সিলর তপন কান্দু খুনে এবার আইসিকে তলব করতে পারে সিবিআই। আইসি সঞ্জীব ঘোষের বিরুদ্ধেই প্রথম থেকে হুমকির অভিযোগ তুলছিল পরিবার। তপন কান্দুর স্ত্রী পূর্ণিমা কান্দু প্রথম থেকেই এই ঘটনায় পুলিশের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রকাশ করে আসছিলেন। পুলিশের তরফ থেকেও তাঁদের হুমকি দেওয়া হয়েছিল বলে অভিযোগ করছিলেন তিনি। আইসি-র বিরুদ্ধেই নির্দিষ্ট করে অভিযোগ ছিল তাঁর। পুরভোটে তপন কান্দু জিতলেও, আইসি তাঁকে বারবার তৃণমূলে যোগ দেওয়ার জন্য চাপ দিচ্ছিলেন বলে অভিযোগ। এক্ষেত্রে উল্লেখ্য, কলকাতা হাইকোর্টেও এই বিষয়টি নিয়ে প্রশ্ন তোলে। তাই সিবিআই তদন্ত নেওয়ার পরই প্রথমে এই আইসি-কেই জিজ্ঞাসাবাদ করতে চায়। শুক্রবার ঝালদায় আসছেন সিবিআই-এর ডিআইজি। তাঁর নেতৃত্বেই তদন্ত পরিচালনা করা হবে। তিনি নিজে তপন কান্দুর পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে কথা বলবেন। ঝালদায় কাউন্সিলর খুনের তদন্তেও টেকনিক্যাল এক্সপার্টের সাহায্য নিচ্ছে সিবিআই। ঝালদাতে নিয়ে আসা হয়েছে তিন বিশেষজ্ঞকে। যারা অভিযুক্ত ও সন্দেহের তালিকায় থাকা ব্যক্তিদের কল ডিটেইলস খতিয়ে দেখবেন। খতিয়ে দেখবেন এলাকার সিসিটিভি ফুটেজ। ঘটনার দিন এলাকায় আর কোনও ব্যক্তিকে দেখা গিয়েছিল কিনা, আর কোনও প্রত্যক্ষদর্শী রয়েছেন কিনা, তা দেখতে চাইছেন তদন্তকারীরা।
সিবিআই-এর এই বিশেষ দলটির নজরদারিতে রয়েছেন জয়েন্ট ডিরেক্টর পদমর্যাদার এক অফিসার। বুধবারই জেলা পুলিশের থেকে কেস ডাইরি ও তদন্তের সব নথি হাতে নেয় সিবিআই। এলাকা ঘুরে দেখার পাশাপাশি পরিবারের সদস্যদের সঙ্গেও কথা বলবেন তাঁরা।
হাইকোর্টের নির্দেশের পর গত মঙ্গলবারই জেলা পুলিশের কাছ থেকে মামলার এফআইআর কপি-সহ অনান্য নথি হাতে নেন তদন্তকারীরা। রাত সাড়ে এগারোটা নাগাদ সিবিআই গোয়েন্দারা ঝালদা থানায় পৌঁছন। কেস ডায়েরি নিয়ে পুলিশ কর্তাদের সঙ্গে কথা বলেন। এই কেস সংক্রান্ত অনান্য নথি সংগ্রহ করেন তাঁরা। বগটুইয়ের মতোই সিবিআই একটি অস্থায়ী ক্যাম্প তৈরি করেছে। এখান থেকেই তদন্ত প্রক্রিয়া চলবে। অভিযুক্তদের নিজেদের হেফাজতে নেওয়ার আদালতে আবেদন জানাবে সিবিআই।
আরও পড়ুন: CBI On Jhalda Councillor Murder: কাউন্সিলর খুনের তদন্তে ঝালদায় সিবিআই, তৈরি হল অস্থায়ী ক্যাম্প