Rail Hospital: রেলের হাসপাতালে মেয়াদ পার করা স্যালাইন পেল রোগী! হইচই শুরু হতেই সাসপেন্ড দুই
Purulia: ঘটনার পরই হাসপাতালে ছুটে যান চিফ মেডিকেল সুপারিনটেনডেন্ট, একাধিক চিকিৎসক, এডিআরএম (আদ্রা ডিভিশন)।
পুরুলিয়া: ফের মেয়াদ উত্তীর্ণ স্যালাইন দেওয়ার অভিযোগ উঠল হাসপাতালের বিরুদ্ধে। আর এবার সে অভিযোগে অভিযুক্ত রেলের ডিভিশনাল হাসপাতাল। পুরুলিয়ার আদ্রার এই ঘটনায় ইতিমধ্যেই দু’জনকে সাসপেন্ড করেছে রেল। একই সঙ্গে ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে। কিছুদিন আগে দক্ষিণ ২৪ পরগনার কুলতলিতেও এরকমই এক অভিযোগ ওঠে। সেই অভিযোগ ছিল স্থানীয় ব্লক গ্রামীণ হাসপাতালের বিরুদ্ধে।
পুরুলিয়ার আদ্রায় রয়েছে দক্ষিণ পূর্ব রেলের ডিভিশনাল হেড কোয়ার্টার। সেখানকারই ডিভিশনাল হাসপাতাল। অভিযোগ, রেলের এই হাসপাতালেই রোগীকে মেয়াদ পার হয়ে যাওয়া স্যালাইন দেওয়া হয়। রোগীর পরিবারের লোকজনের অভিযোগ, তাঁদের বাড়ির লোককে যে স্যালাইন দেওয়া হয়েছে তার মধ্যে এমন বোতলও তাঁদের নজরে এসেছে, যার মেয়ার শেষ হয়ে গিয়েছে গত মাসেই।
রোগীর আত্মীয়ের আরও অভিযোগ, এই বোতল থেকে স্যালাইন অসুস্থ মহিলার শরীরে যাওয়ার পর তাঁর শরীর আরও খারাপ হয়ে গিয়েছে। এ নিয়ে বাড়ির লোকজনের মধ্যে আতঙ্কও তৈরি হয়েছে। এই ঘটনায় যাঁরা যুক্ত, সেই দোষী স্বাস্থ্যকর্মীদের উপযুক্ত শাস্তির দাবি করে চিফ মেডিকেল সুপারেনটেনডেন্টকে অভিযোগও দায়ের করেছেন তাঁরা।
রেলেরই অবসরপ্রাপ্ত টেকনিশিয়ান অজয়কুমার মুখোপাধ্যায়। তাঁর স্ত্রী রীনা মুখোপাধ্যায়ের অনবরত পায়খানা হতে থাকায় বুধবার ভর্তি করান রেলের হাসপাতালে। রীনাদেবী জানান, “আমাকে ওরা স্যালাইন দেওয়ার পর থেকে আমার খালি ঘুম পাচ্ছে। কোনও খাবার খাইনি। আমার স্বামীও এখানে ছিল। ও হঠাৎ স্যালাইনের বোতলটা দেখে। কেন এত আসতে স্যালাইন ঢুকতে শরীরে তা দেখার জন্য বোতলে চোখ রাখতেই দেখে মেয়াদ শেষ হওয়া একটা স্যালাইন চলছে। ও গিয়ে বলল ডাক্তারদের। হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার পর থেকেই স্যালাইন চলছে। যে বোতলের মেয়াদ শেষ হয়ে গিয়েছে সেটা শুক্রবার সকাল থেকে চলছিল। এটা দেওয়ার পরই বমি বমি লাগছে। কেমন অস্থির করছে শরীর।”
অজয়কুমার মুখোপাধ্যায় বলেন, “আমি এসে দেখি বোতলটার তারিখ শেষ। আমি সঙ্গে সঙ্গে সিস্টারকে বললাম। সিস্টার আবার একজনকে বলল। সঙ্গে সঙ্গে উনি বোতলটা খুলে এনে ডাস্টবিনে ফেলে দিল। আমি সেই বোতল তুলে নিয়েই মেয়েকে দিই। ওরা বোতলটা কেড়ে নিতে চেয়েছিল। ওখানে কর্তব্যরত নার্সদের বলতেই ওরা বলে ‘আমরা দিইনি। আমাদের আগের শিফটে যারা ছিল, তারা দিয়েছে’। এর একটা বিহিত হওয়া দরকার। আমি এরপর ঘুরে ঘুরে দেখলাম। আমার স্ত্রীর পাশের বেডে যে রয়েছে, সেই মেয়েটাকেও এরকম মেয়াদ পার করা স্যালাইন দিয়েছে।”
এদিকে রেলের হাসপাতালে এমন অভিযোগ স্বভাবতই অস্বস্তি বাড়িয়েছে কর্তৃপক্ষের। ঘটনার পরই হাসপাতালে ছুটে যান চিফ মেডিকেল সুপারিনটেনডেন্ট, একাধিক চিকিৎসক, এডিআরএম (আদ্রা ডিভিশন)। এডিআরএম সুধাংশু শর্মা বলেন, ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে। ইতিমধ্যেই দুই স্বাস্থ্যকর্মীকে সাসপেন্ড করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: Arms Licence Racket: জাল লাইসেন্সে দেদার অস্ত্র কেনাবেচা, সিআইডির জালে বাংলার ৬