
পুরুলিয়া: পুরুলিয়ার বান্দোয়ানে পঞ্চায়েত সদস্যকেই বিএলও বানিয়ে দেওয়া হয়েছে। অভিযোগ ওঠার পরই বিএলও পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে ওই পঞ্চায়েত সদস্যকে। কিন্তু তারপরও বিতর্ক। কারণ সেখানে এখনও পর্যন্ত নতুন কোনও বিএলও নিয়োগ করেনি প্রশাসন। সরব হয়েছেন সেখানকার বাসিন্দারা। সরব বিরোধী বিজেপিও। বান্দোয়ানের তুমড়াশোল গ্রাম পঞ্চায়েতের ৯১ নম্বর বুথ। সেখানে পার্শ্ব শিক্ষক বাউড়িলাল মুর্মুকে বিএলও করা হয়েছিল। তিনি আবার তৃণমূল কংগ্রেসের পঞ্চায়েত সদস্য।
বিজেপির পক্ষ থেকে গোটা বিষয়টি লিখিত আকারে সামনে আনা হয়। তারপর বাউরিলালকে সরিয়ে দেওয়া হয়। কিন্তু বিএলও এখনও নিয়োগ না হওয়ায়, সেখানকার বাসিন্দারা এনুমারেশন ফর্ম পাননি। তাতে তাঁরা অনিশ্চয়তায় ভুগছেন।
বিজেপি নেতা নিশাপতি সাহা বলেন, “এক জন গ্রাম পঞ্চায়েত সদস্যকে বিএলও করা হয়েছিল। সেটাই লিখিতভাবে বিডিও-র কাছে জানিয়েছিলাম। ওনাকে সমস্ত কাজ থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। প্রশাসনের তরফ থেকে কাজ শুরু হয়নি।”
এদিকে, অব্যাহতি পাওয়া এই বাউড়িলাল মুর্মু বলেন, “ব্লক থেকে কাজ দিয়েছিল। সেইভাবে কাজ করছিলাম। বিরোধী পক্ষ অভিযোগ করেছিল। তাতেই আমি কাজ ছাড়ি।” তৃণমূল বিধায়ক রাজীবলোচন সোরেন বলেন, “বিএলও নিয়োগ তো অফিসিয়ালি হয়। সরকারি ভাবে। সেখানে দলীয় মত দেওয়ার কোনও জায়গা নেই। নিরপেক্ষ কাজের জন্য নির্বাচন কমিশন যেটা সঠিক মনে করেছে, সেটাই করেছে। নতুন বিএলও আসবেন। বিডিও-র সঙ্গে কথা হয়েছে।” যেখানে সর্বত্র এনুমারেশন ফর্ম বিলি দেওয়ার কাজ প্রায় মাঝপথে, সেখানে এই এলাকায় ফর্ম বিলি শুরুই হয়নি, তাতেই অনিশ্চয়তা।