Purulia: গুজরাটে কাজে গিয়ে এক মাস ধরে নিখোঁজ পরিযায়ী শ্রমিক, পুলিশের ভূমিকায় ক্ষোভ

Purulia Migrant Wroker: দীর্ঘদিন ধরেই গুজরাটের ভুর্জ জেলার একটি সংস্থায় রঙের কাজে যুক্ত ছিলেন। সেখানে কাজ করতে গিয়ে গত ১মাস আগে ভাড়া বাড়ি থেকে নিখোঁজ হয়ে যায়। এর পর তার স্ত্রী পুরুলিয়ার বরাবাজার থানায় লিখিত অভিযোগ জানাতে গেলে অভিযোগ নিতে দেরি করে বলে অভিযোগ।

Purulia: গুজরাটে কাজে গিয়ে এক মাস ধরে নিখোঁজ পরিযায়ী শ্রমিক, পুলিশের ভূমিকায় ক্ষোভ
নিখোঁজ পরিযায়ী শ্রমিকের পরিবারImage Credit source: TV9 Bangla

| Edited By: শর্মিষ্ঠা চক্রবর্তী

Oct 05, 2025 | 2:45 PM

পুরুলিয়া:  কাজ করতে গিয়ে ১মাস ধরে নিখোঁজ পরিযায়ী শ্রমিক। শাসকদল ও পুলিশের কাছে অভিযোগ জানিয়েও কোনও সুরাহা হয়নি। রাজ্যে যখন উৎসবের আমেজ মেতেছে। তখন বরাবাজার ব্লকের সরিষাবহাল গ্রামের একটি বাড়িতে পুজোর কোনো উৎসব পালন হয়নি। কারণ এক মাত্র ছেলে নিখোঁজ। পুরুলিয়ার বরাবাজার থানার সরিষাবহাল গ্রামের যুবক বিদ্যাধর মাহাতো।

দীর্ঘদিন ধরেই গুজরাটের ভুর্জ জেলার একটি সংস্থায় রঙের কাজে যুক্ত ছিলেন। সেখানে কাজ করতে গিয়ে গত ১মাস আগে ভাড়া বাড়ি থেকে নিখোঁজ হয়ে যায়। এর পর তার স্ত্রী পুরুলিয়ার বরাবাজার থানায় লিখিত অভিযোগ জানাতে গেলে অভিযোগ নিতে দেরি করে বলে অভিযোগ। শেষে গত মাসের ২৩তারিখ তার স্ত্রী পুরুলিয়ার বরাবাজার থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।সেখানেই স্ত্রী কণিকা মাহাতো লিখিতভাবে জানান, গত সেপ্টেম্বর মাসের ৬তারিখ রাতে শেষবার কথা হয় তাঁর স্বামীর সঙ্গে। তারপরেই রাত ৩টের পর সেখান থেকে তাঁর স্বামী বিদ্যাধর নিখোঁজ হয়ে যান।

ওই ঘরেই পড়ে ছিল স্বামীর ব্যবহারের ব্যাগ, আইডি কার্ড, আধার কার্ড। ওই ঘরে জেলার কয়েকজন পরিযায়ী শ্রমিকের কাছ থেকে জানতে পারেন। এখানেই স্ত্রীর সন্দেহ রুমে থাকা জেলার পরিযায়ী শ্রমিকদের জিজ্ঞাসাবাদ করলেই নিখোঁজের কারণ জানা যাবে।

বরাবাজার থানা একটি এফআইআর করেই দায়িত্ব সেরেছে। বিদ্যাধরকে খুঁজে বের করার কোনও উদ্যোগ নেয়নি। এমনই অভিযোগ বিদ্যাধরের মায়ের। যদিও স্ত্রী পুলিশের ওপরেই ভরসা করে রয়েছেন।

১০ মাসের শিশুকে নিয়ে অনিশ্চয়তার মধ্যে দিন কাটাচ্ছেন ওই শ্রমিকের স্ত্রী।
গ্রামেই শাসক দলের ব্লক স্তরের নেতৃত্ব থাকলেও, কোনও সাহায্য পাননি বলে অভিযোগ স্ত্রীর। বরাবাজার পঞ্চায়েত সমিতি তৃণমূল সদস্য আরতি মাহাতো বলেন, “জানি নিখোঁজ, এখনও কোনও খোঁজ পাওয়া যায়নি। দলের থেকেও খোঁজ নিয়েছে। তবে পুলিশের তরফের ব্যাপারটা আমি বলতে পারব না।” বিজেপির প্রাক্তন জেলা সভাপতি বিবেক রাঙা বলেন, “আজ বাংলার কর্মসংস্থান না থাকার কারণেই বাইরে যেতে হচ্ছে কাজের জন্য। বিগত দিনেও এই ধরনের ঘটনা ঘটতে পারে। তবে এটা প্রশাসনের ব্যর্থতা, তদন্ত সঠিকভাবে না করা। “