
পুরুলিয়া: মা ও তিন মেয়ের মৃত্যু ঘিরে বাড়ছে রহস্য়। বাড়ির কর্তা আনন্দ গড়াই বাড়িতে ফিরেই দেখলেন অচৈতন্য অবস্থায় পড়ে রয়েছে চারজন। তাঁর দাবি, বাড়ি থেকে বেরনোর সময়ও সুস্থই ছিল স্ত্রী-কন্যারা। বাড়িতে উপস্থিত ছিলেন আনন্দের বাবাও। তারপরও কেন ওই দেহগুলি থেকে পচন ধরতে শুরু করল? প্রশ্ন উঠেছে। প্রশ্ন উঠেছে, মৃত্যুর সঠিক কারণ নিয়েও। মৃত্যুটা ঠিক কোন সময় হল, তা নিয়েও সন্দেহ রয়ে যাচ্ছে তদন্তকারীদের মনে।
দেহগুলি থেকে যেহেতু দুর্গন্ধ ছড়াতে শুরু করেছে, ফলে মনে করা হচ্ছে বৃহস্পতিবার দুপুরে বা বিকেলের দিকে মৃত্যু হয়। অন্যদিকে, যেহেতু চারজনের মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে, ফলে এই চার মৃত্যু দুর্ঘটনাজনিত কারণে হওয়ার সম্ভাবনা কম। তাহলে কি খাবারের সঙ্গে বিষ মেশানো হয়েছিল? আরও প্রশ্ন উঠেছে যে চারজনের বাড়িতে অচৈতন্য অবস্থায় পড়ে থেকে মৃত্যু হল, অথচ গ্রামের কেউ জানতেই পারল না? রাত্রে স্বামী এসে অচৈতন্য অবস্থা পড়ে থাকতে দেখে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে গেল?
মৃত্যুর সঠিক কারণ ময়নাতদন্তের রিপোর্ট আসার পরই পরিষ্কার হবে বলে জানা গিয়েছে। মৃতার স্বামী আনন্দ গড়াই বলেন, “কিছুই বুঝতে পারছি না। সকাল ১০টায় বাড়ি থেকে বেরিয়ে বান্দোয়ানে সবজি বিক্রি করতে এসেছিলাম। দুপুরে ফোনে কথা হয়েছিল স্ত্রী প্রিয়ার সঙ্গে। রাত ১০টায় বাড়িতে এসে দেখি, একী! বিছানায় পড়ে রয়েছে চারজন।” তাদের এক আত্মীয় বলেন, “কোনওদিন কোনও পারিবারিক অশান্তির কথা শুনিনি। কী কারণে এই ঘটনা বুঝতে পারছি না।” বিষেই মৃত্যু হয়েছে বলে তিনি মনে করছেন তিনি।