Purulia: বাড়িতে ঢুকেই আঁতকে উঠলেন ব্যক্তি, পড়ে রয়েছে স্ত্রী ও ৩ মেয়ের দেহ
4 members of a family died: কীভাবে চারজনের মৃত্যু হল বুঝতে পারছেন না পরিজনরা। আনন্দ গড়াই বলেন, "আমি সকাল সাড়ে এগারোটা নাগাদ বাড়ি থেকে বেরিয়ে যাই। তখন বাড়ি বাবা, আমার স্ত্রী ও সন্তানরা ছিল। রাত ১০টার দিকে ফিরে আসি। বাবা দরজা খুলে দেয়। স্ত্রীকে ডেকেও সাড়া পাইনি। দরজা খুলে ঘরে ঢুকে দেখি, স্ত্রী ও মেয়েরা এক বিছানায় শুয়ে রয়েছে।"

পুরুলিয়া: একই পরিবারের চারজনের অস্বাভাবিক মৃত্যু। বাড়ি থেকে এক মহিলা ও তাঁর ৩ নাবালিকা মেয়েকে অচৈতন্য অবস্থায় উদ্ধার করা হয়। তাদের হাসপাতালে নিয়ে গেলে মৃত বলে ঘোষণা করেন চিকিৎসকরা। বৃহস্পতিবার রাতে ঘটনাটি ঘটেছে বান্দোয়ানের লতাপাড়া গ্রামে। মৃতদের নাম প্রিয়া গড়াই (৩২), বৈশাখী গড়াই (১২), পল্লবী গড়াই (১০) এবং সৌরভী গড়াই (৬)।
প্রিয়া গড়াইয়ের স্বামী আনন্দ গড়াই ভিন রাজ্যে সবজি বিক্রি করেন। জানা গিয়েছে, বৃহস্পতিবার রাতে তিনি বাড়ি ফিরে এসে দেখেন, প্রিয়া ও তাঁর ৩ মেয়ে অচৈতন্য অবস্থায় বাড়িতে পড়ে রয়েছে। সঙ্গে সঙ্গে চারজনকে চিকিৎসার জন্য নিয়ে যাওয়া হয় বান্দোয়ান ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক প্রিয়া ও তাঁর তিন নাবালিকা মেয়েকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। শুক্রবার দেহগুলি ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হবে পুরুলিয়া দেবেন মাহাতো গভর্নমেন্ট মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে।

আনন্দ গড়াই
স্ত্রী ও তিন সন্তানকে হারিয়ে কান্নায় ভেঙে পড়েন আনন্দ গড়াই। তিনি বলেন, “আমি সকাল সাড়ে এগারোটা নাগাদ বাড়ি থেকে বেরিয়ে যাই। তখন বাড়ি বাবা, আমার স্ত্রী ও সন্তানরা ছিল। রাত ১০টার দিকে ফিরে আসি। বাবা দরজা খুলে দেয়। স্ত্রীকে ডেকেও সাড়া পাইনি। দরজা খুলে ঘরে ঢুকে দেখি, স্ত্রী ও মেয়েরা এক বিছানায় শুয়ে রয়েছে।” তিনি দাবি করেন, বাড়িতে কোনও অশান্তি ছিল না। দুপুরেও বাজার থেকে স্ত্রীকে ফোন করেছিলেন।
তবে মৃত্যুর সময় নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। কারণ, মৃতদেহগুলি থেকে দুর্গন্ধ ছড়াতে শুরু করেছে। ওই চারজন বিষ খেয়ে আত্মহত্যা করেছে, নাকি এর পিছনে অন্য কারণ রয়েছে, তা খতিয়ে দেখছে বান্দোয়ান থানার পুলিশ। ওই মহিলা তাঁর ৩ সন্তানকে বিষ খাইয়ে নিজে আত্মহত্যা করেছেন কি না, সেই দিকটাও খতিয়ে দেখছে তারা।
