Samik Bhattacharya: হাজারদুয়ারির ‘দুয়ার দখল’! বাদ পড়ছে না বাংলার ঐতিহাসিক স্থানও, বিস্ফোরক তথ্য

Samik Bhattacharya: তিনি জানতে চেয়েছিলেন, ভারতীয় পুরাতত্ত্ব সর্বেক্ষণ বা ASI রায়গঞ্জের আওতায় ওই সার্কেলে কতগুলি ঐতিহাসিক স্থাপত্য রয়েছে? তাদের মধ্য়ে কতগুলি স্থাপত্য বেদখল কিংবা বেআইনি নির্মাণের শিকার?

Samik Bhattacharya: হাজারদুয়ারির দুয়ার দখল! বাদ পড়ছে না বাংলার ঐতিহাসিক স্থানও, বিস্ফোরক তথ্য
হাজারদুয়ারিImage Credit source: X

| Edited By: Avra Chattopadhyay

Jul 31, 2025 | 8:21 PM

নয়াদিল্লি: কোথাও হয়েছে বেআইন নির্মাণ। কোথাও আবার বেদখল। রাজ্যে ASI বা ভারতীয় পুরাতত্ত্ব সর্বেক্ষণ বিভাগের আওতায় থাকা ঐতিহাসিক স্থাপত্যগুলিতেও এখন অবৈধ ভাবে ‘অধিকার’ ফলাচ্ছে দখলদারিরা।

সম্প্রতি রাজ্যসভা সাংসদ তথা নবনির্বাচিত রাজ্য বিজেপির সভাপতি শমীক ভট্টাচার্যের করা প্রশ্নের ভিত্তিতে বৃহস্পতিবার এমনই উত্তর দিল ASIজানা গিয়েছে, ঐতিহাসিক স্থাপত্যের দখলদারি ও সেই জমিতে বেআইনি নির্মাণ নিয়ে সংসদে মোট চারটি প্রশ্ন করেছিলেন শমীক। তিনি জানতে চেয়েছিলেন, ভারতীয় পুরাতত্ত্ব সর্বেক্ষণ বা ASI রায়গঞ্জের আওতায় ওই সার্কেলে কতগুলি ঐতিহাসিক স্থাপত্য রয়েছে? তাদের মধ্য়ে কতগুলি স্থাপত্য বেদখল কিংবা বেআইনি নির্মাণের শিকার?

পাশাপাশি, এই নিয়ে ASI ও খোদ পশ্চিমবঙ্গ সরকার কোনও পদক্ষেপ নিয়েছে কিনা সেই কথাও জানতে চান তিনি।

সেই প্রশ্নের উত্তরে শমীক ভট্টাচার্যকে জানানো হয়েছে, রাজ্যে ASI রায়গঞ্জ সার্কেলে মোট ৫২টি ঐতিহাসিক স্থাপত্য ও কেন্দ্র রয়েছে। যার দেখভাল করে থাকে খোদ ভারতীয় পুরাতত্ত্ব সর্বেক্ষণ বিভাগ। তবে এই ৫২টি স্থাপত্য ও ঐতিহাসিক স্থানের মধ্যে ২৮টি ঐতিহাসিক স্থান থেকে উঠেছে বেআইনি নির্মাণকাজের অভিযোগ। পাশাপাশি আরও পাঁচটি ঐতিহাসিক স্থাপত্য বর্তমানে দখলদারির কবলে রয়েছে বলেই জানানো হয়েছে।

এই সংক্রান্ত তালিকাও প্রদান করেছে ASIযাতে দেখা গিয়েছে, কোচবিহারের রাজপ্রাসাদ থেকে হাজার দুয়ারি, প্রতিটি জায়গায় এখন ‘রাজ’ বেআইনি নির্মাণকারী ও দখলদারিদের। তবে এই অবৈধ কাজ রুখতে যে সরব হয়েছে ASI, সেই কথাটাও জানানো হয়েছে শমীক বাবুকেবারংবারস্টপনোটিস-সহ স্থানীয় প্রশাসনের কাছে চিঠি পাঠানো হয়েছে বলেই জানা গিয়েছেএমনকি, পুলিশেও দ্বারস্থ হয়েছে ASIরাজ্য সরকারকে এই প্রসঙ্গে অবগত করেছে কেন্দ্রও। কিন্তু রাজ্যের তরফে কোনও পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে কি না সেই উত্তর মেলেনি। এমনকি, তৃণমূল নেতা কুণাল ঘোষকেও জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি কিছু বলতে চাননি।