Murshidabad: আট দিন পর ‘থমথমে’ সামশেরগঞ্জে গিয়ে ‘বিপদে’ তৃণমূল বিধায়ক, নেতাকে দেখতেই ছুটে গেল গ্রামবাসীরা
Murshidabad: এবার সেই হিংসাবিধ্বস্ত মুর্শিদাবাদের সামশেরগঞ্জে অবশেষে পা রাখলেন এলাকার তৃণমূল বিধায়ক আমিরুল ইসলাম। একাংশের অভিযোগ, এত দিন টিঁকিটাও খুঁজে পাওয়া যায়নি তাঁর। তবে রবিবার হিংসা কবলিত বেতবোনা এলাকায় দুর্গতদের সঙ্গে দেখা করতে গেলে উল্টে বিপদে পড়েন বিধায়ক।

মুর্শিদাবাদ: পেরিয়ে গিয়েছে আটটা দিন। এখন কিছুটা শান্ত মুর্শিদাবাদ। তবে ভয়ের আবহ যেন কমেনি। হিংসা কেড়ে নিয়েছে সাধারণ মানুষের ঘর-বাড়ি। রাতারাতি ঘরছাড়া হয়েছে শতাধিক পরিবার। পরিস্থিতি এতটাই হাতের বাইরে বেরিয়ে যায় যে তার কোপে প্রাণ যায় এক বাবা-ছেলেরও।
এবার সেই হিংসাবিধ্বস্ত মুর্শিদাবাদের সামশেরগঞ্জে অবশেষে পা রাখলেন এলাকার তৃণমূল বিধায়ক আমিরুল ইসলাম। একাংশের অভিযোগ, এত দিন টিঁকিটাও খুঁজে পাওয়া যায়নি তাঁর। তবে রবিবার হিংসা কবলিত বেতবোনা এলাকায় দুর্গতদের সঙ্গে দেখা করতে গেলে উল্টে বিপদে পড়েন বিধায়ক। নেতাকে ঘিরে গর্জে ওঠে সাধারণ মানুষ। চলে ‘গো ব্যাক’ স্লোগানও।
স্থানীয়দের অভিযোগ, হিংসায় যখন ঘর জ্বলেছে, দুষ্কৃতীরা তাদের বাড়িতে আক্রমণ করেছে, সেই সময় জনপ্রতিনিধিদের সঙ্গে বারংবার যোগাযোগ করার চেষ্টা করেছিল তারা। কিন্তু কেউই ফোন ধরেনি। এমনকি, পুলিশও তাদের নিরাপত্তা দিতে পারেনি বলেই এদিন বিধায়কের সামনে অভিযোগ তুলে বিক্ষোভ দেখান গ্রামবাসীরা। দাবি করেন, স্থায়ী বিএসএফ ক্যাম্পের। তৎক্ষণাৎই পরিস্থিতি বেগতিক বুঝে এলাকা ছাড়েন বিধায়ক আমিরুল ইসলাম।
প্রসঙ্গত, গতকাল হিংসা বিধ্বস্ত মুর্শিদাবাদের সামশেরগঞ্জে গিয়েছিলেন রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোস। সেখানে গিয়ে দুর্গতদের সঙ্গে দেখা করেন তিনি। রাজ্যপালকে দেখে ‘নিরাপত্তার’ দাবি তোলেন দুর্গতরা। এমনকি, গোটা ঘটনার তদন্তভার যেন NIAকে দেওয়া হয় সেই দাবিও তুলেছিলেন তারা। একই দিনে ওই এলাকা পরিদর্শনে গিয়েছিল জাতীয় মহিলা কমিশনের একটি প্রতিনিধি দলও।

