Ganges Erosion: তিনদিন ধরে নদীতে ঝুলছে রাস্তা, ইদের আগেই ‘সব হারানোর’ ভয়ে স্থানীয়রা
Ganges Erosion: এবারও ঠিক তেমনটাই হল। নতুন বছর পড়তেই ফিরে এল আতঙ্ক। সামনেই ইদ, তার আগেই না মাথার উপরের ছাদটা ভাগীরথীর জলে তলিয়ে যায়, সেই নিয়ে আতঙ্কে স্থানীয়রা।

মুর্শিদাবাদ: মুর্শিদাবাদ চত্বরে এই আতঙ্ক প্রথম নয়। প্রতি বছরই রঘুনাথগঞ্জ, সামশেরগঞ্জের মতো একাধিক এলাকায় তৈরি হয় ভাঙন। নদীপাড় থেকে বিচ্ছিন্ন যেতে শুরু করে এলাকার একটা অংশ। ভেঙে পড়ে রাস্তা, তলিয়ে যায় বাড়ি। আর তার পাল্টা দুস্থরা পান গাল ভরা প্রতিশ্রুতি। তৈরি হয় নতুন রাস্তা। নতুন বাড়ি। আবার বছর ঘুরতেই একই কাণ্ড।
এবারও ঠিক তেমনটাই হল। নতুন বছর পড়তেই ফিরে এল আতঙ্ক। সামনেই ইদ, তার আগেই না মাথার উপরের ছাদটা ভাগীরথীর জলে তলিয়ে যায়, সেই নিয়ে আতঙ্কে স্থানীয়রা। গত তিন দিন ধরে ফালি ফালি হয়ে পড়ে রয়েছে রঘুনাথগঞ্জ ১ নম্বর ব্লকের রানিনগর গ্রামের বৈকণ্ঠপুর এলাকার মূল রাস্তা। ফাটল ধরেছে সড়কে, নেমেছে ধস। কার্যত নদীর উপরেই ঝুলছে সড়কের একটা অংশ।
ধস নামা এই সড়কের পাশেই আবার দাঁড়িয়ে রয়েছে সারি সারি পাকা বাড়ি। নদীপাড়ে ভাঙনের জেরে ফাটল ধরেছে সেগুলিতেও। তবে এখনও ঝুলে পড়েনি। কিন্তু কতক্ষণই বা সেই বিপদ আটকে রয়েছে, তা নিয়ে সংশয়ে এলাকাবাসী। রঘুনাথগঞ্জের এই সড়কই আবার গিয়ে যুক্ত হচ্ছে আজিমগঞ্জের সঙ্গে। মুর্শিদাবাদের এই দুই গুরুত্বপূর্ণ এলাকাকে জুড়ে দেওয়া সড়ক এখন নেমে এসেছে নদীপাড়ে।
উল্লেখ্য, রাস্তায় যখন ফাটল নিয়ে আতঙ্ক চড়েছে। সেই আবহে ‘কার টাকায়’ রাস্তা তৈরি, তা নিয়ে গোষ্ঠী দ্বন্দ্ব বাঁধল তৃণমূলের অন্দরে। স্থানীয় পঞ্চায়েত সদস্যের অভিযোগ, প্রধানমন্ত্রী সড়ক যোজনার আওতায় সংসদ তহবিলের টাকায় তৈরি হয়েছে এই রাস্তা। কিন্তু রাস্তা তৈরির গোটা কৃতিত্বটাই ‘খেয়ে নিয়েছে’ জেলা পরিষদের সদস্যেরা। ফলকে লিখেছে, জেলা পরিষদের সদস্য ও ইটভাটার মালিকের সহযোগিতায় নির্মাণ করা হয়েছে এই রাস্তা।
উল্লেখ্য, বছর কয়েক আগেই একই ভাবে নদীপাড় ভাঙনের জন্য ধসে গিয়েছিল রাস্তা। তখন জঙ্গিপুরের সাংসদ খলিলুর রহমানের তহবিল থেকে নির্মাণ করা হয়েছিল এই রাস্তার। কিন্তু ফলক বসানোর সময় নাম মিলল না সংসদে। ঝকঝকে হরপে ফুটে উঠল জেলা পরিষদের নাম। অবশ্য, সেই অভিযোগের ভিত্তি ‘আমাদের কিছু করার নেই’ বলে দাবি জেলা পরিষদের।





