AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

সরস্বতী পুজো বাতিল হল নোটিস ছাড়াই, ক্ষোভে ফুঁসছেন গ্রামবাসীরা

স্কুল পড়ুয়ারা তো বটেই, গ্রামের বাসিন্দারাও প্রতি বছর হইহই করে এই পুজো পালন করেন। ফলে এ বছরেও পুজো হচ্ছে স্কুলে, এমনটাই ভেবে নিয়েছিলেন সবাই।

সরস্বতী পুজো বাতিল হল নোটিস ছাড়াই, ক্ষোভে ফুঁসছেন গ্রামবাসীরা
নিজস্ব চিত্র
| Updated on: Feb 16, 2021 | 10:59 PM
Share

মালদা: রাজ্য সরকারের অনুমতি থাকা সত্ত্বেও কোনও নোটিস ছাড়াই সরস্বতী পুজো (Saraswati Pujo) বাতিল হল স্কুলে। বিশেষ দিনে স্কুলেই এলেন না প্রধান শিক্ষিকা-সহ বাকি শিক্ষাকর্মীরা। অগত্যা ঘণ্টার পর ঘণ্টা স্কুলের বন্ধ গেটে অপেক্ষা করে ফিরে যেতে হল ছাত্রীদের। ঘটনার জেরে ক্ষুব্ধ স্থানীয় বাসিন্দা ও অভিভাবকরা। মালদার রতুয়া ২ ব্লকের আড়াইডাঙার আরএনজি বালিকা বিদ্যাপীঠের এমন কাণ্ডের বিষয়ে স্কুল শিক্ষা দফতরে লিখিত অভিযোগ জানাবেন বলে সিদ্ধান্ত নিয়েছেন অভিভাবকরা।

দীর্ঘ কয়েক বছরের ইতিহাসে এই প্রথমবার সরস্বতী পুজো হল না আড়াইডাঙার আরএনজি বিদ্যাপীঠে। স্কুল পড়ুয়ারা তো বটেই, গ্রামের বাসিন্দারাও প্রতি বছর হইহই করে এই পুজো পালন করেন। ফলে এ বছরেও পুজো হচ্ছে স্কুলে, এমনটাই ভেবে নিয়েছিলেন সবাই। কেননা, গত ১২ ফেব্রুয়ারি স্কুল খুলে গিয়েছে। পুজোর প্রস্তুতি ছিল সব ছাত্রীদের। কিন্তু, পুজোর দিন একে একে সকলে এসে দেখেন, স্কুলে গেট বন্ধ। কেন বন্ধ, সেই নিয়ে কোনও নোটিসও নেই।

খানিকটা হতভম্ভ হয়ে কিছুক্ষণ অপেক্ষা করার পর প্রধান শিক্ষিকাকে ফোন করেন অভিভাবকরা। কিন্তু, তিনি ফোন ধরেননি বলে অভিযোগ। অন্যদিকে, ছাত্রীরা কয়েক ঘণ্টা স্কুলের গেটে দাঁড়িয়ে থেকে হতাশ হয়ে বাড়ি ফেরে। এর পরেই ক্ষুব্ধ অভিভাবক ও গ্রামবাসীরা মিলে সিদ্ধান্ত নিয়েছেন, আগামিকাল বিষয়টি নিয়ে স্কুল শিক্ষা দফতরকে অভিযোগ জানাবেন। প্রধান শিক্ষিকা কল্যাণী গিরি অবশ্য TV9 বাংলাকে জানান, কী কারণে পুজো বন্ধ করা হল না তার কোনও ব্যাখ্যা তিনি দেবেন না।

আরও পড়ুন: সমঝোতা চূড়ান্ত, কিন্তু কে পেল কত আসন? বললেন না অধীর-বিমান

ঘটনার জেরে আগামিকাল স্কুলে তালা ঝুলিয়ে বিক্ষোভ দেখানোর কর্মসূচি নিয়েছে গ্রামবাসীরা। জানা গিয়েছে, প্রধান শিক্ষিকা স্থানীয় তৃণমূল নেতা দেবপ্রিয় সাহার স্ত্রী। তিনি নিজেও তৃণমূল শিক্ষক সংগঠনের নেত্রী। স্কুল সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রধান শিক্ষিকা-সহ অন্যান্যরা সকলেই শহরেই থাকেন। নিজেদের এলাকায় সরস্বতী পুজো ছেড়ে গ্রামের স্কুলে যাবেন না বলেই এই সিদ্ধান্ত তাঁরা নিয়েছেন বলে অভিযোগ। যে কারণে গ্রামবাসীদের ক্ষোভ বেড়েছে। স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্বও আগামিকাল বিক্ষোভে সামিল হবে বলে খবর।

আরও পড়ুন: সবুরে মেওয়া ফলল জিতেন্দ্রর, নয়া ভূমিকায় পাণ্ডবেশ্বরের বিধায়ক