AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

জুলাইয়ের আগে টিকা দেওয়া সম্ভব নয়, বেসরকারি হাসপাতালগুলিকে জানিয়ে দিল সেরাম

কোভ্যাক্সিনের প্রস্তুতকারী সংস্থা ভারত বায়োটেক কবে নাগাদ বেসরকারি হাসপাতালগুলিকে টিকা দিতে পারবে, সেই সম্পর্কিত কোনও তথ্যই দেওয়া হয়নি।

জুলাইয়ের আগে টিকা দেওয়া সম্ভব নয়, বেসরকারি হাসপাতালগুলিকে জানিয়ে দিল সেরাম
ফাইল চিত্র
| Updated on: May 01, 2021 | 5:32 PM
Share

কলকাতা: সবর্ত্র দীর্ঘ লাইন। কোথাও হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার, কোথাও শবদেহ দাহ করার, কোথাও আবার টিকা নেওয়ার। তবে গোটা দেশের পাশাপাশি এ রাজ্যেও যেভাবে টিকার আকাল দেখা দিয়েছে, তাতে কীভাবে ভ্যাকসিন দেওয়া সম্ভব, তা নিয়ে ধন্দে ভুগছে বেসরকারি হাসপাতালগুলি। দিনকয়েক আগে আবার রাজ্য সরকার বিজ্ঞপ্তি জারি করে জানিয়ে দিয়েছে, ১ মে থেকে বেসরকারি হাসপাতালগুলিকে টিকা দেবে না রাজ্য। এতে ধোঁয়াশা বেড়েছে।

তবে বেসরকারি হাসপাতালগুলিতে দুশ্চিন্তায় ফেলেছে সেরামের একটি ঘোষণা। কোভিশিল্ড প্রস্তুতকারী সংস্থার পক্ষ থেকে বেসরকারি হাসপাতালগুলিকে স্পষ্টভাবে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, জুলাইয়ের আগে তাদের টিকা দেওয়া সম্ভব নয়। ফলে সরবরাহ মসৃণ না হওয়া পর্যন্ত রাজ্যে যে ১৮ উর্ধ্বদের টিকাকরণও বেসরকারি ক্ষেত্রে শুরু হবে না, তাও একপ্রকার পরিষ্কার হয়ে যাচ্ছে।

বেসরকারি হাসপাতালগুলিতে তৈরি হওয়া টিকা সঙ্কট নিয়ে এ দিন স্বাস্থ্য ভবনের কর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করেন হাসপাতালের পরিচালন কমিটির সদস্যরা। সূত্রের খবর, সেই বৈঠকেই সেরামের এই বক্তব্যের কথা রাজ্য সরকারকে জানানো হয়। বেসরকারি হাসপাতালগুলির তরফে দাবি করা হয়, টিকা কবে পাওয়া যাবে তা জানতে চেয়ে সেরামের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়েছিল। কিন্তু সংস্থার পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, যে বরাত তাঁদের কাছে রয়েছে তা পাঠিয়ে বেসরকারি হাসপাতালগুলিকে টিকা দিতে জুলাই মাস হয়ে যাবে। তার আগে সম্ভব নয়।

আরও পড়ুন: শহরের মর্গে দেহ রাখার জায়গা নেই, মহানগরে আতঙ্কের ছবি

এ তো না হয় গেল কোভিশিল্ডের কথা। কোভ্যাক্সিনের প্রস্তুতকারী সংস্থা ভারত বায়োটেক কবে নাগাদ বেসরকারি হাসপাতালগুলিকে টিকা দিতে পারবে, সেই সম্পর্কিত কোনও তথ্যই দেওয়া হয়নি। অর্থাৎ কোভিশিল্ড জুলাইয়ে পাওয়া যাবে নিশ্চয়তা থাকলেও কোভ্যাক্সিন নিয়ে কোনও নিশ্চয়তাই এখন দিতে পারছে না ভারত বায়োটেক। এই অবস্থায় টিকাকরণ প্রক্রিয়া কীভাবে চলবে তা নিয়েই বড় প্রশ্ন উঠে গিয়েছে।

এই অবস্থায় রাজ্য সরকারের কাছেই টিকার জন্য দরবার করেছে বেসরকারি হাসপাতালগুলি। টিকাকরণ যাতে কমপক্ষে মসৃণভাবে চালিয়ে যাওয়া যায়, তার জন্য রাজ্যের কাছের সাহায্য চাওয়া হয়েছে। পালটা রাজ্য সরকার জানিয়েছে, বেসরকারি হাসপাতালে দৈনিক কত টিকা প্রয়োজন তার একটি তালিকা জমা করতে। তারপর কী সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় সেদিকেই থাকবে চোখ।

আরও পড়ুন: ‘এনাফ ইজ এনাফ, অক্সিজেন দিতেই হবে’, দিল্লি হাইকোর্টে চরম ভর্ৎসনার মুখে কেন্দ্র