‘এনাফ ইজ এনাফ, অক্সিজেন দিতেই হবে’, দিল্লি হাইকোর্টে চরম ভর্ৎসনার মুখে কেন্দ্র
দিল্লি হাইকোর্ট নির্দেশ দিয়েছে রাজধানীতে যেন আজকের মধ্যেই ৪৯০ মেট্রিক টন অক্সিজেন পৌঁছে যায়।
নয়া দিল্লি: রাজধানীর প্রত্যেকটি হাসপাতালকে পর্যাপ্ত অক্সিজেন দিতেই হবে। কেন্দ্রকে সাফ জানাল দিল্লি হাইকোর্ট। বিচারপতিদের পর্যবেক্ষণ, “জল মাথায় ওপরে চলে গিয়েছে। ৮ জনের প্রাণ হারিয়ে গিয়েছে। আমরা চোখ বন্ধ করে বসে থাকতে পারি না।” দিল্লির বত্রা হাসপাতালে অক্সিজেনের অভাবে ৮ জনের মৃত্যুর পর এ ভাবেই কেন্দ্রকে বিঁধল হাইকোর্ট।
দিল্লি হাইকোর্ট নির্দেশ দিয়েছে রাজধানীতে যেন আজকের মধ্যেই ৪৯০ মেট্রিক টন অক্সিজেন পৌঁছে যায়। এর জন্য প্রয়োজনীয় ট্যাঙ্কারেরও ব্যবস্থা করতে কেন্দ্রকে নির্দেশ দিয়েছে দিল্লি হাইকোর্ট। দিল্লির বত্রা হাসপাতালে শনিবারই প্রায় ৮০ মিনিট অক্সিজেনের জোগান ছিল না। তার ফলেই এক চিকিৎসক-সহ একাধিক রোগী প্রাণ হারিয়েছেন।
হাসপাতালের আধিকারিকরা দিল্লি হাইকোর্টকে জানিয়েছেন, ১২ টা ৪৫ মিনিটে সেখানে অক্সিজেন শেষ হয়ে যায়। অক্সিজেন আসে দেড়টায়। মাঝখানে ৮০ মিনিট অক্সিজেনের কোনও জোগান ছিল না। দিল্লির বত্রা হাসপাতালের আধিকারিকরা ১২ টা ১ মিনিট নাগাদ কোর্টকে জানান, তাদের অক্সিজেন শেষ হয়ে যাচ্ছে। হাসপাতাল সূত্রে খবর, দিল্লি সরকার চেষ্টা করেও সঠিক সময়ে অক্সিজেন পৌঁছে দিতে পারেনি। ফলস্বরূপ প্রাণ হারাতে হয় বেশ কয়েকজনকে। এই ঘটনার পরই দিল্লি হাইকোর্টে চরম ভর্ৎসনার মুখে পড়েছে কেন্দ্র। এর আগেও একাধিকবার দিল্লি হাইকোর্টের ভর্ৎসনার মুখে পড়েছে কেন্দ্র ও দিল্লি সরকার।
এর আগে দিল্লি হাইকোর্ট প্রশ্ন তুলেছিল, কেন্দ্রীয় সরকার কি মানুষের জীবনের পরোয়া করে না? রাজধানীতে লাগাতার বাড়তে থাকা অক্সিজেন সঙ্কট নিয়ে একাধিক গুরুতর প্রশ্ন তুলে এই ভাষাতেই নরেন্দ্র মোদী সরকারকে তীব্র ভর্ৎসনা করেছিল হাইকোর্ট। “অক্সিজেনের অভাবে জনগণের হাহাকার দেখতে পেয়েও সরকার কেন বাস্তব পরিস্থিতি স্বীকার করতে চাইছে না?” এই প্রশ্ন তুলেও কেন্দ্রকে কার্যত তুলোধোনা করেছিলেন বিচারপতি। উল্লেখ্য করোনা অতিমারিকে ‘জাতীয় বিপর্যয়ের’ আখ্যা দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। এমতাবস্থায় বারবার দিল্লিতে অক্সিজেনের ব্যবস্থা করার মরিয়া চেষ্টা করছে হাইকোর্ট।
আরও পড়ুন: ঘণ্টা দেড়েক অক্সিজেন নেই, কাতরাতে কাতরাতে রোগী মৃত্যু হাসপাতালে