Waqf Protest: ‘স্যরেরা চলে গেলে কী হবে’, চোখে-মুখে আতঙ্ক ধুলিয়ানে, পোড়া গন্ধেই নববর্ষ শোনপুরে
Waqf Protest: সোমবার ওয়াকফ আইনের প্রতিবাদে মিছিল চলার সময় আচমকা উত্তপ্ত হয়ে ওঠে দক্ষিণ ২৪ পরগনার ভাঙড়। শোনপুর বাজারের কাছে পুলিশের সঙ্গে চলে ব্যাপক ধস্তাধস্তি। পুলিশের গাড়িতে আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয়। চলে ধরপাকড়।

কৌশিক ঘোষ ও সৌরভ দত্তের রিপোর্ট
ছন্দে ফিরছে ধুলিয়ান। পয়লা বৈশাখের সকালে খুলতে শুরু করেছে দোকানপাট। বসেছে বাজার। ধুলিয়ান শিব মন্দির এলাকায় সকাল থেকে খুলতে শুরু করেছে দোকানপাট। চলছে পুলিশের নজরদারি। এলাকায় মোতায়ন রয়েছে বিএসএফ। আজ পয়লা বৈশাখ। দোকানের নতুন খাতা খোলার দিন। এই দিনটায় দোকান আদৌ খোলা যাবে কি না, তা নিয়ে সন্দেহ ছিল ব্যবসায়ীদের। তবে পয়লার সকালে দোকান খুলতে পেরে খুশি তাঁরা। তবে আতঙ্ক কাটছে না কিছুতেই।
গত সপ্তাহ থেকে ওয়াকফ আইন বিরোধী আন্দোলন চরম আকার নেয়। পরপর বোমার শব্দে কেঁপে ওঠে সুতি, ধুলিয়ান। গ্রাম জুড়ে একের পর এক বাড়িতে আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয়। হাইকোর্টের নির্দেশে আগামী ১৭ এপ্রিল পর্যন্ত মুর্শিদাবাদের স্পর্শকাতর এলাকাগুলিতে মোতায়েন রাখা হয়েছে কেন্দ্রীয় বাহিনী। ৪-৫ দিন কেটে যাওয়ার পরও ভয় কাটছে না। স্থানীয় বাসিন্দারা বলছেন, “১৭ তারিখের পর তো স্যরেরা চলে যাবেন। কে দেবে নিরাপত্তা? যদি আমাদের সঙ্গেও কিছু ঘটে যায়?”

ফাইল ছবি
এদিকে, সোমবার ওয়াকফ আইনের প্রতিবাদে মিছিল চলার সময় আচমকা উত্তপ্ত হয়ে ওঠে দক্ষিণ ২৪ পরগনার ভাঙড়। শোনপুর বাজারের কাছে পুলিশের সঙ্গে চলে ব্যাপক ধস্তাধস্তি। পুলিশের গাড়িতে আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয়। চলে ধরপাকড়। নববর্ষের দিন সেই শোনপুরে দেখা যাচ্ছে শুধুই পোড়া দাগ আর পোড়া গন্ধ। দোকানদাররা কেউই সোমবারের ঘটনা নিয়ে মুখ খুলতে চাইছেন না। যাঁদের গ্রেফতার করা হয়েছে, তাঁরা বলছেন, নিরীহ মানুষকেই তুলে নিয়ে যাওয়া হয়েছে, আসল দোষীরা গ্রেফতার হননি।
বেআইনি জমায়েত, সরকারি সম্পত্তি ভাঙচুরের অভিযোগে উত্তর কাশীপুর, ভাঙড়, পোলেরআইট থানায় মোট তিনটি মামলা রুজু হয়েছে। সেই তিন মামলায় আটজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
এখনও মুর্শিদাবাদের একাধিক জায়গায় বন্ধ ইন্টারনেট। রাস্তায় রাস্তায় পুলিশ, কেন্দ্রীয় বাহিনী। সব মিলিয়ে পরিস্থিতি ছন্দে ফিরলেও, এখনও থমথমে আবহ।





