AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Cyclone Dana: বন্ধ সব ফেরি সার্ভিস, দানার ঝাপটা সামাল দিতে রাতারাতি ঘিরে ফেলা হচ্ছে সুন্দরবনকে

Cyclone Dana: বিগত কয়েক বছরে একের পর ঘূর্ণিঝড় আছড়ে পড়েছে বাংলার বুকে। সবথেকে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে উপকূলবর্তী এলাকাগুলি। ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে সুন্দরবনের অন্যতম দুটি দ্বীপ মৌসুনি দ্বীপ ও ঘোড়ামারা দ্বীপের।

Cyclone Dana: বন্ধ সব ফেরি সার্ভিস, দানার ঝাপটা সামাল দিতে রাতারাতি ঘিরে ফেলা হচ্ছে সুন্দরবনকে
প্রতীকী ছবি Image Credit: Facebook
| Edited By: | Updated on: Oct 22, 2024 | 3:00 PM
Share

কাকদ্বীপ: বৃহস্পতিবার গভীর রাতে তীব্র ঘূর্ণিঝড়ের রূপ নিয়ে পুরী থেকে সাগরদীপের মাঝে আছড়ে পড়তে পারে দানা। ইতিমধ্যেই সেই পূর্বাভাসের কথা জানিয়েছে মৌসম ভবন। তাতেই ওড়িশার পাশাপাশি ভয় বাড়ছে বাংলাতেও। সবথেকে বেশি উদ্বেগ বাড়ছে বাংলার উপকূলবর্তী এলাকাগুলিতে। প্রাণহানি, সম্পদহানি ঠেকাতে মাঠে নামছে বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী। এরইমধ্যে দানার ঝাপটার সামাল দিতে এদিন দুপুরে কাকদ্বীপ মহকুমার প্রশাসনিক ভবনে হয়ে গেল বড় বৈঠক। ছিলেন সুন্দরবন উন্নয়ন মন্ত্রী বঙ্কিম হাজরা, বিধায়ক মন্টুরাম পাখিরা, কাকদ্বীপের মহকুমা শাসক মধুসূদন মন্ডল, এসডিপিও প্রসেনজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায়, পুলিশ ও প্রশাসনিক আধিকারিক-সহ সমস্ত দফতরের কর্তারা। 

বিগত কয়েক বছরে একের পর ঘূর্ণিঝড় আছড়ে পড়েছে বাংলার বুকে। সবথেকে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে উপকূলবর্তী এলাকাগুলি। ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে সুন্দরবনের অন্যতম দুটি দ্বীপ মৌসুনি দ্বীপ ও ঘোড়ামারা দ্বীপের। তাই এবারে সেগুলিকে কীভাবে রক্ষা করা যায় তা নিয়েও চলে জোরদার আলোচনা। দু’টি দ্বীপের পাশাপাশি নামখানা, ফ্রেজারগঞ্জ, সাগর, গঙ্গাসাগর উপকূল, পাথর প্রতিমার দীপাঞ্চলগুলো মিলিয়ে ৬৫টি বেহাল মাটির বাঁধ চিহ্নিত করা গিয়েছে বলে জানা গিয়েছে। এরমধ্যে ১৭টি বাঁধের পরিস্থিতি সবথেকে বেশি খারাপ বলে জানা যাচ্ছে। সেগুলির দিকে বিশেষ নজর রয়েছে প্রশাসনের। 

আপৎকালীন পরিস্থিতিতে বাঁধগুলির উপর বিশেষ নজর রাখার জন্য ব্লক প্রশাসন এবং পঞ্চায়েতগুলিকে সেচ দফতরের সঙ্গে যোগাযোগ রেখে কাজ করার কথা বলা হয়েছে। একইসঙ্গে ২৪ ও ২৫ অক্টোবর সুন্দরবনের সমস্ত ফেরি সার্ভিস বন্ধ করারও সিদ্ধান্ত নিয়েছে স্থানীয় প্রশাসন। যে দ্বীপগুলিতে স্থানীয় লোকজন সবথেকে বেশি দুর্ভোগে পড়তে পারেন তাঁদের ইতিমধ্যেই সেখান থেকে সরিয়ে নিয়ে আসার কাজ শুরু হয়েছে।