TMC-ISF: লোকসভা ভোটের আগে ভাঙড়ে ISF এর ‘রক্তক্ষরণ’, তৃণমূলে যোগ শতাধিক কর্মীর
TMC-ISF: বিরোধী ইন্ডিয়া জোটে জটের জাল ক্রমেই বাড়ছে। বাংলায় কংগ্রেসকে কোনও আসনই ছাড়ছে না তৃণমূল। তাই প্রশ্নের মুখে জোটের ভবিষ্যত। এরইমধ্যে জোটে ঢোকা নিয়ে আবার আইএসএফ বিধায়ক নওশাদ মোল্লা খানিক ইঙ্গিতপূর্ণ মন্তব্য করে বসে আছেন।
ভাঙড়: ভাঙড়ে আবারও আইএসএফে (ISF) ভাঙন। এবার প্রায় ১০০ জন আইএসএফ (ISF) কর্মী তৃণমূলে যোগ দিলেন। যা নিয়ে নতুন শোরগোল শুরু বয়েছে রাজনীতির আঙিনায়। এদিকে সামনেই আবার লোকসভা ভোট। শেষবেলার প্রস্তুতিতে কোনওরকম খামতি রাখতে চাইছে না কোনও দলই। কোমর বেঁধে ময়দানে নেমে পড়েছে শাসক থেকে বিরোধী সব রাজনৈতিক দলই। বিরোধী ইন্ডিয়া জোটে জটের জাল ক্রমেই বাড়ছে। বাংলায় কংগ্রেসকে কোনও আসনই ছাড়ছে না তৃণমূল। তাই প্রশ্নের মুখে জোটের ভবিষ্যত। এরইমধ্যে জোটে ঢোকা নিয়ে আবার আইএসএফ বিধায়ক নওশাদ মোল্লা খানিক ইঙ্গিতপূর্ণ মন্তব্য করে বসে আছেন। তবে তৃণমূল থাকলে তাঁরা যে কোনওভাবেই আসবেন না তা সাফ বলেছেন। না থাকলে ভেবে দেখার কথা শোনা গিয়েছে তাঁর মুখে। এমতাবস্থায় ভাঙড়ে আইএসএফের শক্তিক্ষয় যে রাজনৈতিকভাবে বিশেষভাবে তাৎপর্যপূর্ণ তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না।
শনিবার ভাঙড়ের বোদরা অঞ্চলের খড়গাছি এলাকায় তৃণমূল কংগ্রেসের কর্মীসভা থেকে যোগ দেয় আইএসএফ কর্মীরা। এলাকার বিধায়ক শওকাত মোল্লার হাত থেকে তৃণমূলের পতাকা নেয় তাঁরা। এলাকার উন্নয়নের স্বার্থে আইএসএফ ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দিয়েছি বলে জানান দলত্যাগী আইএসএফ কর্মীরা।
অন্যদিকে শওকাত মোল্লা বলছেন, নওশাদ সিদ্দিকী আইএসএফ কর্মীদের যে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল তা পূরণে ব্যর্থ। সে কারণে তাঁরা তৃণমূলে যোগ দিয়েছে। আইএসএফ নেতা রাইনুর হক বলেন, ভয় দেখিয়ে কিছু লোক টানছে। ভোট হলে সকলে আইএসএফে ভোট দেবে। মানুষ এখন আইএসএফের সঙ্গে আছে।