Joynagar Arms Factory: লিভিং রুমে তৈরি হত অস্ত্র, লুকানো থাকত পুকুরে! ১ বছরের চেষ্টায় জয়নগরে মিলল অস্ত্র কারখানার হদিশ
Joynagar Arms Factory: অস্ত্রের এই কারবারিকে বেশ ফিল্মি কায়দায় ধরে পুলিশ। ক্রেতা সেজে প্রথমে রহমাতুল্লার সঙ্গে যোগাযোগ করেন পুলিশ কর্তারা। নির্দিষ্ট অর্থের বিনিময়ে 'ডিল' হয়। মঙ্গলবারই সেই অস্ত্রের ডেলিভারি দেওয়ার কথা ছিল।

জয়নগর: এক বছর ধরে তক্কে তক্কে ছিলেন তদন্তকারীরা। অবশেষে গ্রেফতার আগ্নেয়াস্ত্র কারবারি। জয়নগরে এক বাড়িতে অস্ত্র কারখানার হদিশ মিলল। বাড়ি থেকে উদ্ধার হয়েছে ৮ টি ওয়ান সাটার, ২ টি এক নলা বন্দুক। আগ্নেয়াস্ত্র তৈরির সরঞ্জামও উদ্ধার হয়েছে। ঘটনায় গ্রেফতার করা হয় রহমাতুল্লা শেখ নামে এক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করেন বারুইপুর পুলিশ জেলার SOG (স্পেশাল অপারেশন গ্রুপ) জয়নগর থানার পুলিশ । জানা গিয়েছে, রহমাতুল্লা জয়নগরের কাশীপুর কামারিয়ার বাসিন্দা।
পুলিশ কর্তা প্রেস মিট করে বলেন, “অস্ত্রের কারবার রাজ্যের অনেক জায়গাতেই হয়। এখানে হচ্ছিল, সেটা আমাদের কাছে খবর ছিল। কিন্তু ওখানে যে অস্ত্র কারখানা রয়েছে, সেই ব্যাপারে নিশ্চিত হওয়ার জন্য আমাদের আরও বেশি তথ্যের প্রয়োজন ছিল। সে ব্যাপারে নিশ্চিত হতেই তল্লাশি চালাই।” পুলিশ এটাও জানিয়েছে, রহমাতুল্লা নিজেই অস্ত্র বানাতেন। এর পিছনে এখনও পর্যন্ত কোনও রাজনৈতিক যোগ থাকার প্রমাণ মেলেনি।
তবে অস্ত্রের এই কারবারিকে বেশ ফিল্মি কায়দায় ধরে পুলিশ। ক্রেতা সেজে প্রথমে রহমাতুল্লার সঙ্গে যোগাযোগ করেন পুলিশ কর্তারা। নির্দিষ্ট অর্থের বিনিময়ে ‘ডিল’ হয়। মঙ্গলবারই সেই অস্ত্রের ডেলিভারি দেওয়ার কথা ছিল। ময়দা এলাকায় একটি নার্সিংহোমের সামনে অস্ত্রের লেনদেন হওয়ার কথা ছিল।
নির্দিষ্ট সময়েই অস্ত্র নিয়ে সেখানে উপস্থিত হন রহমাতুল্লা। সাদা পোশাকের পুলিশও সেখানে পৌঁছে যান। দূরে দাঁড়িয়ে ছিলেন পুলিশ কর্তারা। অস্ত্র বার করতেই রহমাতুল্লার হাত চেপে ধরেন পুলিশ কর্তারা। তারপর চলতে থাকে জেরা। জেরার মুখে ভেঙে পড়েন রহমাতুল্লা। তিনি স্বীকার করেন বাড়িতেই অস্ত্র তৈরি করতেন তিনি।
রহমাতুল্লার বাড়িতে গিয়ে চক্ষু চড়কগাছ পুলিশ কর্তাদের। বাড়ি ভর্তি অস্ত্র তৈরির সরঞ্জাম। উদ্ধার হয় ড্রিল মেশিন, ডাইস, ফাইল, হ্যাক্সো, করাত, লোহার পাত-সহ আরও অনেক কিছু। বাড়়ির পিছনে রয়েছে একটি পুকুর। সেখানেই অস্ত্র লুকিয়ে রাখতেন রহমাতুল্লা। আপাতত রহমাতুল্লাকে নিজেদের হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করতে চান তদন্তকারীরা। তদন্তকারীরা নিশ্চিত, এই চক্রের সঙ্গে আরও অনেকে জড়িত। তাঁদের খোঁজে তল্লাশি চলছে।
