Baruipur Gun Shot: ‘দেখে নেব’, হুমকির মুখে নিহতের পরিবার, বারুইপুর জোড়া খুন কাণ্ডে এখনও অধরা মূল অভিযুক্ত

Baruipur Gun Shot: বৃহস্পতিবার সকাল থেকে এলাকা কার্যত শুনশান। বারুইপুর থানার আইসির নেতৃত্বে বাহিনী সকালেই এলাকায় টহল দেয়।

Baruipur Gun Shot:  'দেখে নেব', হুমকির মুখে নিহতের পরিবার, বারুইপুর জোড়া খুন কাণ্ডে এখনও অধরা মূল অভিযুক্ত
বারুইপুর জোড়া খুন কাণ্ডে অধরা মূল অভিযুক্ত
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Dec 08, 2022 | 3:11 PM

দক্ষিণ ২৪ পরগনা: ২৪ ঘণ্টা পেরিয়ে গিয়েছে। এখনও অধরা বারুইপুর জোড়া খুনে মূল অভিযুক্ত বলাই। বারুইপুরে নবগ্রাম পঞ্চায়েতের গৌড়দা মণ্ডলপাড়ার গুলিচালনার ঘটনায় মূল অভিযুক্ত আব্দুল হামিদ মণ্ডল ওরফে বলাইকে এখনও পর্যন্ত গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ। প্রশাসনের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন এলাকাবাসীরা।

ক্ষুব্ধ এলাকার বাসিন্দারা। গুলিচালনার ঘটনায় নিহত সাজ্জাত মণ্ডল ও সারফুদ্দিন লস্করের পরিবারের সদস্যরা আতঙ্কে রয়েছেন। অভিযোগ, পুলিশ পিকেট রয়েছে এলাকায়, তারপরেও অভিযুক্তের পরিবার হুমকির মুখে পড়ছেন। বৃহস্পতিবার সকাল থেকে এলাকা কার্যত শুনশান। বারুইপুর থানার আইসির নেতৃত্বে বাহিনী সকালেই এলাকায় টহল দেয়। অভিযুক্ত আব্দুল হামিদের দোকান-সহ বাড়িটি সিল করে দেওয়ার চিন্তা ভাবনা করছে পুলিশ প্রশাসন।

প্রাথমিকভাবে জানা যাচ্ছে, মদের আসরে এক লক্ষ টাকা নিয়ে বচসা হয়। আর তা থেকেই ঝামেলা। সেই কারণে সাজ্জাদ ও তাঁর বন্ধুকে লক্ষ্য করে গুলি চালনার অভিযোগ ওঠে। তবে স্থানীয় বাসিন্দাদের কথায়, মূল অভিযুক্ত এলাকার ত্রাস। তাঁর বিরুদ্ধে আগেও ডাকাতি, খুনের অভিযোগ রয়েছে।

স্থানীয় বাসিন্দারা জানাচ্ছেন, ঘটনার পর থেকেই মূল অভিযুক্ত বলাইয়ের মা হুমকি দিচ্ছেন। বলাইয়ের মা বলেন, “আমার ছেলেকে ফাঁসানো হচ্ছে। তদন্তেই সব প্রমাণিত হবে। পরে দেখে নেব।” আতঙ্কিত হয়ে রয়েছেন মৃতদের পরিবারের সদস্যরা।

বুধবার সকাল থেকে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে বারুইপুরে গৌড়দা গ্রাম। রাত দুটো নাগাদ গুলিবিদ্ধ হন সাজ্জাদ মণ্ডল ও তাঁর বন্ধু শারফুদ্দিন লস্কর। সাজ্জাদকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় বারুইপুর মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা মৃত বলে ঘোষণা করেন। আর শারফুদ্দিনকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় পাঠানো হয় চিত্তরঞ্জন মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে। বুধবার দুপুরের পর শারফুদ্দিনেরও মৃত্যু হয়। তবে মৃত্যুর আগে, শারফুদ্দিন হামলাকারীর নাম বলে যান। হাসপাতালের বেডে শুয়েই শারফুদ্দিন বলেন, “বলাই ও তাঁর লোকজন গুলি চালিয়েছিল।” বুধবার সকাল থেকে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে এলাকা। গৌড়দা গ্রামে বলাইয়ের বাড়িতে ভাঙচুর চালিয়ে আগুন ধরিয়ে দেন উত্তেজিত গ্রামবাসীরা। একজনকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। পরে তাঁকে গ্রেফতারও করা হয়। কিন্তু মূল অভিযুক্ত বলাই এখনও পলাতক।