Died Trekker: ‘সেই ২৭ তারিখ শেষ কথা…’ কান্নায় ভেঙে পড়লেন ট্রেকিং করতে গিয়ে মৃত পর্যটকের পরিবার
Amtala: সুজয় দলুই দক্ষিণ ২৪ পরগনার আমতলার বাসিন্দা। পরিবার সূত্রে খবর, গত ২৪ অগস্ট বাড়ি থেকে উত্তরাখণ্ডের নাথুলা পাসের উদ্দেশে।
আমতলা: দেবভূমিতে ট্রেকিং গিয়ে মৃত্যু বাঙালি পর্যটকের। হিমাচলের খিমলোগা পাসে ট্রেকে গিয়ে বিপত্তি হয়।পাস পেরিয়ে ছিতকুলে ফেরার পথে ক্রিভাস বা গর্তে পড়ে যান সুজয় দলুই নামে ওই পর্যটক। এরপর নিখোঁজ থাকেন তিনি। পরে পরিবারের কাছে খবর আসে সুজয়ের মৃত্যুর। সুজয় বাদে জখম হয়েছেন আরও দুই অভিযাত্রী। তাঁকে সাংলার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
সুজয় দলুই দক্ষিণ ২৪ পরগনার আমতলার বাসিন্দা। পরিবার সূত্রে খবর, গত ২৪ অগস্ট বাড়ি থেকে উত্তরাখণ্ডের নাথুলা পাসের উদ্দেশে। এরপর গত ২৭ অগস্ট পর্যন্ত পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে ফোনে যোগাযোগ হয়। তারপরই আর কোনও কথা হয়নি বলে খবর।
ছেলের মৃত্যুর পর শোকে ভেঙে পড়েছেন সুজয়ের মা অঞ্জলি দলুই। চোখ ভর্তি জল নিয়ে তিনি বলেন, ‘ওখান থেকে সুজয়ের খারাপ খবর বলছিল। বলল একজন পাস থেকে একজন নেমে এসেছেন। দ্বিতীয় জনের অবস্থা খুব খারাপ। আর সুজয়কে পাওয়া যাচ্ছে না।’ অপরদিকে সুজয়ের স্ত্রী পিকু দলুই জানিয়েছেন, ট্রেকিং করবে বলে দুপুর ১টায় ট্রেনে করে হাওড়া যায়। সেখান থেকে দেরাদুন যান। সেখান থেকে জাফল বলে একটি জায়গায় গিয়েছিলেন। তারপর ২৭ তারিখ শেষ কথা হয়। এরপর আর ওনার সঙ্গে কোনও কথা হয়নি। উনি খুবই প্রকৃতির সঙ্গে থাকতে ভালবাসতেন। এর আগে কাঞ্চনজঙ্ঘা গিয়েছিলেন।’
পরিবার সূত্রে খবর, আমতলা থেকে সুজয়বাবু একাই গিয়েছিলেন তারকেশ্বরের একটি দলের সঙ্গে। যেই সময় তিনি ট্রেকিং করতে উত্তরাখণ্ড যাত্রা করেন সেই সময় পুরীতে বেড়াতে যান তাঁর স্ত্রী ও পুত্র। পরে মৃত্যুর খবর পেয়ে বাড়িতে ফেরেন তাঁরা।
উল্লেখ্য, সুজয় দলুইয়ের সঙ্গে রওনা দিয়েছিলেন আরও দুই ট্রেকার। সুব্রত বিশ্বাস ও নরোত্তম জ্ঞান তাঁদের নাম।দুর্ঘটনার পর দারোয়ান খামিলোগায় একটি ক্যাম্প তৈরি করে। সেখানেই প্রাথমিকভাবে তাঁরা ছিলেন। ইন্দো-তিব্বত বর্ডার পুলিশ ক্যাম্পের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়। রাতেই আইটিবিপি উদ্ধারকারী দল নিয়ে ঘটনাস্থলে যান। বর্তমানে আরও দুই ট্রেকারের বর্তমান শারীরিক অবস্থা স্থিতিশীল।