Bhangar: বিচ্ছেদের পরও স্ত্রীর সঙ্গে ‘ডেটিং’ করতেন লুকিয়ে, তাঁরই অস্বাভাবিক মৃত্যুতে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড হল যুবকের
Bhangar: বিচ্ছেদের পরও দুজনের মধ্যে ফোনে যোগাযোগ ছিল। কথাবার্তাও চলত দীর্ঘক্ষণ। দেখাও করতেন লুকিয়ে। এরকমই একদিন প্রাক্তন স্বামীর সঙ্গে দেখা করেছিলেন।
ভাঙড়: বিয়ের পর শ্বশুরবাড়ি গিয়ে জানতে পেরেছিলেন স্বামীর প্রথম পক্ষের স্ত্রী রয়েছেন, রয়েছে দুই সন্তানও। তাই নিয়ে শুরু হয় অশান্তি। তারপর হয়ে যায় বিচ্ছেদও। কিন্তু বিচ্ছেদের পরও দুজনের মধ্যে ফোনে যোগাযোগ ছিল। কথাবার্তাও চলত দীর্ঘক্ষণ। দেখাও করতেন লুকিয়ে। এরকমই একদিন প্রাক্তন স্বামীর সঙ্গে দেখা করেছিলেন। কিন্তু সেদিন আর বাড়ি ফেরেনি তরুণী। বাড়ির পিছন থেকেই উদ্ধার হয়েছিল তরুণীর দেহ। পরিবারের সন্দেহ ছিল তাঁর প্রাক্তন স্বামীর বিরুদ্ধেই। থানায় অভিযোগ হয়, আদালতে মামলা। অভিযোগ প্রমাণও হয়। প্রাক্তন স্ত্রীকে খুনের দায়ে স্বামীকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দণ্ডিত করলেন বিচারক। ঘটনাটি ঘটেছে দক্ষিণ ২৪ পরগনার কাশীপুর থানা এলাকায়। মৃত স্ত্রীর নাম মমতাজ বিবি। বাড়ি ভাঙড় ২ নম্বর ব্লকের কাশিপুর থানা এলাকায়। সাজাপ্রাপ্ত স্বামীর নাম সাদ্দাম মণ্ডল। বাড়ি বাসন্তী থানার বল্লারটপ এলাকায়।
পারিবারিক সূত্রে খবর ২০১৪ সালে সাদ্দামের সঙ্গে মমতাজ বিবির বিয়ে হয়েছিল। কিন্তু বিয়ের পরে মমতাজ বিবি যখন শ্বশুর বাড়ি যান, তখন দেখেন স্বামীর প্রথম পক্ষের স্ত্রী রয়েছে। তাই নিয়ে মমতাজ বিবি ও সাদ্দামের সঙ্গে অশান্তি লেগেই থাকত। এরপর থেকেই মমতাজের ওপর অত্যাচার করতে থাকে সাদ্দাম মণ্ডল ও তাঁর বাড়ির লোকজন।
মমতাজ কিছুদিন পরে নিজের বাড়ির কাশীপুরে ফিরে যান। এরপর সাদ্দামকে তাঁকে তালাক দেন। কিন্তু তাঁদের দু’জনের মধ্যে মোবাইলে যোগাযোগ ছিল। সেই অবস্থায় ২০১৬ সালের ৩ জুন সন্ধ্যায় সাদ্দাম মমতাজের বাড়িতে যান। বাড়ির পাশে দু’জনে গল্প করে অনেক রাত পর্যন্ত। মমতাজকে ফোন করে ডেকে এনে খুন করেন বলে অভিযোগ।
পরদিন সকালে মমতাজের দেহ দেখতে পান পরিবারের সদস্যরা। কাশীপুর থানার পুলিশ দেহটি উদ্ধার করে নিয়ে যায়। কাশিপুর থানায় অভিযোগ দায়ের করেন মমতাজের পরিবারের সদস্যরা। কাশীপুর থানার পুলিশ পরে সাদ্দাম মণ্ডলকে গ্রেফতারও করে।
বারুইপুর মহকুমা আদালতে সেই মামলা চলে। সাত বছর সাদ্দাম মণ্ডল জেলেই ছিলেন। বারুইপুর মহাকুমা আদালতের ফাস্ট ট্রাক কোর্টে বিচার চলছিল সাদ্দামের। বুধবার ফাস্ট ট্রাক কোর্টের বিচারক মুন চক্রবর্তীর এসলাসে এই মামলাটির রায় ঘোষণা হয়। বিচারক এই দিন সাদ্দামকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেন। সাদ্দামের পরিবার হাইকোর্টের দ্বারস্থ হবেন বলে জানিয়েছেন।