BJP-TMC Clash: ‘তোর চিতা সাজিয়ে রেখেছি’, তৃণমূলে যোগ না দেওয়ায় বিজেপি কর্মীকে বেধড়ক মারের অভিযোগ

BJP-TMC Clash: গত ২১ ফেব্রুয়ারি রাত্রি সাড়ে ৯টা নাগাদ বাড়ি ফিরছিলেন দীপঙ্কর। অভিযোগ, সেই সময় গ্রামের ফাঁকা রাস্তায় তাঁকে একা পেয়ে ঘিরে ধরে জনা চারেক দুষ্কৃতী।

BJP-TMC Clash: 'তোর চিতা সাজিয়ে রেখেছি', তৃণমূলে যোগ না দেওয়ায় বিজেপি কর্মীকে বেধড়ক মারের অভিযোগ
আক্রান্ত বিজেপি কর্মী দীপঙ্কর হালদার (নিজস্ব চিত্র)
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Feb 27, 2023 | 2:20 PM

কাকদ্বীপ: ফের উত্তপ্ত দক্ষিণ ২৪ পরগনার কাকদ্বীপ (Kakdwip)। তৃণমূলে যোগ না দেওয়ায় রাতের অন্ধকারে বেধড়ক মারধরের অভিযোগ উঠল তৃণমূলের বিরুদ্ধে। আক্রান্ত বিজেপি কর্মী দীপঙ্কর হালদার। তিনি কাকদ্বীপ বিধানসভার বাপুজী গ্রাম পঞ্চায়েতের ১২ নম্বর মাইতিরচকের বাসিন্দা। দীপঙ্কর ওই বুথের সম্পাদক।

গত ২১ ফেব্রুয়ারি রাত্রি সাড়ে ৯টা নাগাদ বাড়ি ফিরছিলেন দীপঙ্কর। অভিযোগ, সেই সময় গ্রামের ফাঁকা রাস্তায় তাঁকে একা পেয়ে ঘিরে ধরে জনা চারেক দুষ্কৃতী। কাচের বোতল ভেঙে আঘাত করা হয় দীপঙ্করকে। তাঁর হাত ও মাথার পিছনে বোতলের আঘাতে রক্তাক্ত হয়। এরপর দীপঙ্করের চিৎকারে দুষ্কৃতীরা পালিয়ে যায়। আওয়াজ পেয়ে এলাকায় উপস্থিত হন প্রতিবেশীরা। তাঁকে উদ্ধার করে কাকদ্বীপ সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তিন দিন পর তাঁকে ছুটি দেওয়া হয়। এরপর হারুউড পয়েন্ট উপকূল থানায় অভিযোগ যান দীপঙ্কর। অভিযোগ, তাঁকে বারে বারে ফিরিয়ে দেওয়া হয়। দীপঙ্কর বাড়িতে ফিরলেও আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছে তার পরিবার।

পরিবারের দাবি, গত বিধানসভা নির্বাচনের পর থেকে দীর্ঘদিন ঘরছাড়া ছিলেন দীপঙ্কর সহ ওই গ্রামের বেশ কিছু বিজেপি সমর্থক। অনেককে মোটা টাকা জরিমানা দিয়ে ঢুকতে হয়েছে ওই গ্রামে। অনেকের চাষের জমি দখল করে নিয়েছে বলে অভিযোগ ওঠে। যদিও, তৃণমূল নেতৃত্ব সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করে ঘটনাটি বিজেপির গোষ্ঠী কোন্দল বলে দাবি করেছে। তবে ঘটনাটি চাউর হতেই নড়েচড়ে বসেছে পুলিশ প্রশাসন। চাপে পড়ে অভিযোগ নিয়ে ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।

আক্রান্ত বিজেপি কর্মী দীপঙ্কর হালদার বলেন, “আমাকে মারার পর আমি নিচে পড়ে যাই। মোবাইলে লাইট জ্বলছিল। আমি ওইখানে একজনকে দেখতে পেয়েছিলাম। সে আমার গ্রামের ছেলে। গত বিধানসভা ভোট থেকে আমার উপর চড়াও হয়েছে। আমাকে বাড়ি ছাড়া হতে হয়েছিল। বাড়ির সামনে দিয়ে যাওয়ার সময় ওরা হুমকি দিয়ে আমায় বলত তোর চিতা সাজিয়ে রেখেছি। আমি করি সেই কারণে।” যদিও তৃণমূল বুথ সভাপতি বলেন, “ওদের নিজেদের মধ্যে ঝামেলা। তৃণমূলের ঘাড়ে এখন দোষ চাপাচ্ছে। তাই তৃণমূলকে বদনাম করে কোনও লাভ নেই।”