দক্ষিণ ২৪ পরগনা: ঝড়খালির হেড়োভাঙা নদী থেকে উদ্ধার হল এক মহিলার মৃতদেহ। পুলিশের অনুমান, সপ্তাহখানেক পুরনো এই দেহ। জলে থাকার কারণে একেবারে ফুলে ফেঁপে গিয়েছে। এক সপ্তাহ আগেই এই নদীতে ভয়াবহ নৌকাডুবি হয়। উল্টে গিয়েছিল পর্যটকবোঝাই একটি নৌকা। এরপর থেকেই নিখোঁজ কলকাতার প্রতিমা দলুই। ইতিমধ্যেই তাঁর পরিবারকেও খবর পাঠানো হয়েছে।
গত রবিবার সপরিবারে সুন্দরবনের ঝড়খালিতে বেড়াতে গিয়েছিলেন টালিগঞ্জের কুঁদঘাটের অলোক দলুই। স্ত্রী প্রতিমা, দুই সন্তানকে নিয়ে হেড়োভাঙা নদীতে নৌকাবিহারের সময়ই ঘটে যায় ভয়ঙ্কর দুর্ঘটনা। অতিরিক্ত যাত্রী থাকার কারণে ঝড়খালির জেটি ঘাট থেকে মা গঙ্গা বোট যাত্রা শুরু করতেই টাল খেতে থাকে। ওই বোটে মোট ১২ জন পর্যটক ছিলেন। কিছু দূর এগোতেই উল্টে যায় পর্যটক বোঝাই বোটটি। ঘটনাস্থলে মৃত্যু হয় সুবোধ বৈতন্য নামে বছর পঁয়ষট্টির এক ব্যক্তির।
এদিকে স্ত্রী, সন্তান নিয়ে জলে পড়ে যান অলোক দলুইও। কোনও ক্রমে বাচ্চাদের উদ্ধার করতে পারলেও জলের তোড়ে ভেসে যান প্রতিমা। চোখের সামনে স্ত্রীকে হাবুডুবু খেতে দেখেও কিছুই করতে পারেননি অসহায় অলোক। এরপর গত সাতদিন ধরে টানা তল্লাশি চলছে। এখনও তাঁর খোঁজ মেলেনি।
আরও পড়ুন: মেঘের গুরু গুরু, রাতভর দফায় দফায় বৃষ্টি! বিকেল গড়ালেই জাঁকিয়ে ঠান্ডার পূর্বাভাস
এরইমধ্যে শনিবার বিকেলে হেড়োভাঙার জলেই এক মহিলার পচাগলা দেহ ভাসতে দেখেন মৎস্যজীবিরা। খবর দেওয়া হয় ঝড়খালি উপকূল থানায়। পুলিশ দেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তে পাঠিয়েছে। একইসঙ্গে খবর দেওয়া হয়েছে কলকাতার দলুই পরিবারকেও।