দক্ষিণ ২৪ পরগনা: বিয়ের পর থেকেই স্বামীর সঙ্গে খুঁটিনাটি লেগে থাকত। অনিবার্য পরিণতি ছিল ডিভোর্স। সন্তানকে নিয়ে বাপের বাড়িতে চলে এসেছিলেন। কাজ খুঁজেছিলেন কলকাতায়। পরিচারিকার কাজ করতেন তিনি। সেই সুবাদেই পরিচয় হয় এক যুবকের সঙ্গে। পরে ঘনিষ্ঠতা। এরপর নিজের বাড়িতেই পাশের ঘরে সেই যুবকের সঙ্গে থাকতে শুরু করেছিলেন। সম্পর্কের রঙ গাঢ় হচ্ছিল। সঙ্গে বাড়ছিল তিক্ততাও। এরই মধ্যে ঘর থেকে ওই মহিলার ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার আর প্রেমিকের বেপাত্তা হয়ে যাওয়ার ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়াল ক্যানিংয়ে। বছর আঠাশের যুবতী দীপিকা মুখোপাধ্যায়ের মৃত্যুর ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে ক্যানিংয়ের মাতলা ২ গ্রাম পঞ্চায়েতের মিঠাখালি পশ্চিমপাড়া এলাকায়।
বছর ১২ আগে দীপিকার বিয়ে হয় বারুইপুরের নবগ্রাম গ্রাম পঞ্চায়েতের সালেপুর এলাকার শ্যামল মুখোপাধ্যায়ের সঙ্গে। দম্পতির এক পুত্র সন্তান হয়। পরে শ্বশুর বাড়ির সঙ্গে মনোমালিন্য হওয়ায় ১০ বছর আগে দীপিকা সন্তানকে নিয়ে চলে আসেন বাপের বাড়িতে। স্বামীর সঙ্গে ডিভোর্স হয়ে যায় তাঁর। নিজের সন্তানকে মানুষ করার জন্য কলকাতায় পরিচারিকার কাজ করতে থাকেন ওই গৃহবধূ।
রাজারহাট নিউটাউনের যুবক প্রসেনজিৎ বিশ্বাসের সঙ্গে ফোনে আলাপ হয় দীপিকার। পরে সম্পর্ক গাঢ় হয়। দীপিকার বাড়িতে যাতায়াত ছিল প্রসেনজিতের। প্রায় ১০ বছর ধরে যাতায়াত করতে থাকেন ওই যুবক। পেশায় গাড়ি চালক ওই যুবক ক্যানিংয়ে দীপিকার বাড়িতেই থাকতে শুরু করেন।
প্রতিবেশীরা জানাচ্ছেন, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় প্রসেনজিৎ ও দীপিকার মধ্যে ঝগড়া হয়। বেশ কিছুক্ষণ চিৎকার চেঁচামেচি শুনতে পারেন তাঁরা। পরে বিষয়টি মিটেও যায়। রাতে সকলে খাওয়া সেরে ঘুমিয়ে পড়ে। শুক্রবার সকালে দীর্ঘক্ষণ ঘরের দরজা বন্ধ থাকায় ডাকাডাকি করেন প্রতিবেশীরা। পরে দরজা খুলে পর্দা সরাতেই দেখতে পান দীপিকার ঝুলন্ত দেহ। প্রসেনজিতের খোঁজ মেলেনি। শেষে ক্যানিং থানার পুলিশে খবর দেন গ্রামবাসীরা।
ক্যানিং থানার পুলিশ ঝুলন্ত দেহটি উদ্ধার করে ময়না তদন্তে পাঠিয়েছে। দীপিকার মায়ের অভিযোগ, তাঁর মেয়েকে খুন করে ঝুলিয়ে দেওয়া হয়েছে। খুনের অভিযোগ তুলেছেন প্রতিবেশীরাও। পুলিশ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে।
আরও পড়ুন: Basanti Accident: ধীরে ধীরে যুবক ঢুকে গেলেন গাড়ির যন্ত্রাংশের ভিতর, বুক হয়ে গেল এফোঁড়-ওফোঁড়! ভয়ানক দৃশ্যের সাক্ষী সঙ্গীরা