TMC MLA: খুন হওয়ার আশঙ্কায় পুলিশ সুপারের দ্বারস্থ ক্যানিং পশ্চিমের তৃণমূল বিধায়ক
বুধবার দুপুরে বারুইপুর এসপি অফিসে এসেছিলেন। এবং পুলিশ সুপারের সঙ্গে দেখা করে নিজের আশঙ্কার কথা জানিয়েছেন।

বারুইপুর: নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন ক্যানিং পশ্চিমের বিধায়ক পরেশ রাম দাস। তৃণমূলের এই বিধায়কের আশঙ্কা তাঁকে খুন করা হতে পারে। এই আশঙ্কা থেকেই বারুইপুরের পুলিশ সুপারের সঙ্গে দেখা করেছেন তিনি। এবং নিরাপত্তার জন্য আবেদন করেছেন। নিজের আশঙ্কার কথা লিখিত ভাবে জমা দিয়েছেন পরেশ। তা জমা দিতেই বুধবার দুপুরে বারুইপুর এসপি অফিসে এসেছিলেন। এবং পুলিশ সুপারের সঙ্গে দেখা করে নিজের আশঙ্কার কথা জানিয়েছেন। তিনি জানিয়েছেন, কয়েক জন দুষ্কৃতী তাঁকে খুন করার পরিকল্পনা করছেন বলে তিনি জানতে পেরেছেন। আগেও এক বার তাঁকে খুন করার ষড়যন্ত্র করা হয়েছিল বলে দাবি তৃণমূল বিধায়কের।
বারুইপুরে পুলিশ সুপারের সঙ্গে দেখা করার পর পরেশ রাম দাস বলেছেন, “আমি ক্যানিং থানায় লিখিত দিয়ে এখানে এসেছি। বেশ কিছু দুষ্কৃতী তার মধ্যে চিরণ হালদার রয়েছে। সে এবং আরও চার-পাঁচ জন দুষ্কৃতী ষড়যন্ত্র করছে এবং জড়ো হচ্ছে আমাকে খুন করার জন্য। এ নিয়ে আমি প্রশাসনকে জানালাম। যেহেতু আমি তৃণমূল বিধায়ক তাই মুখ্যমন্ত্রী এবং অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে জানাব গোটা ব্যাপারটা।” হঠাৎ এ ব্যাপারে আতঙ্কিত হওয়ার কারণ হিসাবে ক্যানিং পশ্চিমের তৃণমূল বিধায়ক বলেছেন, “ আমার কাছে এক জন এসেছিল। তাঁকে খুন করা জন্য ৮-৯ লক্ষ টাকার অফার দেওয়া হয়েছে আমাকে খুন করা জন্য। বিধায়ককে খুন করার পর দুষ্কৃতীরা ক্যানিংয়ে রাজ করার চেষ্টা চালাচ্ছে। এ জন্য়ই আমি পুলিশকে জানালাম।”
পরেশের আশঙ্কা নিয়ে বিজেপির জয়নগর সাংগঠনিক জেলা সভাপতি উৎপল নস্কর বলেছেন, “এই বিষয় নিয়ে কথা বলাই লজ্জাজনক। ক্যানিং পশ্চিমের বিধায়ক খুন করা হতে পারে। যে দলের সরকার রয়েছে রাজ্যে। সেই দলেরই বিধায়কের যদি আশঙ্কা হয়। তাহলে সাধারণ মানুষের কী হচ্ছে? পুলিশ কী করছে তাহলে?”





