
ক্যানিং: রাজ্যজুড়ে পুরোদমে চলছে এসআইআর। আতঙ্কের আবহে শাসক-বিরোধী চাপানউতোরেরও অন্ত নেই। একের পর এসেছে মৃত্যুর খবর। জুড়ে গিয়েছে এসআইআর তত্ত্ব। একইসঙ্গে একের পর এক বিএলও-র মৃত্যুতে রাজনৈতিক মহলে আরও হয়েছে জলঘোলা। সুর চড়িয়েছেন খোদ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সুর চড়িয়েছেন কমিশনের বিরুদ্ধে। অন্যদিকে কাজের চাপ নিয়ে দিকে দিকে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন বিএলও-রা। কেউ কাঁদছেন, তো কেউ আবার হাসপাতালে ভর্তি। এরইমধ্যে এসআইআর আতঙ্কে ক্যানিংয়ের এক বিএলও-র দেখা গেল মানবিক মুখ।
ক্যানিং ১ নম্বর ব্লকের গোপালপুর পঞ্চায়েতের হেড়োভাঙ্গা কাছারিপাড়া এলাকায় থাকেন সিন্টু রাউৎ। পেশায় প্রাথমিক বিদ্যালয়ের অস্থায়ী পার্শ্ব শিক্ষক। এবার তাঁর কাঁধে এসেছে বিএলও-র দায়িত্ব। ক্যানিং পশ্চিম বিধানসভার ২৩৮ নম্বর বুথের বিএলও তিনি। তাঁর বুথে মোট ভোটার ১১১৩। কিছুদিন আগে পথ দুর্ঘটনায় মারাত্মকভাবে জখম হয়েছেন সিন্টু। তাঁর কোমর ও পায়েও মারাত্মক আঘাত লাগে। প্রায় এক মাসেরও বেশি সময় বিছানাতেই ছিলেন। এখন সামান্য সুস্থ হতেই এসআইআরের কাজে মাঠে নেমে পড়েছেন।
রিজার্ভ করেছেন একটি টোটো। তাতেই যাচ্ছেন বাড়ি বাড়ি। প্রয়োজনে সহকারী হিসাবে সাহায্যের জন্য নিজের ছেলেকেও সঙ্গে রাখছেন। ভোটারদের হাতে যেভাবে তিনি এনুমারেশন ফর্ম তুলে দিয়েছেন তেমনই কীভাবে তা পূরণ করতে হবে তাও দেখিয়ে দিচ্ছেন। প্রয়োজন টোটোতে বসেই ফর্মগুলি পূরণ করে দিচ্ছেন, আবার টোটোতে বসেই ফর্ম সংগ্রহও করছেন। সিন্টু বলছেন, “আমার উপর SIR এর দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। শারীরিক অসুস্থতা সত্ত্বেও আমি মনে জোরে এই কাজটা করছি। সবাই আমাকে সাহায্যও করছেন। আমি চাই এসআইআরের কাজটা আরও ভাল করে হোক।”