ভোট পরবর্তী হিংসা তদন্তে সাধুর হাটে নিহত বিজেপি কর্মীর বাড়িতে সিবিআই

TV9 Bangla Digital | Edited By: tista roychowdhury

Sep 08, 2021 | 6:12 PM

Post Poll Violence: পুলিশের দাবি, ময়নাতদন্তের রিপোর্টে অসুস্থ হয়ে মৃত্যু হওয়ার কথা উল্লেখ ছিল। তাই ঘটনায় কাউকে গ্রেফতার করা হয়নি। এরপর, বুধবার রাজু সামন্ত মৃত্যু-মামলায় তদন্তে নামে সিবিআই।

ভোট পরবর্তী হিংসা তদন্তে সাধুর হাটে নিহত বিজেপি কর্মীর বাড়িতে সিবিআই
সিবিআই, ফাইল ছবি

Follow Us

দক্ষিণ ২৪ পরগনা: ভোট পরবর্তী হিংসা (Post Poll Violence) তদন্তে সাধুর হাটে নিহত বিজেপি কর্মী রাজু সামন্তের বাড়িতে সিবিআইয়ের প্রতিনিধি দল। বুধবার সকালে নিহত রাজু সামন্তের বাড়িতে আসেন কেন্দ্রীয় গোয়েন্দার আধিকারিকরা। কথা বলেন মৃতের পরিজনদের সঙ্গে। তদন্তের স্বার্থে কথা বলেন স্থানীয়দের সঙ্গেও। এর আগেও গত ২৯ অগস্ট তদন্তকারীরা রাজু সামন্তের বাডি়তে এসেছিলেন। কিন্তু, হাইকোর্টের রায়ের পর প্রথম বুধবারই ঘটনাস্থলে আসেন গোয়েন্দারা।

গত ২৯ মে, রামনগর থানার সাধুরহাটে রাজু সামন্তের দোকান বন্ধ করে দেওয়ার প্রতিবাদে তাঁকে পিটিয়ে শ্বাসরোধ করে খুন করার অভিযোগ ওঠে তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীদের দিকে। ঘটনার পর এলাকাবাসী অভিযুক্তদের গ্রেফতারের দাবিতে মৃতদেহ আটকে রেখে বিক্ষোভ দেখায়। যদিও, পুলিশ গ্রেফতারের আশ্বাস দিয়ে মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠিয়ে দেয়।

পুলিশের দাবি, ময়নাতদন্তের রিপোর্টে অসুস্থ হয়ে মৃত্যু হওয়ার কথা উল্লেখ ছিল। তাই ঘটনায় কাউকে গ্রেফতার করা হয়নি। এরপর, বুধবার রাজু সামন্ত মৃত্যু-মামলায় তদন্তে নামে সিবিআই। এদিন, সিবিআইয়ের চার সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল নিহত বিজেপি কর্মীর গ্রামে এসে মৃতের পরিজনদের সঙ্গে প্রায় ৩ ঘণ্টার বেশি সময় ধরে কথা বলেন।

ভোট পরবর্তী হিংসা মামলায় (Post Poll Violence)  খুন ও ধর্ষণের ঘটনাগুলির তদন্তের দায়ভার সিবিআইয়ের হাতে তুলে দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট। সেইমতোই রাজ্য পুলিশের তদন্তকারী অফিসারদের তলব করা শুরু করেছে সিবিআই। ভোট পরবর্তী হিংসার তদন্তে মোট ৮৪ জন তদন্তকারী অফিসার বা আইও-র মধ্যে ইন্সপেক্টর, ডিএসপি পদমর্যাদার অফিসার রয়েছেন। এছাড়া ২৫ জন কর্তা রয়েছেন এই দলে। জয়েন্ট ডিরেক্টর, ডিআইজি, এসপি পদমর্যাদার এই ২৫ জন অফিসার।

প্রত্যেক জোনের টিমে ২১ জন করে তদন্তকারী অফিসার বা আইও। ইতিমধ্যেই রাজ্যে পৌঁছেছেন ৪ যুগ্ম অধিকর্তারা। পৌঁছেছেন বেশিরভাগ ডিআইজি ও এসপি। রাজ্যে ১৫ টি খুন এবং ৬ টি ধর্ষণের মামলায় ২৭ অগাস্ট ১১টি এফআইআর দায়ের করেছিল সিবিআই। খুন, খুনের চেষ্টা, বেআইনি অস্ত্র রাখা, অপহরণ, অনুপ্রবেশের মতো একাধিক অভিযোগের ভিত্তিতে এফআইআরগুলি দায়ের করা হয়।

গত শনিবার আরও ১০টি এফআইআর দায়ের করা হয়। ২৯ অগস্ট আরও সাতটি এফআইআর দায়ের করা হয়। পরে আরও দুদফায় চারটি ও তিনটি এফআইআর দায়ের করা হয়। শুধু তাই নয়, ভোট পরবর্তী সন্ত্রাস তদন্তে পরপর দুদিন দুটি মামলায় চার্জশিট পেশ করেছে সিবিআই। ব্যারাকপুরে নিহত বিজেপি কর্মী জয়প্রকাশ যাদবের মৃত্যু মামলায় ও নদিয়ায় হৃদয়পুরে বিজেপি কর্মী খুনের ঘটনায় ওই দুটি চার্জশিট পেশ করা হয়েছে।

শুক্রবার যেদিন ভোট পরবর্তী হিংসা মামলার দ্বিতীয় চার্জশিট পেশ করা হল, সেদিনই সিটের চেয়ারম্যান হিসাবে নিযুক্ত করা হল কলকাতা হাইকোর্টের অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি মঞ্জুলা চেল্লুরকে। বিশেষ তদন্তকারী দল বা এই সিটে ১০ জন দক্ষ আইপিএস আধিকারিক রয়েছেন। যারা রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব সামলাচ্ছেন তাঁরা মূলত সিটের সদস্য। সেই দলের চেয়ারম্যান কলকাতা হাইকোর্টের প্রথম মহিলা প্রধান বিচারপতি মঞ্জুলা চেল্লুর। আরও পড়ুন: পৌরসভায় গুপ্ত কক্ষ, ৬ফুটের আলমারি, জানেনই না পুরপ্রশাসক, শ্যাম-কাণ্ডে চাঞ্চল্যকর তথ্য!

Next Article